ঢাকা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
আহত ও দগ্ধ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী

উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ১৯

  • আপডেট সময় : ০৫:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে বিমান বাহিনীর একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে; আহত ও দগ্ধ হয়েছে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।

আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজিআই’ প্রশিক্ষণ বিমানটি সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়।

স্কুলের একটি অ্যাকাডেমিক ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। অনেক দূর থেকেও সেখানে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। জ্বলন্ত উড়োজাহাজটির আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট।

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল বলেন, বিমানটি একটি ভবনের গেটে আছড়ে পড়ে। সেটি অ্যাকাডেমিক ভবন। সেখানে স্কুলের বাচ্চাদের ক্লাস চলছিল। আগুনে অনেকেই সেখানে দগ্ধ হয়েছে।

দুর্ঘটনাস্থল থেকে অনেককে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়। তাদের একটি অংশকে প্রাথমিকভাবে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল, কুর্মিটোলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দগ্ধদের অধিকাংশকে পাঠানো হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থালে সাংবাদিকদের বলেন, তাদের কর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৯ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। অর্ধশতাধিক আহত ও দগ্ধকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক এসেছে। সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। তাদের মধ্যে একজন মৃত। দগ্ধদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। বৈমানিকের বিষয়েও কোনো তথ্য এখনো দেয়নি আইএসপিআর।

উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালের প্রশাসন শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা পনের জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। তাদের দুইজন শিক্ষক ও বাকিরা শিক্ষার্থী। যাদের কম বার্ন তাদের আমরা এখানে চিকিৎসা দিচ্ছি। কয়েকজন অভজার্ভেশনে আছে। যাদের ৩০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে তাদের বার্ন ইউনিটে রেফার করা হচ্ছে। অল্প আঘাত নিয়ে কয়েকজন এসেছিলেন তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচন ভণ্ডুল করার অপচেষ্টাকে রুখে দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

আহত ও দগ্ধ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী

উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ১৯

আপডেট সময় : ০৫:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে বিমান বাহিনীর একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে; আহত ও দগ্ধ হয়েছে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।

আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজিআই’ প্রশিক্ষণ বিমানটি সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়।

স্কুলের একটি অ্যাকাডেমিক ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। অনেক দূর থেকেও সেখানে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। জ্বলন্ত উড়োজাহাজটির আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট।

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল বলেন, বিমানটি একটি ভবনের গেটে আছড়ে পড়ে। সেটি অ্যাকাডেমিক ভবন। সেখানে স্কুলের বাচ্চাদের ক্লাস চলছিল। আগুনে অনেকেই সেখানে দগ্ধ হয়েছে।

দুর্ঘটনাস্থল থেকে অনেককে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়। তাদের একটি অংশকে প্রাথমিকভাবে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল, কুর্মিটোলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দগ্ধদের অধিকাংশকে পাঠানো হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থালে সাংবাদিকদের বলেন, তাদের কর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৯ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। অর্ধশতাধিক আহত ও দগ্ধকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক এসেছে। সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। তাদের মধ্যে একজন মৃত। দগ্ধদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। বৈমানিকের বিষয়েও কোনো তথ্য এখনো দেয়নি আইএসপিআর।

উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালের প্রশাসন শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা পনের জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। তাদের দুইজন শিক্ষক ও বাকিরা শিক্ষার্থী। যাদের কম বার্ন তাদের আমরা এখানে চিকিৎসা দিচ্ছি। কয়েকজন অভজার্ভেশনে আছে। যাদের ৩০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে তাদের বার্ন ইউনিটে রেফার করা হচ্ছে। অল্প আঘাত নিয়ে কয়েকজন এসেছিলেন তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।