ঢাকা ০৪:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

উজ্জ্বল মুস্তাফিজ, বিবর্ণ রাজস্থান

  • আপডেট সময় : ১২:৩১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : নিজের প্রথম ওভারে দুই বাউন্ডারি দিয়ে খরচ করলেন ১০ রান। পরে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন মুস্তাফিজুর রহমান। দারুণ বোলিংয়ে উইকেটও নিলেন দুটি। তবে তার দলের সঙ্গী হলো বড় হার। আইপিএলে বুধবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারে রাজস্থান রয়্যালস। তাদের ১৪৯ রান ১৭ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় বিরাট কোহলির দল। ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। অন্তত তিন ওভার বোলিং করে রাজস্থানের হয়ে ওভারপ্রতি তার চেয়ে কম রান দেন কেবল আরেক বাঁহাতি পেসার চেতন সাকারিয়া। দলের হয়ে মুস্তাফিজের চেয়ে বেশি ডট বল খেলাতে পারেনি আর কেউ। মুস্তাফিজ ও সাকারিয়া দুজনেরই ডট ৮টি করে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বল হাতে পান মুস্তাফিজ। তার অফ স্টাম্পের বাইরের দুটি বলে দুটি বাউন্ডারি মারেন দেবদূত পাডিক্কাল। পাওয়ার প্লের শেষ ও নিজের পরের ওভারে পাডিক্কালকে ফিরিয়ে প্রতিশোধ নেন বাংলাদেশের বোলার। ভাঙেন ৪৮ রানের উদ্বোধনী জুটিও। ফুল লেংথ বলে বড় শট খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন বাঁহাতি পাডিক্কাল, এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্প। ওই ওভারে মুস্তাফিজের পঞ্চম বলে দারুণ এক ডেলিভারিতে পরাস্ত হন বিরাট কোহলি, অল্পের জন্য অফ স্টাম্পে লাগেনি বল। ওভারে ৬ রান দিয়ে বাঁহাতি পেসারের শিকার একটি।
নবম ওভারে দারুণ ফিল্ডিংয়ে পাঁচ রানও বাঁচিয়ে দেন মুস্তাফিজ। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের শটটি ফাইন লেগ দিয়ে হতে পারত ছক্কা। সীমানা দড়ির কাছে লাফিয়ে এক হাতে বল ভেতরে রাখেন তিনি। আবার যখন বোলিংয়ে ফেরেন মুস্তাফিজ, ৮ উইকেট হাতে রেখে ৩০ বলে বেঙ্গালুরুর প্রয়োজন কেবল ২৭ রান। এবার তিনি বেঁধে রাখেন ম্যাক্সওয়েলকে। তার তিন বলে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান নিতে পারেন কেবল দুটি সিঙ্গেল। শেষ বলে ফিরিয়ে দেন ফিফটির পথে থাকা শ্রীকর ভারতকে। শর্ট বল পুল করে ফাইন লেগে ধরা পড়েন এই ব্যাটসম্যান (৩৫ বলে ৪৪)। এই ওভারে মুস্তাফিজ দেন কেবল ৪ রান। পরের ওভারে ঝড় বয়ে যায় ক্রিস মরিসের ওপর দিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকান পেসারকে তিনটি চার ও একটি ছক্কা মারেন ম্যাক্সওয়েল। ৩০ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মরিস ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজস্থানের দুই ওপেনার ছাড়া আর কেউ ২০ পার করতে পারেনি। সংগ্রহও তাই বড় হয়নি। এভিন লুইস ৩৭ বলে ৫৮ ও যাশাসবি জয়সওয়াল ২২ বলে করেন ৩১ রান। টানা তিন হারে প্লে-অফে খেলার পথও কঠিন হয়ে গেল মুস্তাফিজদের।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

উজ্জ্বল মুস্তাফিজ, বিবর্ণ রাজস্থান

আপডেট সময় : ১২:৩১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : নিজের প্রথম ওভারে দুই বাউন্ডারি দিয়ে খরচ করলেন ১০ রান। পরে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন মুস্তাফিজুর রহমান। দারুণ বোলিংয়ে উইকেটও নিলেন দুটি। তবে তার দলের সঙ্গী হলো বড় হার। আইপিএলে বুধবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারে রাজস্থান রয়্যালস। তাদের ১৪৯ রান ১৭ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় বিরাট কোহলির দল। ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। অন্তত তিন ওভার বোলিং করে রাজস্থানের হয়ে ওভারপ্রতি তার চেয়ে কম রান দেন কেবল আরেক বাঁহাতি পেসার চেতন সাকারিয়া। দলের হয়ে মুস্তাফিজের চেয়ে বেশি ডট বল খেলাতে পারেনি আর কেউ। মুস্তাফিজ ও সাকারিয়া দুজনেরই ডট ৮টি করে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বল হাতে পান মুস্তাফিজ। তার অফ স্টাম্পের বাইরের দুটি বলে দুটি বাউন্ডারি মারেন দেবদূত পাডিক্কাল। পাওয়ার প্লের শেষ ও নিজের পরের ওভারে পাডিক্কালকে ফিরিয়ে প্রতিশোধ নেন বাংলাদেশের বোলার। ভাঙেন ৪৮ রানের উদ্বোধনী জুটিও। ফুল লেংথ বলে বড় শট খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন বাঁহাতি পাডিক্কাল, এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্প। ওই ওভারে মুস্তাফিজের পঞ্চম বলে দারুণ এক ডেলিভারিতে পরাস্ত হন বিরাট কোহলি, অল্পের জন্য অফ স্টাম্পে লাগেনি বল। ওভারে ৬ রান দিয়ে বাঁহাতি পেসারের শিকার একটি।
নবম ওভারে দারুণ ফিল্ডিংয়ে পাঁচ রানও বাঁচিয়ে দেন মুস্তাফিজ। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের শটটি ফাইন লেগ দিয়ে হতে পারত ছক্কা। সীমানা দড়ির কাছে লাফিয়ে এক হাতে বল ভেতরে রাখেন তিনি। আবার যখন বোলিংয়ে ফেরেন মুস্তাফিজ, ৮ উইকেট হাতে রেখে ৩০ বলে বেঙ্গালুরুর প্রয়োজন কেবল ২৭ রান। এবার তিনি বেঁধে রাখেন ম্যাক্সওয়েলকে। তার তিন বলে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান নিতে পারেন কেবল দুটি সিঙ্গেল। শেষ বলে ফিরিয়ে দেন ফিফটির পথে থাকা শ্রীকর ভারতকে। শর্ট বল পুল করে ফাইন লেগে ধরা পড়েন এই ব্যাটসম্যান (৩৫ বলে ৪৪)। এই ওভারে মুস্তাফিজ দেন কেবল ৪ রান। পরের ওভারে ঝড় বয়ে যায় ক্রিস মরিসের ওপর দিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকান পেসারকে তিনটি চার ও একটি ছক্কা মারেন ম্যাক্সওয়েল। ৩০ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মরিস ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজস্থানের দুই ওপেনার ছাড়া আর কেউ ২০ পার করতে পারেনি। সংগ্রহও তাই বড় হয়নি। এভিন লুইস ৩৭ বলে ৫৮ ও যাশাসবি জয়সওয়াল ২২ বলে করেন ৩১ রান। টানা তিন হারে প্লে-অফে খেলার পথও কঠিন হয়ে গেল মুস্তাফিজদের।