ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

উজিরপুরে ব্যবহৃত মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম

  • আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

শাহ আলম ডাকুয়া

 

বাংলাদেশের, জেলা, অঞ্চলে, কৌশল, ভিন্নতাও, সংগ্রহ, আহরণে, ব্যবহৃত, হাতিয়ার বা যন্ত্রকৌশল বরিশালের উজিরপুর এলাকার মানুষজন যেভাবে ব্যবহার করে তা নিচে আলোচনা করা হলো।

চাই, বাইন্যা, বুচনই: উজিরপুরের মানুষের কাছে চাই, বাইন্যা, বুচনই বহুল পরিচিত মাছ ধরার উপকরণের নাম। এ তিনটি ভিন্ন নাম হলেও বাঁশের বেতি দিয়ে তৈরি হয় এগুলো। আকৃতিতে ভিন্নতা রয়েছে। চাই ও বুচনই দিয়ে একটু বড় সাইজের পুটি, ট্যাংড়া, চিংড়ি বাইলা, শিং, ইত্যাদি মাছ পাওয়া যায়। আর বাইন্যা দিয়ে মূলত একেবারে গুঁড়া মাছ (ছোট ছোট মাছ-তিত পুঁটি, খলিশা, ছোট ছোট চিংড়ি (ঘুসা), মলা-ঢেলা, বুইচা মাছ ধরা হয়।

গড়া: মূলত উজিরপুর এলাকায় বাঁশের বেতি দিয়ে ঘন করে বেড়ার মতো করে তৈরি করে খালের মধ্যে আটকিয়ে চাই, বুচনই পাতা হয়। গড়া মূলত একধরনের বেড়া যা খালে দেয়া হয়। আর বাইন্যা সাধারণত কম পানিতে ছোট ছোট হোতা খালের মুখে বা জমির আইলে বা পুকুরের মুখে (পুকুরের জান) পাতা হয়। গড়া দিয়েই মূলত চাই বুচনই পাতা হয়। সন্ধ্যায় পেতে রাখার পর পরদিন সকালে এগুলো থেকে এলাকাবাসী মাছ সংগ্রহ করে থাকেন।

ঝাঁহিজাল, বেড়জাল, টানাজাল: ঝাঁকিজাল (ঝাঁহিজাল), বেড়জাল, টানাজাল এগুলো হলো উজিরপুর এলাকার মাছ ধরার বহুল প্রচলিত ও পুরানো পদ্ধতি। ঝাঁকিজাল সাধারণত দুহাত ব্যবহার করে ঝাঁকি দিয়ে পানিতে মেলে ফেলানো হয়। একসময় উজিরপুর এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে মাছ ধরার জন্য ঝাঁকিজালের ব্যবহার ছিল। বর্তমানে (২০২৫ সাল) কমে গেলেও ঝাঁকিজাল হারিয়ে যায়নি। বেড়জাল, টানাজালও এখনো টিকে আছে। তবে যারা মাছ চাষ করেন, যারা মাছের ব্যবসা করেন তারা টানা ও বেড়জাল বেশি ব্যবহার করে থাকেন।

কইয়া জাল/ ফাঁসজাল: কই বা কৈ মাছ ধরার জন্য একটু বড় ফাঁসের জাল যার প্রস্থে ২ থেকে আড়াই হাত এবং লম্বায় ২০ থেকে ৫০ হাত। বিল, পানি ভরা ধানখেত, বেড়, পুকুরে এ জাল লম্বা করে সন্ধ্যায় পেতে রাখা হয়। এবং সকালে জাল পানি থেকে উপরে তোলা হয়। গ্রামাঞ্চলের নদী, প্লাবনভূমি ও ধানক্ষেতে বহুল ব্যবহৃত, পাতা হয় নদী ও বিলের স্বল্প বা গভীর পানিতে। এক ধরনের ফাঁসজাল দিয়ে কই মাছ ধরা হয় বলে তার নাম কইয়াজাল।

বড়শি: মাছ ধরার সবচেয়ে পুরনো পদ্ধতি হলো বড়শির ব্যবহার। বড়শি দিয়ে রুই, কই, চিংড়ি, শিং, মাগুর, ফলি, পুটি, শৌল, টেংড়া ইত্যাদি মাছ ধরা হয়ে থাকে।

টানা বড়শি: টানাবড়শি স্বাদুপানিতে ও সমুদ্রে লম্বা সুতার টানাবড়শি এবং ছিপে বড়শির ব্যবহার, গ্রামের ধানক্ষেতে ও বিলে অনেকগুলি বড়শিসহ একটি দীর্ঘ সুতা ভাসিয়ে রাখা ইত্যাদি বাংলাদেশের বড়শি দিয়ে শিকারের সাধারণ নমুনা। বড়শি দিয়ে মাছ শিকারে মাছকে প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম টোপ দিয়ে আকৃষ্ট করা হয় অথবা চারা ফেলে প্রলুব্ধ করা হয়।

ধর্মজাল, ভ্যাসালজাল: সাধারণত চৌকো আকৃতির, আড়াআড়ি বাঁধা বাঁশের চারটি ফালির চার আগায় জালের চারকোণা বাঁধা থাকে। বাঁশের ফালির সংযোগস্থলে অন্য একটি বাঁশ বেঁধে এটিকে পানিতে ফেলা অথবা পানি থেকে উঠানোর জন্য লিভারের মতো ব্যবহার করা হয়। জালটি হস্তচালিত ও সহজে বহনীয়। কখনও কখনও বড় আকারের জালও বানানো হয় এবং এটিকে পানির গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থায়ীভাবে বসানো হয়। এগুলি খড়াজাল ও কোনাঘরজাল নামে পরিচিত। ভ্যাসালজাল সাধারণত ধর্মজালের চেয়ে আকৃতিতে বড় হয়ে থাকে। এ জালে মাছ ধরতে অনেক সময় ২-৩ জনও লাগে। এ দুধরনের জাল চার কোণাকার জালের কোনায় কোনায় বাঁশের মাথা আটকিয়ে খাল, বিল, নদীতে পেতে রেখে কিছুক্ষণ পর পর তুলে নেয়া হয়।

ইলশা জাল: বরিশাল খাল-বিল নদ-নদীর দেশ। উজিরপুরের প্রধান নদী সন্ধ্যা ও কচা। এ নদীতে ইলশা মাছ ধরতে জেলে এবং শৌখিন মাছ শিকারিরা ইলশা জাল ব্যবহার করেন। সন্ধ্যা ও কচা নদীতে ছোটো ছোটো ডিঙ্গি নৌকোয় করে ইলিশ মাছ ধরতে দেখা যায় মানুষদের। সন্ধ্যা ও কচা নদীর ইলিশের স্বাদ উপভোগ্য। পদ্মার মাছ ইলিশ বলে নাম হলেও সন্ধ্যা নদীর ইলিশের স্বাদ সত্যিই অনন্য।

মইয়াজাল/ব্যাগজাল: ব্যাগজাল একটি কাঠামো দ্বারা খাড়া অবস্থায় খোলা থাকে এবং পানির স্রোতে অনুভূমিকভাবে প্রসারিত হয়। স্রোতের বিপরীতে পাতা হয়। বেহুন্দিজাল ও সাবাড়জাল বা আকারে অপেক্ষাকৃত ছোট একই আকৃতির অন্যান্য জাল তলায় হাত দিয়ে টানা হয়। টানাজাল/ঠেলাজাল ত্রিভুজ বাঁশের কাঠামোতে বাঁধা এই জাল ঠেলে ঠেলে বিল ও প্লাবনভূমিতে মাছ ধরার দৃশ্য বহু পুরাতন। স্থানীয় নাম ঠেলাজাল ও মইয়াজাল। বড় ছাঁকিজালও এক প্রকার টানাজাল।

ভাসাজাল: অতি দীর্ঘ ও পাখাসদৃশ বিস্তৃত এবং মোটা রশিযুক্ত জাল। এ ধরনের জালের পার্শ্বভাগগুলি ও টানা রশি খুব লম্বা। বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের এই জালের স্থানীয় নাম বেড়জাল। এটি খুব বড় আকারের হলে জগৎবেড় বলে। মাছের আকারের উপর জালের ফোকরের আয়তন নির্ভর করে।

ঘাইয়া : ঘাইয়া হলো খালের মাঝখানে দুই পাশে বাঁধ দিয়ে ফাঁকা জায়গাটুকু শুকিয়ে রাখা হয়। মাছ বাঁধে বাধা পেয়ে লাফিয়ে পার হতে গিয়ে মাঝের শুকনো জায়গায় পরে। তখন মাছ ধরা হয়।

অন্যদিকে বিভিন্ন মাছ ধরার উপকরণও রয়েছে। যেমন- য়োচা/ওচা, ছাবি, পোলো, টাটকা, থুরকুচি, ট্যাঁডা, কারেন্ট জাল, বেহুন্দি, এককাঁটা; তেকাঁটা; আঁকড়া এবং কোঁচ।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

উজিরপুরে ব্যবহৃত মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম

আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শাহ আলম ডাকুয়া

 

বাংলাদেশের, জেলা, অঞ্চলে, কৌশল, ভিন্নতাও, সংগ্রহ, আহরণে, ব্যবহৃত, হাতিয়ার বা যন্ত্রকৌশল বরিশালের উজিরপুর এলাকার মানুষজন যেভাবে ব্যবহার করে তা নিচে আলোচনা করা হলো।

চাই, বাইন্যা, বুচনই: উজিরপুরের মানুষের কাছে চাই, বাইন্যা, বুচনই বহুল পরিচিত মাছ ধরার উপকরণের নাম। এ তিনটি ভিন্ন নাম হলেও বাঁশের বেতি দিয়ে তৈরি হয় এগুলো। আকৃতিতে ভিন্নতা রয়েছে। চাই ও বুচনই দিয়ে একটু বড় সাইজের পুটি, ট্যাংড়া, চিংড়ি বাইলা, শিং, ইত্যাদি মাছ পাওয়া যায়। আর বাইন্যা দিয়ে মূলত একেবারে গুঁড়া মাছ (ছোট ছোট মাছ-তিত পুঁটি, খলিশা, ছোট ছোট চিংড়ি (ঘুসা), মলা-ঢেলা, বুইচা মাছ ধরা হয়।

গড়া: মূলত উজিরপুর এলাকায় বাঁশের বেতি দিয়ে ঘন করে বেড়ার মতো করে তৈরি করে খালের মধ্যে আটকিয়ে চাই, বুচনই পাতা হয়। গড়া মূলত একধরনের বেড়া যা খালে দেয়া হয়। আর বাইন্যা সাধারণত কম পানিতে ছোট ছোট হোতা খালের মুখে বা জমির আইলে বা পুকুরের মুখে (পুকুরের জান) পাতা হয়। গড়া দিয়েই মূলত চাই বুচনই পাতা হয়। সন্ধ্যায় পেতে রাখার পর পরদিন সকালে এগুলো থেকে এলাকাবাসী মাছ সংগ্রহ করে থাকেন।

ঝাঁহিজাল, বেড়জাল, টানাজাল: ঝাঁকিজাল (ঝাঁহিজাল), বেড়জাল, টানাজাল এগুলো হলো উজিরপুর এলাকার মাছ ধরার বহুল প্রচলিত ও পুরানো পদ্ধতি। ঝাঁকিজাল সাধারণত দুহাত ব্যবহার করে ঝাঁকি দিয়ে পানিতে মেলে ফেলানো হয়। একসময় উজিরপুর এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে মাছ ধরার জন্য ঝাঁকিজালের ব্যবহার ছিল। বর্তমানে (২০২৫ সাল) কমে গেলেও ঝাঁকিজাল হারিয়ে যায়নি। বেড়জাল, টানাজালও এখনো টিকে আছে। তবে যারা মাছ চাষ করেন, যারা মাছের ব্যবসা করেন তারা টানা ও বেড়জাল বেশি ব্যবহার করে থাকেন।

কইয়া জাল/ ফাঁসজাল: কই বা কৈ মাছ ধরার জন্য একটু বড় ফাঁসের জাল যার প্রস্থে ২ থেকে আড়াই হাত এবং লম্বায় ২০ থেকে ৫০ হাত। বিল, পানি ভরা ধানখেত, বেড়, পুকুরে এ জাল লম্বা করে সন্ধ্যায় পেতে রাখা হয়। এবং সকালে জাল পানি থেকে উপরে তোলা হয়। গ্রামাঞ্চলের নদী, প্লাবনভূমি ও ধানক্ষেতে বহুল ব্যবহৃত, পাতা হয় নদী ও বিলের স্বল্প বা গভীর পানিতে। এক ধরনের ফাঁসজাল দিয়ে কই মাছ ধরা হয় বলে তার নাম কইয়াজাল।

বড়শি: মাছ ধরার সবচেয়ে পুরনো পদ্ধতি হলো বড়শির ব্যবহার। বড়শি দিয়ে রুই, কই, চিংড়ি, শিং, মাগুর, ফলি, পুটি, শৌল, টেংড়া ইত্যাদি মাছ ধরা হয়ে থাকে।

টানা বড়শি: টানাবড়শি স্বাদুপানিতে ও সমুদ্রে লম্বা সুতার টানাবড়শি এবং ছিপে বড়শির ব্যবহার, গ্রামের ধানক্ষেতে ও বিলে অনেকগুলি বড়শিসহ একটি দীর্ঘ সুতা ভাসিয়ে রাখা ইত্যাদি বাংলাদেশের বড়শি দিয়ে শিকারের সাধারণ নমুনা। বড়শি দিয়ে মাছ শিকারে মাছকে প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম টোপ দিয়ে আকৃষ্ট করা হয় অথবা চারা ফেলে প্রলুব্ধ করা হয়।

ধর্মজাল, ভ্যাসালজাল: সাধারণত চৌকো আকৃতির, আড়াআড়ি বাঁধা বাঁশের চারটি ফালির চার আগায় জালের চারকোণা বাঁধা থাকে। বাঁশের ফালির সংযোগস্থলে অন্য একটি বাঁশ বেঁধে এটিকে পানিতে ফেলা অথবা পানি থেকে উঠানোর জন্য লিভারের মতো ব্যবহার করা হয়। জালটি হস্তচালিত ও সহজে বহনীয়। কখনও কখনও বড় আকারের জালও বানানো হয় এবং এটিকে পানির গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থায়ীভাবে বসানো হয়। এগুলি খড়াজাল ও কোনাঘরজাল নামে পরিচিত। ভ্যাসালজাল সাধারণত ধর্মজালের চেয়ে আকৃতিতে বড় হয়ে থাকে। এ জালে মাছ ধরতে অনেক সময় ২-৩ জনও লাগে। এ দুধরনের জাল চার কোণাকার জালের কোনায় কোনায় বাঁশের মাথা আটকিয়ে খাল, বিল, নদীতে পেতে রেখে কিছুক্ষণ পর পর তুলে নেয়া হয়।

ইলশা জাল: বরিশাল খাল-বিল নদ-নদীর দেশ। উজিরপুরের প্রধান নদী সন্ধ্যা ও কচা। এ নদীতে ইলশা মাছ ধরতে জেলে এবং শৌখিন মাছ শিকারিরা ইলশা জাল ব্যবহার করেন। সন্ধ্যা ও কচা নদীতে ছোটো ছোটো ডিঙ্গি নৌকোয় করে ইলিশ মাছ ধরতে দেখা যায় মানুষদের। সন্ধ্যা ও কচা নদীর ইলিশের স্বাদ উপভোগ্য। পদ্মার মাছ ইলিশ বলে নাম হলেও সন্ধ্যা নদীর ইলিশের স্বাদ সত্যিই অনন্য।

মইয়াজাল/ব্যাগজাল: ব্যাগজাল একটি কাঠামো দ্বারা খাড়া অবস্থায় খোলা থাকে এবং পানির স্রোতে অনুভূমিকভাবে প্রসারিত হয়। স্রোতের বিপরীতে পাতা হয়। বেহুন্দিজাল ও সাবাড়জাল বা আকারে অপেক্ষাকৃত ছোট একই আকৃতির অন্যান্য জাল তলায় হাত দিয়ে টানা হয়। টানাজাল/ঠেলাজাল ত্রিভুজ বাঁশের কাঠামোতে বাঁধা এই জাল ঠেলে ঠেলে বিল ও প্লাবনভূমিতে মাছ ধরার দৃশ্য বহু পুরাতন। স্থানীয় নাম ঠেলাজাল ও মইয়াজাল। বড় ছাঁকিজালও এক প্রকার টানাজাল।

ভাসাজাল: অতি দীর্ঘ ও পাখাসদৃশ বিস্তৃত এবং মোটা রশিযুক্ত জাল। এ ধরনের জালের পার্শ্বভাগগুলি ও টানা রশি খুব লম্বা। বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের এই জালের স্থানীয় নাম বেড়জাল। এটি খুব বড় আকারের হলে জগৎবেড় বলে। মাছের আকারের উপর জালের ফোকরের আয়তন নির্ভর করে।

ঘাইয়া : ঘাইয়া হলো খালের মাঝখানে দুই পাশে বাঁধ দিয়ে ফাঁকা জায়গাটুকু শুকিয়ে রাখা হয়। মাছ বাঁধে বাধা পেয়ে লাফিয়ে পার হতে গিয়ে মাঝের শুকনো জায়গায় পরে। তখন মাছ ধরা হয়।

অন্যদিকে বিভিন্ন মাছ ধরার উপকরণও রয়েছে। যেমন- য়োচা/ওচা, ছাবি, পোলো, টাটকা, থুরকুচি, ট্যাঁডা, কারেন্ট জাল, বেহুন্দি, এককাঁটা; তেকাঁটা; আঁকড়া এবং কোঁচ।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ