শাহ আলম ডাকুয়া
কুইত্যা= ‘কাউল্লা কুইত্যা আগে না খিদা লাগার ডরে’
এই বাক্যটি উজিরপুর অঞ্চলে লোকপ্রবাদের মতো হয়ে গেছে।
শব্দ পরিচিতি:
কাউল্লা= মানুষের নাম। তার প্রকৃত নাম কালু মাতবর। কিন্তু তাকে কথ্যভাষায় ডাকা হয় কাউল্লা বলে।
কুইত্যা= দম বন্ধ করে জোর দিয়ে কোনো কাজ/ জোরে কুতুনি দেয়া/ মল ত্যাগের সময় জোরে কুতুনি ইত্যাদি অর্থ।
উজিরপুর এলাকায় মূলত ‘কুইত্যা’ শব্দটি দুইভাবে ব্যবহৃত হয়-
১.
পায়খানা করার সময়। বিশেষ করে মল যদি শক্ত হয় তখন সব মানুষকেই কোত দিতে হয়। মল বের করার জন্য জোরে কোত দিতে হয়।
২.
কোনো কাজ করার সময়- কাজটি যদি একটু কষ্টসাধ্য হয় বা কোনো ওজন/ভারী জিনিস উপরে তুলতে হলে এমনিতেই কোতুনি দিতে হয়।
যেমন-‘এ ব্যাডা, এই বয়সেই ২০ স্যার ওজনের বোছতাডা জাগাইতে দ্যাহি তোর কোততে কোততে পরাণ যায়। বিয়া হরার পর কী হরবিহানে?’
৩.
আগা=হাগা/মলত্যাগ। এখানে বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, উজিরপুর অঞ্চলের মানুষরা হা, আ এ দুটো বর্ণের মাঝামাঝি একটা বর্ণ উচ্চারণ করে থাকেন। সেটা না ‘হাগা’ না ‘আগা’- এর মধ্যবর্তী একটি স্বর। উচ্চারণটা নিজেরা খেয়াল করে দেখুন। তাই কাছাকাছি শব্দ আগা (হাগা) ব্যবহার করা হয়।
যেমন-
‘আগদে বইছে কে?
কেচি পোড়া দে
কেচি অইছে গরম
হোগায় নাই শরম’
এখানে আগদে=হাগদে, কেচি=কাঁচি, অইছে=হইছে, হোগা-মলদ্বার
৪.
খিদা= ক্ষুধা/ খাওয়ার উদ্রেগ
সংগ্রহকারী : কামরুন নাহার লাকি
সংগ্রহস্থান : হস্তিশুন্ড, বামরাইল, উজিরপুর, বরিশাল
সংগ্রহের সময়: ২০২৪
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ