শাহ আলম ডাকুয়া
উজিরপুর বরিশাল জেলার একটা অতি প্রাচীন জনপদ। বরিশাল বিভাগের অন্যতম বিখ্যাত নদী সন্ধ্যা। এ নদী বিধৌত উজিরপুর উপজেলায় বাস করে বিভিন্ন ধর্মের জনগোষ্ঠী। এখানকার মানুষের ভাষায়ও রয়েছে বৈচিত্র্য। উজিরপুরের কথ্যভাষার কিছু শব্দ ও বাক্য পুরো দক্ষিণবাংলার কথ্যার সুর বহন করে। আবার কিছু কিছু শব্দ বা বাক্য আছে যা কেবলমাত্র উজিরপুরের মানুষের মুখেই শোনা যায়।
উজিরপুরের কথ্যভাষার কিছু শব্দ এমনভাবে উচ্চারিত হয় যার বর্ণমালা বাংলাভাষায় নেই। যেমন- হাডে, আডে (হাটে)। হ এবং আ এর মাঝামাঝি একটা উচ্চারণ দেখা যায় এখানের কথ্যভাষায় সেরকম কোনো বর্ণ আদৌ নেই বাংলা ভাষায়।
উজিরপুরের হস্তিুশন্ড গ্রাম থেকে সংগ্রহ করা দুটি বাক্য-
১.
‘আহালেস সোমায় আহাংরা পোলাপানের মোহের মইদ্দে আহালি হানলে আল্যাহা আসসি-পসসিরা হরবেডা কী মোনু?’
আহাল=দুর্ভিক্ষ, সোমায়=সময়/ কাল, আহাংরা= বেয়াদব, উচ্ছৃংখল, মোহের= মুখের, মইদ্দে= মধ্যে, আহালি= খাবার সময় মুখের মধ্যে পড়া পাথর টুকরো, হানলে= ঢুকলে, আল্যাহা= লেখাপড়া না জানা, আসসিপসসি= প্রতিবেশী, হরবেডা= করবে, মোনু= সম্বোধন সূচক শব্দ, বাচ্চাদেরও মোনু ডাকা হয়।
২.
‘ব্যাডা ছোলোমডা এ্যাকছের চুহা। মাইয়্যা লোহে খাইলে প্যাডের ছয় মাসেরডাও বাইরাইয়া যাইবে।’
ব্যাডা=পুরুষদের সম্বোধন করা/ পুরুষ/ ছেলে, ছোলোম=জাম্বুরা/বাতাবি লেবু, এ্যাকছের=সব/সমষ্টি/টোটাল, চুহা=টক/চুকা/অম্ল স্বাদ, মাইয়্যালোহে= মেয়েমানুষে, প্যাড=পেট।
সংগ্রহকারী : শাহ আলম ডাকুয়া
সংগ্রহস্থান: হস্তিশুন্ড, বামরাইল, উজিরপুর, বরিশাল
সংগ্রহের সময়: ২০২৪ ইংরেজি
মোবাইল নম্বর: ০১৯৮৫-১৮৪৬৯৮
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ