ঢাকা ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

উজবেকিস্তানে বিজনেস সামিট ২৬-২৭ মে

  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে উজবেকিস্তানে জনশক্তি রফতানির সুযোগও রয়েছে। এ লক্ষ্যে আগামী ২৬ ও ২৭ মে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দের উইনধাম হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে দুই দিনের বিজনেস সামিট। এই সামিটের মূল উদ্দেশ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নলিস্ট ফোরামের অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের কনসোলেট ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. তাহের শাহ, বাংলাদেশ ট্রেড সেন্টারের (বিটিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন এবং তুর্কি বিডি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মধ্য এশিয়ার দেশ উহবেকিস্তানে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানির পাশাপাশি পোশাক খাতের কাঁচামালসহ তুলা আমদানির সুযোগ রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রথমবারের মতো উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে দুই দেশের বেসরকারি পর্যায়ের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বিজনেস সামিট অ্যান্ড বিটুবি’ আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে দুই দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা তাদের নিজস্ব তৈরি পণ্য ও সেবা তুলে ধরতে পারবেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিটিসির সহযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা ছয় জন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে এই সামিটের আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, বাইসাইকেল, সিরামিক পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, ফার্নিচার, হস্তশিল্প, কাপড়, পর্যটন, আইটি, আইটিএস, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্লাস্টিক, শিক্ষা সেবা, মানব সম্পদ ইত্যাদি পণ্য ও সেবার ভালো বাজার হতে পারে উজবেকিস্তান। উজবেকিস্তান থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ একইসঙ্গে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত উজবেকিস্তান হতে পারে পরস্পরের বিনিয়োগের আদর্শ স্থান। দেশটি বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য মধ্য এশিয়া তথা পূর্ব ইউরোপের প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। এ সময় ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. তাহের শাহ বলেন, ‘উজবেকিস্তানের লোকজন যখন ইউরোপ-আমেরিকা থেকে পোশাক পণ্য কিনে দেশে নিয়ে আসেন, তখন তারা দেখেন ট্যাগ লাগানো থাকে মেইড ইন বাংলাদেশ। তাই তাদের আগ্রহ বাড়ছে। শুধু তাই নয়, উজবেকিস্তান সরকারও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন। বাংলাদেশ এই সুবিধা কাজে লাগাতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘সেখানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ মাত্র দুই টাকা, গ্যাস প্রায় ফ্রি। এছাড়া জায়গা ও বিল্ডিং দিচ্ছে ব্যবসা করার জন্য। এসব সুবিধা নিচ্ছে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। আমাদের দেশের উদ্যোক্তারাও এর সুযোগ নিতে পারেন। এজন্য আমাদের দুই দেশের যোগাযোগ বাড়ানো জরুরি।’
বিটিসি’র প্রধান নির্বাহী জানান, বর্তমানে উজবেকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি কোনো বিমান যোগাযোগ নেই। অন্যদেশ হয়ে যেতে হয়। এতে দুই লাখ টাকার বেশি বিমান ভাড়া লাগে। এ খরচ কমাতে এখন দিল্লি হয়ে যেতে হয়। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ উন্নতি করতে হলে সরাসরি বিমান ফ্লাইট জরুরি। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে মোট ৪ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ রফতানি করেছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের পণ্য। অন্যদিকে, উজবেকিস্তান থেকে ২ কোটি ১৪ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পণ্য আমদানি করা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

উজবেকিস্তানে বিজনেস সামিট ২৬-২৭ মে

আপডেট সময় : ০১:৪৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে উজবেকিস্তানে জনশক্তি রফতানির সুযোগও রয়েছে। এ লক্ষ্যে আগামী ২৬ ও ২৭ মে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দের উইনধাম হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে দুই দিনের বিজনেস সামিট। এই সামিটের মূল উদ্দেশ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নলিস্ট ফোরামের অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের কনসোলেট ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. তাহের শাহ, বাংলাদেশ ট্রেড সেন্টারের (বিটিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন এবং তুর্কি বিডি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মধ্য এশিয়ার দেশ উহবেকিস্তানে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানির পাশাপাশি পোশাক খাতের কাঁচামালসহ তুলা আমদানির সুযোগ রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রথমবারের মতো উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে দুই দেশের বেসরকারি পর্যায়ের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বিজনেস সামিট অ্যান্ড বিটুবি’ আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে দুই দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা তাদের নিজস্ব তৈরি পণ্য ও সেবা তুলে ধরতে পারবেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিটিসির সহযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা ছয় জন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে এই সামিটের আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, বাইসাইকেল, সিরামিক পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, ফার্নিচার, হস্তশিল্প, কাপড়, পর্যটন, আইটি, আইটিএস, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্লাস্টিক, শিক্ষা সেবা, মানব সম্পদ ইত্যাদি পণ্য ও সেবার ভালো বাজার হতে পারে উজবেকিস্তান। উজবেকিস্তান থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ একইসঙ্গে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত উজবেকিস্তান হতে পারে পরস্পরের বিনিয়োগের আদর্শ স্থান। দেশটি বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য মধ্য এশিয়া তথা পূর্ব ইউরোপের প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। এ সময় ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. তাহের শাহ বলেন, ‘উজবেকিস্তানের লোকজন যখন ইউরোপ-আমেরিকা থেকে পোশাক পণ্য কিনে দেশে নিয়ে আসেন, তখন তারা দেখেন ট্যাগ লাগানো থাকে মেইড ইন বাংলাদেশ। তাই তাদের আগ্রহ বাড়ছে। শুধু তাই নয়, উজবেকিস্তান সরকারও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন। বাংলাদেশ এই সুবিধা কাজে লাগাতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘সেখানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ মাত্র দুই টাকা, গ্যাস প্রায় ফ্রি। এছাড়া জায়গা ও বিল্ডিং দিচ্ছে ব্যবসা করার জন্য। এসব সুবিধা নিচ্ছে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। আমাদের দেশের উদ্যোক্তারাও এর সুযোগ নিতে পারেন। এজন্য আমাদের দুই দেশের যোগাযোগ বাড়ানো জরুরি।’
বিটিসি’র প্রধান নির্বাহী জানান, বর্তমানে উজবেকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি কোনো বিমান যোগাযোগ নেই। অন্যদেশ হয়ে যেতে হয়। এতে দুই লাখ টাকার বেশি বিমান ভাড়া লাগে। এ খরচ কমাতে এখন দিল্লি হয়ে যেতে হয়। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ উন্নতি করতে হলে সরাসরি বিমান ফ্লাইট জরুরি। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে মোট ৪ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ রফতানি করেছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের পণ্য। অন্যদিকে, উজবেকিস্তান থেকে ২ কোটি ১৪ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পণ্য আমদানি করা হয়েছে।