ঢাকা ০৭:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

উচ্চশিক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিতের আহ্বান ইউজিসির

  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সুসংহত করতে উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য উচ্চশিক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটি স্তরে সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল সোমবার জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন (এনআইএস) শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠনে এ আহ্বান জানান ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। তিনি বলেন, ‘দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসারের জন্য সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করা না গেলে শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে। ফলে উচ্চশিক্ষা নিয়েও তারা কাঙ্ক্ষিত কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে না। এ অবস্থা এড়াতে এখনই উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।’
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউজিসি সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও এনআইএস-এর বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট মো. মামুন। ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ইউজিসি কাজ করে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। একটি দেশের উন্নয়নের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিগত বছরগুলোতে সরকারের বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। উন্নয়নের এ ধারাকে সুসংহতকরণের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে স্থান করে দিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার কোনও বিকল্প নেই। তাই বিশ্বমানের জনবল তৈরিতে দেশের উচ্চশিক্ষাকে যুগোপযোগী, দক্ষতা ও উদ্দেশ্যমুখী করতে হবে।’
দেশের পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে অবশ্যই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে।’
সূচনা বক্তব্যে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘নৈতিকতা, সততা ও আচরণগত মানদ- ঠিক রেখে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে দায়িত্ব পালন করতে হবে। স্ব-স্ব কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারলেই শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উচ্চশিক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিতের আহ্বান ইউজিসির

আপডেট সময় : ১২:৫৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সুসংহত করতে উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য উচ্চশিক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটি স্তরে সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল সোমবার জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন (এনআইএস) শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠনে এ আহ্বান জানান ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। তিনি বলেন, ‘দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসারের জন্য সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করা না গেলে শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে। ফলে উচ্চশিক্ষা নিয়েও তারা কাঙ্ক্ষিত কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে না। এ অবস্থা এড়াতে এখনই উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।’
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউজিসি সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও এনআইএস-এর বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট মো. মামুন। ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ইউজিসি কাজ করে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। একটি দেশের উন্নয়নের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিগত বছরগুলোতে সরকারের বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। উন্নয়নের এ ধারাকে সুসংহতকরণের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে স্থান করে দিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার কোনও বিকল্প নেই। তাই বিশ্বমানের জনবল তৈরিতে দেশের উচ্চশিক্ষাকে যুগোপযোগী, দক্ষতা ও উদ্দেশ্যমুখী করতে হবে।’
দেশের পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে অবশ্যই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে।’
সূচনা বক্তব্যে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘নৈতিকতা, সততা ও আচরণগত মানদ- ঠিক রেখে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে দায়িত্ব পালন করতে হবে। স্ব-স্ব কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারলেই শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।’