ঢাকা ০৭:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

উগ্রপন্থা ছড়ানোর অভিযোগে ৬ মসজিদ বন্ধ করছে ফ্রান্স

  • আপডেট সময় : ১১:৩৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

A French policeman secures the Great Mosque of Paris prior to the friday prayers on the first day of a second national general lockdown aimed at curbing the spread of Covid-19 on October 30, 2020, as France protects its places of worship after placing its terror alert at maximum a day after a knife attack in a church of the southern city of Nice. (Photo by THOMAS COEX / AFP)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসলামের নামে উগ্রপন্থা ও জঙ্গিবাদ ছড়ানোর অভিযোগে ৬ টি মসজিদ বন্ধ ও বেশকিছু ইসলামি সংস্থা নিষিদ্ধ করছে ফ্রান্স। দেশটির জাতীয় দৈনিক লা ফিগেরোর বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরার্দ দারমানিন গত মঙ্গলবার লা ফিগেরোকে জানান, ফ্রান্সের কোন কোন এলাকা ও সংস্থা থেকে উগ্রপন্থী ইসলাম ও জঙ্গিবাদ ছড়ানো হচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ব্যাপক ও বিস্তারিত অনুসন্ধান শুরু করেছিল দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ।
সেই থেকে প্রায় ১০ মাসের অনুসন্ধানে ৮৯ টি স্থান ও সংস্থার একটি তালিকা করেন গোয়েন্দারা; সরকারকে দেওয়া প্রতিবেদনে বলেন, তালিকাভূক্ত এসব স্থান ও সংস্থা থেকেই ছাড়ানো হচ্ছে ইসলামি উগ্রপন্থা ও জঙ্গিবাদ।
লা ফিগারোকে দারমানিন বলেন, যে ছয়টি মসজিদকে বন্ধ ঘোষণা করা হবে, সেগুলোর নাম এই তালিকায় রয়েছে। রাজধানী প্যারিসসহ ফ্রান্সের ৫ টি শহরে রয়েছে এই মসজিদগুলো।
ফ্রান্সের ইসলামপন্থী প্রকাশনা সংস্থা নাওয়া এবং দেশটির কৃষ্ণাঙ্গ অধিকারবাদী অন্যতম সংগঠন এলডিএনএর (ব্ল্যাক আফ্রিকান ডিফেন্স লীগ) নামও তালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন দারমানিন।
নাওয়া প্রকাশনির প্রধান কার্যালয় ফ্রান্সের অ্যারিজ শহরে। এই প্রকাশনার কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টরা ইহুদিদের নির্মূল করা ও সমকামীদের পাথর ছুড়ে হত্যার পক্ষে প্রচারকাজ চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে, এলডিএনর বিরুদ্ধে অভিযোগ- গত বছর উগ্রপন্থি জঙ্গিরা যখন ফ্রান্সে একের পর এক হত্যা চালাচ্ছিল, সে সময় এই সংগঠনের কর্মীরা গত বছর জুনে প্যারিসে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে ফ্রান্সের সরকারের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা ছড়ানোর’ অভিযোগে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিল।
লা ফিগেরোকে দারমানিন বলেন, ‘তালিকায় থাকা আরো ৪ সংস্থাকে আগামী নভেম্বরের মধ্যে নিষিদ্ধ করা হবে। আগামী বছরও এই অভিযান চলবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

উগ্রপন্থা ছড়ানোর অভিযোগে ৬ মসজিদ বন্ধ করছে ফ্রান্স

আপডেট সময় : ১১:৩৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসলামের নামে উগ্রপন্থা ও জঙ্গিবাদ ছড়ানোর অভিযোগে ৬ টি মসজিদ বন্ধ ও বেশকিছু ইসলামি সংস্থা নিষিদ্ধ করছে ফ্রান্স। দেশটির জাতীয় দৈনিক লা ফিগেরোর বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরার্দ দারমানিন গত মঙ্গলবার লা ফিগেরোকে জানান, ফ্রান্সের কোন কোন এলাকা ও সংস্থা থেকে উগ্রপন্থী ইসলাম ও জঙ্গিবাদ ছড়ানো হচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ব্যাপক ও বিস্তারিত অনুসন্ধান শুরু করেছিল দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ।
সেই থেকে প্রায় ১০ মাসের অনুসন্ধানে ৮৯ টি স্থান ও সংস্থার একটি তালিকা করেন গোয়েন্দারা; সরকারকে দেওয়া প্রতিবেদনে বলেন, তালিকাভূক্ত এসব স্থান ও সংস্থা থেকেই ছাড়ানো হচ্ছে ইসলামি উগ্রপন্থা ও জঙ্গিবাদ।
লা ফিগারোকে দারমানিন বলেন, যে ছয়টি মসজিদকে বন্ধ ঘোষণা করা হবে, সেগুলোর নাম এই তালিকায় রয়েছে। রাজধানী প্যারিসসহ ফ্রান্সের ৫ টি শহরে রয়েছে এই মসজিদগুলো।
ফ্রান্সের ইসলামপন্থী প্রকাশনা সংস্থা নাওয়া এবং দেশটির কৃষ্ণাঙ্গ অধিকারবাদী অন্যতম সংগঠন এলডিএনএর (ব্ল্যাক আফ্রিকান ডিফেন্স লীগ) নামও তালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন দারমানিন।
নাওয়া প্রকাশনির প্রধান কার্যালয় ফ্রান্সের অ্যারিজ শহরে। এই প্রকাশনার কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টরা ইহুদিদের নির্মূল করা ও সমকামীদের পাথর ছুড়ে হত্যার পক্ষে প্রচারকাজ চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে, এলডিএনর বিরুদ্ধে অভিযোগ- গত বছর উগ্রপন্থি জঙ্গিরা যখন ফ্রান্সে একের পর এক হত্যা চালাচ্ছিল, সে সময় এই সংগঠনের কর্মীরা গত বছর জুনে প্যারিসে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে ফ্রান্সের সরকারের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা ছড়ানোর’ অভিযোগে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিল।
লা ফিগেরোকে দারমানিন বলেন, ‘তালিকায় থাকা আরো ৪ সংস্থাকে আগামী নভেম্বরের মধ্যে নিষিদ্ধ করা হবে। আগামী বছরও এই অভিযান চলবে।’