ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

উইঘুর–অধ্যুষিত এলাকার পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আইন পাস যুক্তরাষ্ট্রের

  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উইঘুর–অধ্যুষিত চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নতুন একটি আইন পাস করল যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার ওই আইনে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, নতুন এই আইনের নাম ‘দ্য উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট’। উইঘুর ইস্যুতে চীনের ওপর চাপ বাড়াতে এই আইনটি পাস করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বেশ আগে থেকেই বলে আসছে, উইঘুরদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে চীন।
চীনের জিনজিয়াং অঞ্চল থেকে যেসব পণ্য আমদানি করা হয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে সুতা, টমেটো ও সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন যন্ত্রে ব্যবহৃত পলিসিলিকন। এই পণ্যগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে চীনের দাবি, সেখানে উইঘুরদের কোনো ধরনের নির্যাতন চালানো হচ্ছে না। চীনের এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সুতা উৎপাদন করা হয়। এ ছাড়া সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে যেসব যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়, তারও উৎপাদনের শীর্ষে চীন। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিভিন্ন দেশে এসব পণ্য রপ্তানি করে চীন। এদিকে আইন পাসের পর ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে সত্য উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া চীনের বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেনজিউ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষায় যেসব নিয়মকানুন রয়েছে, তা–ও লঙ্ঘিত হয়েছে এর মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানাচ্ছে সরকার। লিউ পেনজিউ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তার পাল্টা পদক্ষেপ নেবে চীন। তবে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা বিস্তারিত জানাননি তিনি।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নি¤œকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি পাস হয়। উইঘুর ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলেও চীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উইঘুর ও অন্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চীন শতাব্দীর ভয়াবহতম অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। এমন অপরাধকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ হিসেবেও অভিহিত করেছিলেন তিনি। যদিও এসব অভিযোগ বারবারই অস্বীকার করেছে চীন। মার্কিন সরকারের নতুন আইনের সমালোচনা করেছিল কোকাকোলা, নাইকি, অ্যাপলসহ বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য সরবরাহসংকটে ভুগছে। এ ছাড়া এ আইন দেরিতে পাসের পক্ষে ছিলেন কয়েকজন আইনপ্রণেতা। এ প্রসঙ্গে ফ্লোরিডার সিনেটর মারকো রোবিও বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানই নিজেদের পণ্য সরবরাহব্যবস্থা ঠিক করছে। এ আইন নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগ থাকা উচিত নয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

উইঘুর–অধ্যুষিত এলাকার পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আইন পাস যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট সময় : ১২:৩৭:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উইঘুর–অধ্যুষিত চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নতুন একটি আইন পাস করল যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার ওই আইনে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, নতুন এই আইনের নাম ‘দ্য উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট’। উইঘুর ইস্যুতে চীনের ওপর চাপ বাড়াতে এই আইনটি পাস করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বেশ আগে থেকেই বলে আসছে, উইঘুরদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে চীন।
চীনের জিনজিয়াং অঞ্চল থেকে যেসব পণ্য আমদানি করা হয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে সুতা, টমেটো ও সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন যন্ত্রে ব্যবহৃত পলিসিলিকন। এই পণ্যগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে চীনের দাবি, সেখানে উইঘুরদের কোনো ধরনের নির্যাতন চালানো হচ্ছে না। চীনের এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সুতা উৎপাদন করা হয়। এ ছাড়া সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে যেসব যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়, তারও উৎপাদনের শীর্ষে চীন। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিভিন্ন দেশে এসব পণ্য রপ্তানি করে চীন। এদিকে আইন পাসের পর ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে সত্য উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া চীনের বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেনজিউ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষায় যেসব নিয়মকানুন রয়েছে, তা–ও লঙ্ঘিত হয়েছে এর মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানাচ্ছে সরকার। লিউ পেনজিউ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তার পাল্টা পদক্ষেপ নেবে চীন। তবে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা বিস্তারিত জানাননি তিনি।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নি¤œকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি পাস হয়। উইঘুর ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলেও চীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উইঘুর ও অন্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চীন শতাব্দীর ভয়াবহতম অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। এমন অপরাধকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ হিসেবেও অভিহিত করেছিলেন তিনি। যদিও এসব অভিযোগ বারবারই অস্বীকার করেছে চীন। মার্কিন সরকারের নতুন আইনের সমালোচনা করেছিল কোকাকোলা, নাইকি, অ্যাপলসহ বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য সরবরাহসংকটে ভুগছে। এ ছাড়া এ আইন দেরিতে পাসের পক্ষে ছিলেন কয়েকজন আইনপ্রণেতা। এ প্রসঙ্গে ফ্লোরিডার সিনেটর মারকো রোবিও বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানই নিজেদের পণ্য সরবরাহব্যবস্থা ঠিক করছে। এ আইন নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগ থাকা উচিত নয়।