ঢাকা ০৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

ঈদ শেষে শেষে স্বস্তিতে ফিরছে মানুষ

  • আপডেট সময় : ০৯:২২:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

গাবতলী বাস টার্মিনালের পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, ফিরতি যাত্রীর চাপ এখনো তুলনামূলক কম। তবে আজ শনিবার চাপ বাড়বে - ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি আজ শনিবারও অনেকের আছে। আগামীকাল রোববার থেকে সবারই অফিস। খুলে যাবে সব কিছুই। ফলে নাড়ির টানে ঢাকা ছাড়া মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন জীবিকার তাগিদে।
তবে বিগত বছরগুলোর মতো এবার নেই ভোগান্তি। তীব্র ভিড় আর আর যানবাহনের চাপ, কোনোটিই নেই রাজধানীর প্রবেশ ও বাহিরের মুখগুলোতে।
গাবতলী বাস টার্মিনালের পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, ফিরতি যাত্রীর চাপ এখনো তুলনামূলক কম। তবে আগামীকাল চাপ বাড়বে।
এদিকে রাজধানীতে ফিরতে কোথাও তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না বলে ভাষ্য যাত্রীদের। ভোগান্তিহীন যাত্রায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন নগরে ফেরা মানুষ।
সরেজমিনে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে বেড়েছে যান চলাচল। বেড়েছে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও। কিছুক্ষণ পর পর আসছে ফিরতি ঈদযাত্রার দূরপাল্লার বাস। একই সঙ্গে ফিরতি বাস এলে সিএনজি চালকদের যাত্রী খুঁজতে ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে। কাঙ্ক্ষিত যাত্রী পাচ্ছেন না বলে জানাচ্ছেন তারাও।
পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ শেষ করে নাটোর থেকে রাজধানীতে ফিরেছেন মো. অন্তর। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে অফিস শুরু হবে। তাই আজ ফিরে এসেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাস্তায় কোথাও যানজট বা কোনো ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। বাড়িতে গিয়েই ফিরতি টিকিট কেটে রেখেছিলাম। তাই আসার সময় টিকিট পাওয়ারও কোনো সমস্যা ছিল না। সব মিলেয়ে এবারের ঈদযাত্রায় যাতায়াত বা টিকিট পেতে কোনো ভোগান্তি ছিল না।
রংপুর থেকে পরিবার নিয়ে রাজধানীতে ফেরা মোহসীন বলেন, আগামীকাল ছুটি শেষ হবে। রোববার থেকে অফিস শুরু। যেহেতু পরিবার নিয়ে ফিরতে হলো তাই আজই ফিরে এলাম। তিনি বলেন, রাস্তার কোথাও তেমন কোনো ঝামেলা হয়নি। ভালোভাবেই যেতে ও আসতে পেরেছি। গাড়িতেও বিগত বছরগুলোর মতো অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ছিল না।
ফরিদপুর থেকে ঢাকায় ফিরলেন সৌরভ। তিনি বলেন, রাস্তায় কোথাও ভোগান্তি ছিল না। কোনো সমস্যা ছাড়াই ঢাকায় ফিরে আসতে পেরেছি। তিনি বলেন, আগে যাতায়াতের সময় ফেরিঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হতো। কিন্তু পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকেই মূলত আমাদের যাতায়াতের ভোগান্তি নিরসন হয়ে গেছে। তবে বিগত বছরগুলোতে টিকিট পেতে যে ভোগান্তি হতো এবার সেই ভোগান্তিতেও পড়িনি।
এদিকে আশানুরূপ যাত্রী না পাওয়ার অভিযোগ সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের। গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীর জন্য অপেক্ষারত সিএনজিচালক এরশাদুল বলেন, যাত্রী নেই। আগে দেখেছি গাবতলীতে একের পর এক গাড়ি ঢুকছে। যাত্রীরা নেমেই সিএনজি খোঁজা শুরু করেছে। এবার যাত্রী নেই। দেখেন কয়জন যাত্রী আসছে! তার থেকে বেশি সিএনজি।
অন্য এক চালক বলেন, সকাল থেকে গাবতলী থেকে মাত্র এক ট্রিপ পেয়েছি। যাত্রী নিয়ে কাজীপাড়া গিয়েছি। এরপর কাজীপাড়া থেকে ধানমন্ডি। সেই যাত্রী নামিয়ে আবার গাবতলী এসেছি। কিন্তু আসার পর থেকে বসেই আছি। কোনো যাত্রী নেই।
এদিকে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের চালকের সহকারী মো. আবির বলেন, যাত্রী আছে। আশা করা যায় আগামীকাল যাত্রীর চাপ আরো বাড়বে। গাড়িতে আসন খালি ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। সব ছিটেই যাত্রী ছিল। কিন্তু আগে যেমন যাত্রীর চাপে একাধিক গাড়ি ছেড়ে আসতো, এবার তেমন নেই। আবার গাড়িতেও অতিরিক্ত যাত্রী নেই।
হানিফ পরিবহনের চালকের সহকারী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, যাত্রী কম। এবার লম্বা ছুটি। তাই একসঙ্গে যাত্রীর চাপ নেই। কেউ আজ আসছে, কেউ কাল আসবে। আবার কেউ দুইদিন আগেই চলে আসছে। তবে আগামীকাল কিছুটা যাত্রী বাড়বে।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ঈদ শেষে শেষে স্বস্তিতে ফিরছে মানুষ

আপডেট সময় : ০৯:২২:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি আজ শনিবারও অনেকের আছে। আগামীকাল রোববার থেকে সবারই অফিস। খুলে যাবে সব কিছুই। ফলে নাড়ির টানে ঢাকা ছাড়া মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন জীবিকার তাগিদে।
তবে বিগত বছরগুলোর মতো এবার নেই ভোগান্তি। তীব্র ভিড় আর আর যানবাহনের চাপ, কোনোটিই নেই রাজধানীর প্রবেশ ও বাহিরের মুখগুলোতে।
গাবতলী বাস টার্মিনালের পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, ফিরতি যাত্রীর চাপ এখনো তুলনামূলক কম। তবে আগামীকাল চাপ বাড়বে।
এদিকে রাজধানীতে ফিরতে কোথাও তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না বলে ভাষ্য যাত্রীদের। ভোগান্তিহীন যাত্রায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন নগরে ফেরা মানুষ।
সরেজমিনে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে বেড়েছে যান চলাচল। বেড়েছে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও। কিছুক্ষণ পর পর আসছে ফিরতি ঈদযাত্রার দূরপাল্লার বাস। একই সঙ্গে ফিরতি বাস এলে সিএনজি চালকদের যাত্রী খুঁজতে ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে। কাঙ্ক্ষিত যাত্রী পাচ্ছেন না বলে জানাচ্ছেন তারাও।
পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ শেষ করে নাটোর থেকে রাজধানীতে ফিরেছেন মো. অন্তর। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বলেন, আগামীকাল থেকে অফিস শুরু হবে। তাই আজ ফিরে এসেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাস্তায় কোথাও যানজট বা কোনো ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। বাড়িতে গিয়েই ফিরতি টিকিট কেটে রেখেছিলাম। তাই আসার সময় টিকিট পাওয়ারও কোনো সমস্যা ছিল না। সব মিলেয়ে এবারের ঈদযাত্রায় যাতায়াত বা টিকিট পেতে কোনো ভোগান্তি ছিল না।
রংপুর থেকে পরিবার নিয়ে রাজধানীতে ফেরা মোহসীন বলেন, আগামীকাল ছুটি শেষ হবে। রোববার থেকে অফিস শুরু। যেহেতু পরিবার নিয়ে ফিরতে হলো তাই আজই ফিরে এলাম। তিনি বলেন, রাস্তার কোথাও তেমন কোনো ঝামেলা হয়নি। ভালোভাবেই যেতে ও আসতে পেরেছি। গাড়িতেও বিগত বছরগুলোর মতো অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ছিল না।
ফরিদপুর থেকে ঢাকায় ফিরলেন সৌরভ। তিনি বলেন, রাস্তায় কোথাও ভোগান্তি ছিল না। কোনো সমস্যা ছাড়াই ঢাকায় ফিরে আসতে পেরেছি। তিনি বলেন, আগে যাতায়াতের সময় ফেরিঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হতো। কিন্তু পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকেই মূলত আমাদের যাতায়াতের ভোগান্তি নিরসন হয়ে গেছে। তবে বিগত বছরগুলোতে টিকিট পেতে যে ভোগান্তি হতো এবার সেই ভোগান্তিতেও পড়িনি।
এদিকে আশানুরূপ যাত্রী না পাওয়ার অভিযোগ সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের। গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীর জন্য অপেক্ষারত সিএনজিচালক এরশাদুল বলেন, যাত্রী নেই। আগে দেখেছি গাবতলীতে একের পর এক গাড়ি ঢুকছে। যাত্রীরা নেমেই সিএনজি খোঁজা শুরু করেছে। এবার যাত্রী নেই। দেখেন কয়জন যাত্রী আসছে! তার থেকে বেশি সিএনজি।
অন্য এক চালক বলেন, সকাল থেকে গাবতলী থেকে মাত্র এক ট্রিপ পেয়েছি। যাত্রী নিয়ে কাজীপাড়া গিয়েছি। এরপর কাজীপাড়া থেকে ধানমন্ডি। সেই যাত্রী নামিয়ে আবার গাবতলী এসেছি। কিন্তু আসার পর থেকে বসেই আছি। কোনো যাত্রী নেই।
এদিকে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের চালকের সহকারী মো. আবির বলেন, যাত্রী আছে। আশা করা যায় আগামীকাল যাত্রীর চাপ আরো বাড়বে। গাড়িতে আসন খালি ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। সব ছিটেই যাত্রী ছিল। কিন্তু আগে যেমন যাত্রীর চাপে একাধিক গাড়ি ছেড়ে আসতো, এবার তেমন নেই। আবার গাড়িতেও অতিরিক্ত যাত্রী নেই।
হানিফ পরিবহনের চালকের সহকারী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, যাত্রী কম। এবার লম্বা ছুটি। তাই একসঙ্গে যাত্রীর চাপ নেই। কেউ আজ আসছে, কেউ কাল আসবে। আবার কেউ দুইদিন আগেই চলে আসছে। তবে আগামীকাল কিছুটা যাত্রী বাড়বে।