ঢাকা ০৪:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

ঈদ বাজারে পোশাকেই ব্যয় ৮০ শতাংশ

  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদুল ফিতর সামনে রেখে দেশের অর্থনীতি বেশ চাঙা হয়ে উঠছে। রমজানের শেষ দিকে এসে জমে উঠেছে কেনাকাটা। এবারের ঈদে আড়াই লাখ কোটি টাকা বিক্রির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। ঈদের কেনাকাটায় সাধারণ মানুষ যে অর্থ ব্যয় করছেন, তার ৮০ শতাংশই যাচ্ছে পোশাকের জন্য। রাজধানীর ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা জানান এমন তথ্য। ঈদের কেনাকাটায় মূল ব্যয় হয় পোশাকের জন্য। নতুন পোশাকের পাশাপাশি জুতা, বেল্ট, অর্নামেন্টস, প্রসাধনী, ঘর সাজানোর পণ্য এবং আসবাবপত্রও কেনেন কেউ কেউ। নতুন পোশাক কিনতে আসা বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি জানান, ঈদ উপলক্ষে তারা শুধু নতুন পোশাক কিনছেন।

বাকিরা নতুন পোশাকের পাশাপাশি কিনেছেন জুতা, অর্নামেন্টস, প্রসাধনী প্রভৃতি। নতুন পোশাক, জুতা, অর্নামেন্টস, প্রসাধনী- সবগুলো পণ্য কেনার কথা বলেছেন অন্তত ১৮ জন। নতুন পোশাকের পাশাপাশি যারা অন্য পণ্য কিনেছেন, তাদের অধিকাংশই জানান পোশাকের জন্যই ব্যয় হয়েছে ৭০-৮০ শতাংশ অর্থ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের বাজারে মূল বিক্রি হয় নতুন পোশাক। পাশাপাশি জুতা, অর্নামেন্টস, প্রসাধনী, ঘর সাজানোর জিনিস এবং কিছু আসবাবপত্রও বিক্রি হয়। তবে ঈদকেন্দ্রিক ক্রেতারা যে অর্থ ব্যয় করেন তার ৮০ শতাংশই যায় পোশাকের জন্য। বাকি ২০ শতাংশ অর্থ অন্য পণ্যে ব্যয় হয়। নিউমার্কেটে কথা হয় ক্রেতা জুলিয়া আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদে আমার কেনাকাটার জন্য আব্বু পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন। এই টাকা দিয়েই ঈদের কেনাকাটা শেষ করবো। চার হাজার টাকার মধ্যে দুটি থ্রি-পিস কিনবো।

বাকি টাকা দিয়ে এক জোড়া জুতা ও কিছু অর্নামেন্টস কিনবো।’ তেজগাঁও থেকে নিউমার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের জন্য একটা জিন্স প্যান্ট এবং একটি টি-শার্ট কিনতে এসেছি। এর বাইরে এবারের ঈদে আর কিছু কেনার ইচ্ছা নেই। আমার জুতা, বেল্ট সবকিছু আছে।’ ঈদের মূল কেনাকাটা তো নতুন পোশাক। আমার হিসেবে নতুন পোশাকের জন্যই ঈদের বাজেটের ৭০-৮০ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়। পাশাপাশি জুতা, বেল্ট, প্রসাধনী ও ঘরের সৌন্দর্যবর্ধক কিছু পণ্য কেনা হয়, তবে তার জন্য খুব বেশি অর্থ ব্যয় হয় না। পরিবার নিয়ে বসুন্ধরা শপিংমলে ঈদের কেনাকাটা করতে আসেন বেসরকারি চাকরিজীবী মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে এবং ওদের মাকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছি। সবাই নিজের পছন্দ অনুযায়ী কেনাকাটা করবো। নতুন পোশাকের পাশাপাশি সবার জন্য নতুন জুতা কেনার ইচ্ছা আছে।’ এই বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, ‘ঈদের মূল কেনাকাটা নতুন পোশাক। নতুন পোশাকের জন্যই ঈদের বাজেটের ৭০-৮০ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়। পাশাপাশি জুতা, বেল্ট, প্রসাধনী ও ঘরের সৌন্দর্যবর্ধক কিছু পণ্য কেনা হয়, তবে তার জন্য খুব বেশি অর্থ ব্যয় হয় না।’ রাজধানী সুপার মার্কেটে কথা হয় যাত্রাবাড়ী থেকে আসা কেয়া ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা বলতে আমি বুঝি নতুন পোশাক কেনা।

প্রতিবছরই ঈদে নতুন পোশাক কিনি, এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। আব্বু টাকা দিয়েছেন, আমি আমার পছন্দ মতো থ্রি-পিস কিনবো। থ্রি-পিসের সঙ্গে মিলিয়ে এক জোড়া কানের দুল কেনার ইচ্ছা আছে।’ বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে এক লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যবসা হয়। তার আগের বছর ২০২৩ সালে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা হয় এক লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকা। ১০ বছর আগে ২০১৫ সালে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা ছিল এক লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকার মতো। এবার ঈদকেন্দ্রিক আড়াই লাখ কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঈদ বাজারে পোশাকেই ব্যয় ৮০ শতাংশ

আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদুল ফিতর সামনে রেখে দেশের অর্থনীতি বেশ চাঙা হয়ে উঠছে। রমজানের শেষ দিকে এসে জমে উঠেছে কেনাকাটা। এবারের ঈদে আড়াই লাখ কোটি টাকা বিক্রির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। ঈদের কেনাকাটায় সাধারণ মানুষ যে অর্থ ব্যয় করছেন, তার ৮০ শতাংশই যাচ্ছে পোশাকের জন্য। রাজধানীর ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা জানান এমন তথ্য। ঈদের কেনাকাটায় মূল ব্যয় হয় পোশাকের জন্য। নতুন পোশাকের পাশাপাশি জুতা, বেল্ট, অর্নামেন্টস, প্রসাধনী, ঘর সাজানোর পণ্য এবং আসবাবপত্রও কেনেন কেউ কেউ। নতুন পোশাক কিনতে আসা বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি জানান, ঈদ উপলক্ষে তারা শুধু নতুন পোশাক কিনছেন।

বাকিরা নতুন পোশাকের পাশাপাশি কিনেছেন জুতা, অর্নামেন্টস, প্রসাধনী প্রভৃতি। নতুন পোশাক, জুতা, অর্নামেন্টস, প্রসাধনী- সবগুলো পণ্য কেনার কথা বলেছেন অন্তত ১৮ জন। নতুন পোশাকের পাশাপাশি যারা অন্য পণ্য কিনেছেন, তাদের অধিকাংশই জানান পোশাকের জন্যই ব্যয় হয়েছে ৭০-৮০ শতাংশ অর্থ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের বাজারে মূল বিক্রি হয় নতুন পোশাক। পাশাপাশি জুতা, অর্নামেন্টস, প্রসাধনী, ঘর সাজানোর জিনিস এবং কিছু আসবাবপত্রও বিক্রি হয়। তবে ঈদকেন্দ্রিক ক্রেতারা যে অর্থ ব্যয় করেন তার ৮০ শতাংশই যায় পোশাকের জন্য। বাকি ২০ শতাংশ অর্থ অন্য পণ্যে ব্যয় হয়। নিউমার্কেটে কথা হয় ক্রেতা জুলিয়া আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদে আমার কেনাকাটার জন্য আব্বু পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন। এই টাকা দিয়েই ঈদের কেনাকাটা শেষ করবো। চার হাজার টাকার মধ্যে দুটি থ্রি-পিস কিনবো।

বাকি টাকা দিয়ে এক জোড়া জুতা ও কিছু অর্নামেন্টস কিনবো।’ তেজগাঁও থেকে নিউমার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের জন্য একটা জিন্স প্যান্ট এবং একটি টি-শার্ট কিনতে এসেছি। এর বাইরে এবারের ঈদে আর কিছু কেনার ইচ্ছা নেই। আমার জুতা, বেল্ট সবকিছু আছে।’ ঈদের মূল কেনাকাটা তো নতুন পোশাক। আমার হিসেবে নতুন পোশাকের জন্যই ঈদের বাজেটের ৭০-৮০ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়। পাশাপাশি জুতা, বেল্ট, প্রসাধনী ও ঘরের সৌন্দর্যবর্ধক কিছু পণ্য কেনা হয়, তবে তার জন্য খুব বেশি অর্থ ব্যয় হয় না। পরিবার নিয়ে বসুন্ধরা শপিংমলে ঈদের কেনাকাটা করতে আসেন বেসরকারি চাকরিজীবী মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে এবং ওদের মাকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছি। সবাই নিজের পছন্দ অনুযায়ী কেনাকাটা করবো। নতুন পোশাকের পাশাপাশি সবার জন্য নতুন জুতা কেনার ইচ্ছা আছে।’ এই বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, ‘ঈদের মূল কেনাকাটা নতুন পোশাক। নতুন পোশাকের জন্যই ঈদের বাজেটের ৭০-৮০ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়। পাশাপাশি জুতা, বেল্ট, প্রসাধনী ও ঘরের সৌন্দর্যবর্ধক কিছু পণ্য কেনা হয়, তবে তার জন্য খুব বেশি অর্থ ব্যয় হয় না।’ রাজধানী সুপার মার্কেটে কথা হয় যাত্রাবাড়ী থেকে আসা কেয়া ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা বলতে আমি বুঝি নতুন পোশাক কেনা।

প্রতিবছরই ঈদে নতুন পোশাক কিনি, এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। আব্বু টাকা দিয়েছেন, আমি আমার পছন্দ মতো থ্রি-পিস কিনবো। থ্রি-পিসের সঙ্গে মিলিয়ে এক জোড়া কানের দুল কেনার ইচ্ছা আছে।’ বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে এক লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যবসা হয়। তার আগের বছর ২০২৩ সালে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা হয় এক লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকা। ১০ বছর আগে ২০১৫ সালে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা ছিল এক লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকার মতো। এবার ঈদকেন্দ্রিক আড়াই লাখ কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।