ঢাকা ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঈদ পোশাকের বিশেষ আয়োজন

  • আপডেট সময় : ০২:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১
  • ২৬৭ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : কয়েকদিন পরেই ঈদ। করোনার মধ্যেও মার্কেট শপিংমল খোলা। এবার তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অল্প সময়েই ঈদের কেনাকাটা সম্পন্ন করা ভালো। কেনার সুযোগ আছে অনলাইনেও। ক্রেতাদের সুবিধার্ধে বিশ্বরঙ, কে ক্র্যাফট, নিপুণ, রঙ বাংলাদেশ, সারা এবং লা রিভের বিশেষ ঈদ সম্ভার নিয়েই এবারের লাইফস্টাইলের প্রধান ফিচার।

বিশ্বরঙ’য়ের শ্রদ্ধা : বিশ্বরঙ-এর সহযোগী ব্রান্ড ‘শ্রদ্ধা’ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের জন্য নিয়ে এসেছে নতুন সব আয়োজন। দেশীয় কাপড়ে ঢিলেঢালা আড়ামদায়ক ধাঁচে, উজ্জ্বল রংয়ের পরিবর্তে সহজিয়া শীতলতম হালকা রং মূলত ‘শ্রদ্ধা’র পোশাকের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। শাড়ি, থ্রিপিস, কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট, টিশার্টসহ নিত্য ব্যাবহার্য সব ধরনের পণ্য রয়েছে।
কাপড় হিসেবে সুতি, লিনেন, তাঁত প্রভৃতি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে গরমের কথা মাথায় রেখে। তবে উৎসবের পোশাক হিসেবে সিল্ক, মসলিন, তসর, জর্জেট প্রভৃতি কাপড়ও থাকছে। রংয়ের ব্যবহারে পরিমিতবোধ লক্ষ করা যায়। কাজের মাধ্যম হিসাবে এসেছে এম্ব্রয়ডারি, জারদৌসি, কারচুপি, কাটওর্য়াক, স্ক্রিন প্রিন্টসহ মিশ্র মাধ্যমের নিজস্ব বিভিন্ন কৌশল।
যেকেউ ঘরে বসেই শোরুমের সকল সামগ্রী কেনাকাটা করতে পারবে অনলাইনে।
কে ক্র্যাফট : রং ও মোটিফের বৈচিত্র্য এবং কাপড় ও স্টাইলিংএর সমন্বয়ে সমৃদ্ধ করেছে তাদের আয়োজন। এবারের পোশাক সারিতে রয়েছে- শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, লং-কুর্তি, রেগুলার কুর্তি, টপস-স্কার্ট, কটি, পাঞ্জাবি, শার্ট, পোলোশার্ট, টি-শার্ট ও শিশুদের জন্য নানান আয়োজন। যুগল ও ফ্যামিলি পোশাক রয়েছে বরাবরের মতো।
জামদানি, ফ্লোরাল, নকশীকাঁথা, কুশিকাটা, টেক্সটাইল টেক্সচার, বেলারুশ ট্র্যাডিশনাল মোটিফ, টার্কিশআর্ট ও ইসলামিক মোটিফের ছোঁয়ায় বৈচিত্র্যময় কাপড় ও প্যাটার্নে সাজানো হয়েছে ঈদের আয়োজন।
কাপড় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে- হ্যান্ডলুম কটন, ভয়েল, লিনেন, টু-টোন কটন, এন্ডি কটন, হাফ সিল্ক, জর্জেট ইত্যাদি। গাঢ় ও উজ্জ্বল রং এবং প্যাটার্নে ক্লাসিক ও আধুনিক দু-রূপই বিদ্যমান।
অফ হোয়াইট, কোড়া, কালো, সোনালি, নীল, গোলাপি, সবুজ, ল্যাভেন্ডার, পেস্ট, পিচ, মেরুন, কফি, মিষ্টি গোলাপি, কোরাল, ফিরোজা, অলিভগ্রিন-এর নানান শেইডসহ, পোশাকে হাতের কাজ, এম্ব্রয়ডারি, স্ক্রিন ও ব্লকপ্রিন্ট, কারচুপি এবং টাই-ডাই-এর মাধ্যমে অলংকরণ করা হয়েছে। ঈদ পোশাকের যৌক্তিক মূল্য ক্রেতাদের দেবে স্বস্তি।
ঘরে বসে সহজে পছন্দের পোশাকটি পেতে নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছে কে ক্র্যাফট-এর অনলাইন স্টোর। দেশে বিদেশে থাকছে বিনামূল্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা।
প্রতিটি পোশাকের নানান কোণ থেকে নেওয়া ফটেগ্রাফি ক্রেতাকে পছন্দের পোশাক বেছে নিতে সাহায্য করবে। সঙ্গে রয়েছে এসএসএল কমার্স সেবার মাধ্যমে নিরাপদ মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা।
রোজার মাসে ১০০ ডলারের বেশি অর্ডার করলেই, বিনা খরচে পণ্য চলে যাবে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে আপনার ঠিকানায়। আর সারা বাংলাদেশজুড়েই থাকছে ফ্রি ডেলিভারির সুবিধা।
এ ছাড়াও বিশেষ বিশেষ বাংক কার্ডে থাকছে ১৫ শতাংশ মূল্যছাড়। ইন্টারন্যাশনাল ডেলিভারি পার্টনার হিসাবে থাকছে ডিএইচএল, ফেড-এক্স। এছাড়া কে ক্র্যাফটের ফেইসবুক পেইজ থেকেও অর্ডার করা যাবে ২৪ ঘণ্টা।
নিপুণ : প্রকৃতির পরিবর্তন, গরমের তীব্রতা। তাই ক্রেতাদের উপযোগী পোশাকে সমৃদ্ধ হয়েছে তারা। কাপড় হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে সুতি, লিনেন, জয়সিল্ক ও তাঁত। মোটিফের ক্ষেত্রে ফ্লোরাল, দেশীয় রাজবাড়ি, ইসলামিক প্রাধান্য পেয়েছে।
রয়েছে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, কুর্তি, সিঙ্গেল পিস, পাঞ্জাবি, শার্ট, ফতুয়া। আর এই ঈদে শিশুদের পোশাকে ‘নিপুণ’ সেজেছে ভিন্ন সাজে।
মূল্যসীমা ৭৫০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
রঙ বাংলাদেশ : প্রতিবারের মতো এবারও বিষয়নির্ভর কালেকশন তৈরি করা হয়েছে। তিনটি বিশেষ বিষয়ে তৈরি হয়েছে পোশাক। ইসলামিক নকশা, ফ্লোরাল ও ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল। তিন বিষয়েই পোশাক নকশায় গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় আবহ। পাশাপাশি রয়েছে সময়, প্রকৃতি, আবহাওয়া আর আন্তর্জাতিক ট্রেন্ড। এবারের ঈদ কালেকশন তৈরি করা হয়েছে আরামদায়ক কাপড়ে।
রয়েছে যুগল ও পরিবারের সদস্যদের মেলানো পোশাক। আরও রয়েছে গহনা, মেয়েদের ব্যাগ, পার্স, লেডিস জুতা, মানিব্যাগ, বেডকাভার, পিলো কাভার, টেবিল ম্যাট, ফ্লোর ম্যাট, শোপিস। উপহার সামগ্রী হিসাবে রয়েছে নানান ডিজাইনের মগ।
এছাড়াও তাদের সাব ব্র্যান্ড হিসাবে থাকছে: তরুণ প্রজন্মের পছন্দকে মাথায় রেখে ওয়েস্ট রঙ এর পোশাক, বয়োজ্যেষ্ঠদের আপন ভুবন শ্রদ্ধাঞ্জলি আর শিশুতোষ ফ্যাশনের আনন্দময় ভুবন রঙ জুনিয়র এর ঈদ আয়োজন। ব্যবহৃত রং- লাল, মেজেন্টা, নীল, কমলা, ক্রিম, ফিরোজা, টিয়া, লেমন, ব্রাউন। ভ্যালু অ্যাডেড মিডিয়া হিসেবে রয়েছে স্ক্রিনপ্রিন্ট, ব্লকপ্রিন্ট, হ্যান্ডওয়ার্ক, কারচুপি, প্যাচওয়ার্ক।
কাপড় হিসেবে রয়েছে তাঁতে বোনা সুতি কাপড়, লিলেন, মসলিন, হাফসিল্ক। সংগ্রহে রয়েছে- শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, সিঙ্গেল কামিজ, স্কার্ট-টপস সেট, প্লাজো, আনস্টিচ, ওড়না, ব্লাউজপিস, তৈরি ব্লাউজ, পাঞ্জাবি, শার্ট, কাতুয়া, টি-শার্ট, পায়জামা, গেঞ্জি, লুঙ্গি, টুপি। ছোটদের সালোয়ার কামিজ, সিঙ্গেল কামিজ, ফ্রক, স্কার্ট-টপস সেট, টপস, প্লাজো, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট। পোশাকের মূল্যসীমা- সাড়ে ৩শ’ থেকে ২০ হাজার টাকা।
সারা : ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে রয়েছে তাদের ঈদ কালেকশন।
এছাড়াও সকল স্বাস্থ্য নিরাপত্তা মেনে ঢাকাসহ সারাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে সারা’র নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পণ্য অর্ডার করলেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে পছন্দের পোশাক। সারা’র এবারের ঈদ আয়োজনের সকল পোশাকের অলঙ্করণে বেছে নেওয়া হয়েছে স্ক্রিন প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট, কারচুপি, এম্ব্রয়ডারির কাজ। জিওমেট্রিক, ট্র্যাডিশনাল, ফ্লোরাল এমন অনেক কিছুই থাকছে এসব পোশাকের মোটিফ হিসেবে। এছাড়াও রংয়ের ক্ষেত্রে ভাইব্রেন্ট রাখা হয়েছে। রয়েছে সিঙ্গেল পিস কামিজ, লন থ্রি পিস, আনইস্টিচ লন, আকর্ষণীয় পার্টি থ্রি পিস, এথনিক কূর্তি, ফ্যাশন টপস, কাফতান, সূতীর শাড়ি, ডিজিটাল প্রিন্টের শাড়ি এবং ডেনিম-এর কালেকশন। পাঞ্জাবি, কাবলি সেট, সিঙ্গেল পিস কাবলি, ক্যাজুয়াল শার্ট, ফরমাল শার্ট, টি শার্ট, পোলো শার্ট, ফতুয়া, কাতুয়া, ডেনিম প্যান্ট, চিনো প্যান্ট, কার্গো প্যান্ট, পায়জামা ইত্যাদি।
ক্রেতারা এসব পোশাক পেয়ে যাবেন ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে। পাশাপাশি এক্সক্লুসিভ শাড়ি থাকছে যার মূল্য ১৪,৫০০ টাকা।
লা রিভের নার্গিসাস : সৌন্দর্য্য, আভিজাত্য আর মুগ্ধতার ধারণাকে আপন করে সৃষ্টিকরা হয়েছে তাদের প্রথম ‘হাই-এন্ড’ বা অভিজাত ফ্যাশন লেবেল – নার্গিসাস। শুধু পার্টির পোশাক নয়, নিজের স্বপ্ন এবং শখ পূরণের সব ধরনের পোশাক পাওয়া যাবে ইএক্সক্লুসিভ লেবেলে।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মন্নুজান নার্গিস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেন, ‘বিউটি, প্যাশন ও লাভ-একমাত্র এই তিন শব্দেই নার্গিসাসকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। নার্গিসাসের এই লিমিটেড এডিশন পোশাকগুলো পরে মনে হবে, আপনি স্বপ্নের পোশাকটিই পরে আছেন।’ পিওর মসলিন, সাটিন-ভিসকোস, সিল্ক, শিফন, টিস্যু, অরগাঞ্জা, ফেইলিও সেলুলোজ- বেজড কাপড়ে রয়েছে কামিজ, পার্টি-গাউন, লংটিউনিক ও শ্রাগ, স্কার্ট-টপ, স্কার্ট-পালাজ্জো, এক্সট্রা লেংথ সালোয়ার কামিজ সেট এবং টাইডাই ও অল-ওভার প্রিন্ট করা শিফন ও মসলিন ওড়না। পোশাকে টায়ার, ফ্লেয়ার, র‌্যাফল, ড্রেপ ও ফ্রিল নিয়ে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে ভারী জারদৌজি, কারচুপি এবং হাতের কাজ। রং হিসেবে থাকছে প্যাস্টেল-শেইড যেমন বেইজ ক্রিম, সাদা, লেমন, গোল্ডেন, পিচ, পিংক, পার্পেল, সবুজ, নীল, ফিরোজা, হলুদ। সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার রূপায়ণ শপিং স্কয়ারে এই ফ্যাশন ব্র্যান্ডের নতুন বিক্রয়কেন্দ্র যাত্রা শুরু করেছে। এছাড়াও ঘরে বসে কেনার জন্য তাদের রয়েছে অনলাইন সেবা।-
করোনা সংক্রমণ এড়াতে এবং হলে যে খাবারগুলো খাওয়া জরুরি
লাইফস্টাইল ডেস্ক : করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে দেশব্যাপী। এ মুহূর্তে সবারই ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিকর খাবারের বিকল্প নেই। ঠিক তেমনই বেশ কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে না বরং কমতে শুরু করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা সংক্রমণ এড়ানোর সবচেয়ে বড় হাতিহার হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এর মতে, সুষম খাদ্য গ্রহণ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ফলে সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমে। তাই করোনা সংক্রমণ এড়াতে হলে বাড়াতে হবে শরীরের ইমিউনিটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এ সময় সবার উচিত ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার, প্রোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। করোনা সংক্রমণ এড়াতে ডায়েটে কোন খাবারগুলো রাখা উচিত, জেনে নিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এর গাইডলাইন-
পানি বেশি, চিনি কম: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসারে, প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি খাওয়া জরুরি এ সময়। এর ফলে দেহে পানির অভাব হবে না। সেইসঙ্গে শরীরের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মনে রাখবেন, এখন যেহেতু রোজার মাস তাই সারাদিন পানি খাওয়া হবে না। তাই ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত ৮-১০ গ্লাস পানি খেতেই হবে।
পাশাপাশি বিভিন্ন পানীয়তে চিনির ব্যবহার বন্ধ করুন। ইফতারে সবাই কমবেশি মিষ্টিজাতীয় শরবত বা খাবার খেয়ে থাকেন। এ সময় অবশ্যই তা এড়িয়ে চলতে হবে। এ ছাড়াও চিনি মেশানো কোনো পানীয়, কোমল পানীয়, জুস বা খাবার একেবারেই পরিহার করতে হবে।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন : করোনা সংক্রমণ এড়াতে সবারই স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করতে হবে। এজন্য নিয়মিত শরীরচর্চা, ধ্যান এবং পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। এতে করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। শক্তিশালী করবে।
মাংস কম, সবজি বেশি : করোনাকালে চর্বিজাতীয় খাবারের বদলে শাক-সবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া গাইডলাইন অনুসারে, সপ্তাহে ১-২ বার লাল মাংস খেতে পারবেন; তবে এর বেশি নয়। এ ছাড়াও মাছ, ডিম এবং দুধ নিয়মিত খেতে পারেন।
শস্য এবং বাদাম খান : বিভিন্ন শস্য উপাদান এবং বাদাম ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ভুট্টা, ওটস, গম, বাদামি চাল ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও পুষ্টিগুণ থাকে। দৈনিক ১৮০ গ্রাম শস্য খেলে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। একই সঙ্গে ডায়েটে এ সময় ফলসহ বাদাম, নারকেল, পেস্তা জাতীয় বাদামও রাখতে হবে।
ফল এবং সবজি খেতে হবে : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বেশ ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সংক্রমণ এড়াতে পেয়ারা, আপেল, কলা, রুটবেরি, আঙুর, আনারস, পেঁপে, কমলা জাতীয় ফল প্রতিদিন দুই কাপ করে খাবেন। অন্যদিকে সবজির মধ্যে সবুজ ক্যাপসিকাম, কাঁচা মরিচ, রসুন, আদা, কলা, ধনেপাতা, কাঁচা মরিচ, ব্রোকলি খেতে হবে। চিনি, লবণ এবং ফ্যাটযুক্ত খাবারের চেয়ে বেশি তাজা ফল এবং কাঁচা শাকসবজি খাওয়া উচিত। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
যেসব খাবার পরিহার করবেন : এ সময় অতিরিক্ত লবণ দেওয়া খাবার খেলে খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে। করোনাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন ৫ গ্রামের বেশি লবণ না খাওয়াই ভালো। এবার জেনে নিন করোনা সংক্রমণ এড়াতে রান্নাঘরের যে বিষয়গুলো সবসময় অনুসরণ করবেন-

প্রতিবার খাওয়ার আগে পানি দিয়ে ফল ও সবজি ধুয়ে নিন।
ব্যবহারের আগে এবং পরে বাসনপত্র ধুয়ে রাখুন।
সবসময় রান্না করা এবং কাঁচা খাবার আলাদা করে রাখুন।
খুব বেশি গরম খাবার খোলা রাখবেন না বা পরিবেশন করবেন না। এতে সহজেই খাবারে জীবাণু জমতে পারে।
শাকসবজি বেশি রান্না করবেন না। এতে ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টি উপাদানগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
আক্রান্ত হলে যেসব খাবার বেশি খাবেন : করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের বেশিরভাগই বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেন। বাড়িতে ঠিকঠাকভাবে খাওয়া-দাওয়া করলে লড়াই করা যাবে এই কঠিন ভাইরাসের সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী গ্রহণ করতে হবে, এবং কী এড়িয়ে চলতে হবে তা জেনে নিন।
করোনাভাইরাসের কারণে পেটের সমস্যা দেখা দিলে লেবু অথবা ভিনিগারের মতো খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত এই সময়ে।
এমনিতে গরম তার উপর করোনার চোখ রাঙানির ফলে নাজেহাল হয়ে পড়েছে সকলে। এই সময়ে প্রচুর পরিমানে পানি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকেরা। তারা জানিয়েছে, করোনায় পেটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যার ফলে আমাদের প্রচুর পরিমাণে পানি, ডাবের পানি, আদা মধু দিয়ে চা পান করা দরকার।
করোনার বড় উপসর্গ হচ্ছে স্বাদ কিংবা গন্ধ না মেলা। করোনার কারণে হঠাৎ করে স্বাদ চলে যাওয়ার ফলে অতিরিক্ত তেল-মশলা যুক্ত খাবার খেতে সমস্যা দেখা দিতে পারে সংক্রমিত ব্যক্তির। সেই কারণে এই সময়ে তেল-ঝাল-মশলা যুক্ত খাবার না খাওয়া ভালো। অল্প মশলাজাত খাবার খেতে সমস্যা হলে সিদ্ধ রান্না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। করোনা সংক্রমণ থেকে রেহাই পাবার জন্য অনেকে নানা ধরণের ওষুধ খেয়ে চলেছেন। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ না নিয়ে ওষুধ খেলে হতে পারে নানা বিপদ। যে কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করে খাওয়া দরকার। করোনার সঙ্গে লড়াই করার জন্য শরীরে ইমিউনিটি খুব দরকার বর্তমান সময়ে। অনেকে শরীরে ইমিউনিটি বাড়াতে নানা ধরনের ওষুধ খেয়েও চলেছে। তবে প্রতিদিন সকালে লেবু পানি খেলে বাড়তে পারে ইমিউনিটি। পাশাপাশি কারি পাতা, তুলসি পাতা এবং মধু মিশিয়ে খেলে বৃদ্ধি পেতে পারে শরীরে ইমিউনিটি পরিমাণ। সূত্র: এনবিটি

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঈদ পোশাকের বিশেষ আয়োজন

আপডেট সময় : ০২:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্ক : কয়েকদিন পরেই ঈদ। করোনার মধ্যেও মার্কেট শপিংমল খোলা। এবার তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অল্প সময়েই ঈদের কেনাকাটা সম্পন্ন করা ভালো। কেনার সুযোগ আছে অনলাইনেও। ক্রেতাদের সুবিধার্ধে বিশ্বরঙ, কে ক্র্যাফট, নিপুণ, রঙ বাংলাদেশ, সারা এবং লা রিভের বিশেষ ঈদ সম্ভার নিয়েই এবারের লাইফস্টাইলের প্রধান ফিচার।

বিশ্বরঙ’য়ের শ্রদ্ধা : বিশ্বরঙ-এর সহযোগী ব্রান্ড ‘শ্রদ্ধা’ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের জন্য নিয়ে এসেছে নতুন সব আয়োজন। দেশীয় কাপড়ে ঢিলেঢালা আড়ামদায়ক ধাঁচে, উজ্জ্বল রংয়ের পরিবর্তে সহজিয়া শীতলতম হালকা রং মূলত ‘শ্রদ্ধা’র পোশাকের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। শাড়ি, থ্রিপিস, কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট, টিশার্টসহ নিত্য ব্যাবহার্য সব ধরনের পণ্য রয়েছে।
কাপড় হিসেবে সুতি, লিনেন, তাঁত প্রভৃতি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে গরমের কথা মাথায় রেখে। তবে উৎসবের পোশাক হিসেবে সিল্ক, মসলিন, তসর, জর্জেট প্রভৃতি কাপড়ও থাকছে। রংয়ের ব্যবহারে পরিমিতবোধ লক্ষ করা যায়। কাজের মাধ্যম হিসাবে এসেছে এম্ব্রয়ডারি, জারদৌসি, কারচুপি, কাটওর্য়াক, স্ক্রিন প্রিন্টসহ মিশ্র মাধ্যমের নিজস্ব বিভিন্ন কৌশল।
যেকেউ ঘরে বসেই শোরুমের সকল সামগ্রী কেনাকাটা করতে পারবে অনলাইনে।
কে ক্র্যাফট : রং ও মোটিফের বৈচিত্র্য এবং কাপড় ও স্টাইলিংএর সমন্বয়ে সমৃদ্ধ করেছে তাদের আয়োজন। এবারের পোশাক সারিতে রয়েছে- শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, লং-কুর্তি, রেগুলার কুর্তি, টপস-স্কার্ট, কটি, পাঞ্জাবি, শার্ট, পোলোশার্ট, টি-শার্ট ও শিশুদের জন্য নানান আয়োজন। যুগল ও ফ্যামিলি পোশাক রয়েছে বরাবরের মতো।
জামদানি, ফ্লোরাল, নকশীকাঁথা, কুশিকাটা, টেক্সটাইল টেক্সচার, বেলারুশ ট্র্যাডিশনাল মোটিফ, টার্কিশআর্ট ও ইসলামিক মোটিফের ছোঁয়ায় বৈচিত্র্যময় কাপড় ও প্যাটার্নে সাজানো হয়েছে ঈদের আয়োজন।
কাপড় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে- হ্যান্ডলুম কটন, ভয়েল, লিনেন, টু-টোন কটন, এন্ডি কটন, হাফ সিল্ক, জর্জেট ইত্যাদি। গাঢ় ও উজ্জ্বল রং এবং প্যাটার্নে ক্লাসিক ও আধুনিক দু-রূপই বিদ্যমান।
অফ হোয়াইট, কোড়া, কালো, সোনালি, নীল, গোলাপি, সবুজ, ল্যাভেন্ডার, পেস্ট, পিচ, মেরুন, কফি, মিষ্টি গোলাপি, কোরাল, ফিরোজা, অলিভগ্রিন-এর নানান শেইডসহ, পোশাকে হাতের কাজ, এম্ব্রয়ডারি, স্ক্রিন ও ব্লকপ্রিন্ট, কারচুপি এবং টাই-ডাই-এর মাধ্যমে অলংকরণ করা হয়েছে। ঈদ পোশাকের যৌক্তিক মূল্য ক্রেতাদের দেবে স্বস্তি।
ঘরে বসে সহজে পছন্দের পোশাকটি পেতে নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছে কে ক্র্যাফট-এর অনলাইন স্টোর। দেশে বিদেশে থাকছে বিনামূল্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা।
প্রতিটি পোশাকের নানান কোণ থেকে নেওয়া ফটেগ্রাফি ক্রেতাকে পছন্দের পোশাক বেছে নিতে সাহায্য করবে। সঙ্গে রয়েছে এসএসএল কমার্স সেবার মাধ্যমে নিরাপদ মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা।
রোজার মাসে ১০০ ডলারের বেশি অর্ডার করলেই, বিনা খরচে পণ্য চলে যাবে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে আপনার ঠিকানায়। আর সারা বাংলাদেশজুড়েই থাকছে ফ্রি ডেলিভারির সুবিধা।
এ ছাড়াও বিশেষ বিশেষ বাংক কার্ডে থাকছে ১৫ শতাংশ মূল্যছাড়। ইন্টারন্যাশনাল ডেলিভারি পার্টনার হিসাবে থাকছে ডিএইচএল, ফেড-এক্স। এছাড়া কে ক্র্যাফটের ফেইসবুক পেইজ থেকেও অর্ডার করা যাবে ২৪ ঘণ্টা।
নিপুণ : প্রকৃতির পরিবর্তন, গরমের তীব্রতা। তাই ক্রেতাদের উপযোগী পোশাকে সমৃদ্ধ হয়েছে তারা। কাপড় হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে সুতি, লিনেন, জয়সিল্ক ও তাঁত। মোটিফের ক্ষেত্রে ফ্লোরাল, দেশীয় রাজবাড়ি, ইসলামিক প্রাধান্য পেয়েছে।
রয়েছে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, কুর্তি, সিঙ্গেল পিস, পাঞ্জাবি, শার্ট, ফতুয়া। আর এই ঈদে শিশুদের পোশাকে ‘নিপুণ’ সেজেছে ভিন্ন সাজে।
মূল্যসীমা ৭৫০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
রঙ বাংলাদেশ : প্রতিবারের মতো এবারও বিষয়নির্ভর কালেকশন তৈরি করা হয়েছে। তিনটি বিশেষ বিষয়ে তৈরি হয়েছে পোশাক। ইসলামিক নকশা, ফ্লোরাল ও ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল। তিন বিষয়েই পোশাক নকশায় গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় আবহ। পাশাপাশি রয়েছে সময়, প্রকৃতি, আবহাওয়া আর আন্তর্জাতিক ট্রেন্ড। এবারের ঈদ কালেকশন তৈরি করা হয়েছে আরামদায়ক কাপড়ে।
রয়েছে যুগল ও পরিবারের সদস্যদের মেলানো পোশাক। আরও রয়েছে গহনা, মেয়েদের ব্যাগ, পার্স, লেডিস জুতা, মানিব্যাগ, বেডকাভার, পিলো কাভার, টেবিল ম্যাট, ফ্লোর ম্যাট, শোপিস। উপহার সামগ্রী হিসাবে রয়েছে নানান ডিজাইনের মগ।
এছাড়াও তাদের সাব ব্র্যান্ড হিসাবে থাকছে: তরুণ প্রজন্মের পছন্দকে মাথায় রেখে ওয়েস্ট রঙ এর পোশাক, বয়োজ্যেষ্ঠদের আপন ভুবন শ্রদ্ধাঞ্জলি আর শিশুতোষ ফ্যাশনের আনন্দময় ভুবন রঙ জুনিয়র এর ঈদ আয়োজন। ব্যবহৃত রং- লাল, মেজেন্টা, নীল, কমলা, ক্রিম, ফিরোজা, টিয়া, লেমন, ব্রাউন। ভ্যালু অ্যাডেড মিডিয়া হিসেবে রয়েছে স্ক্রিনপ্রিন্ট, ব্লকপ্রিন্ট, হ্যান্ডওয়ার্ক, কারচুপি, প্যাচওয়ার্ক।
কাপড় হিসেবে রয়েছে তাঁতে বোনা সুতি কাপড়, লিলেন, মসলিন, হাফসিল্ক। সংগ্রহে রয়েছে- শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, সিঙ্গেল কামিজ, স্কার্ট-টপস সেট, প্লাজো, আনস্টিচ, ওড়না, ব্লাউজপিস, তৈরি ব্লাউজ, পাঞ্জাবি, শার্ট, কাতুয়া, টি-শার্ট, পায়জামা, গেঞ্জি, লুঙ্গি, টুপি। ছোটদের সালোয়ার কামিজ, সিঙ্গেল কামিজ, ফ্রক, স্কার্ট-টপস সেট, টপস, প্লাজো, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট। পোশাকের মূল্যসীমা- সাড়ে ৩শ’ থেকে ২০ হাজার টাকা।
সারা : ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে রয়েছে তাদের ঈদ কালেকশন।
এছাড়াও সকল স্বাস্থ্য নিরাপত্তা মেনে ঢাকাসহ সারাদেশে অনলাইনের মাধ্যমে সারা’র নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পণ্য অর্ডার করলেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে পছন্দের পোশাক। সারা’র এবারের ঈদ আয়োজনের সকল পোশাকের অলঙ্করণে বেছে নেওয়া হয়েছে স্ক্রিন প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট, কারচুপি, এম্ব্রয়ডারির কাজ। জিওমেট্রিক, ট্র্যাডিশনাল, ফ্লোরাল এমন অনেক কিছুই থাকছে এসব পোশাকের মোটিফ হিসেবে। এছাড়াও রংয়ের ক্ষেত্রে ভাইব্রেন্ট রাখা হয়েছে। রয়েছে সিঙ্গেল পিস কামিজ, লন থ্রি পিস, আনইস্টিচ লন, আকর্ষণীয় পার্টি থ্রি পিস, এথনিক কূর্তি, ফ্যাশন টপস, কাফতান, সূতীর শাড়ি, ডিজিটাল প্রিন্টের শাড়ি এবং ডেনিম-এর কালেকশন। পাঞ্জাবি, কাবলি সেট, সিঙ্গেল পিস কাবলি, ক্যাজুয়াল শার্ট, ফরমাল শার্ট, টি শার্ট, পোলো শার্ট, ফতুয়া, কাতুয়া, ডেনিম প্যান্ট, চিনো প্যান্ট, কার্গো প্যান্ট, পায়জামা ইত্যাদি।
ক্রেতারা এসব পোশাক পেয়ে যাবেন ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে। পাশাপাশি এক্সক্লুসিভ শাড়ি থাকছে যার মূল্য ১৪,৫০০ টাকা।
লা রিভের নার্গিসাস : সৌন্দর্য্য, আভিজাত্য আর মুগ্ধতার ধারণাকে আপন করে সৃষ্টিকরা হয়েছে তাদের প্রথম ‘হাই-এন্ড’ বা অভিজাত ফ্যাশন লেবেল – নার্গিসাস। শুধু পার্টির পোশাক নয়, নিজের স্বপ্ন এবং শখ পূরণের সব ধরনের পোশাক পাওয়া যাবে ইএক্সক্লুসিভ লেবেলে।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মন্নুজান নার্গিস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেন, ‘বিউটি, প্যাশন ও লাভ-একমাত্র এই তিন শব্দেই নার্গিসাসকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। নার্গিসাসের এই লিমিটেড এডিশন পোশাকগুলো পরে মনে হবে, আপনি স্বপ্নের পোশাকটিই পরে আছেন।’ পিওর মসলিন, সাটিন-ভিসকোস, সিল্ক, শিফন, টিস্যু, অরগাঞ্জা, ফেইলিও সেলুলোজ- বেজড কাপড়ে রয়েছে কামিজ, পার্টি-গাউন, লংটিউনিক ও শ্রাগ, স্কার্ট-টপ, স্কার্ট-পালাজ্জো, এক্সট্রা লেংথ সালোয়ার কামিজ সেট এবং টাইডাই ও অল-ওভার প্রিন্ট করা শিফন ও মসলিন ওড়না। পোশাকে টায়ার, ফ্লেয়ার, র‌্যাফল, ড্রেপ ও ফ্রিল নিয়ে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে ভারী জারদৌজি, কারচুপি এবং হাতের কাজ। রং হিসেবে থাকছে প্যাস্টেল-শেইড যেমন বেইজ ক্রিম, সাদা, লেমন, গোল্ডেন, পিচ, পিংক, পার্পেল, সবুজ, নীল, ফিরোজা, হলুদ। সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার রূপায়ণ শপিং স্কয়ারে এই ফ্যাশন ব্র্যান্ডের নতুন বিক্রয়কেন্দ্র যাত্রা শুরু করেছে। এছাড়াও ঘরে বসে কেনার জন্য তাদের রয়েছে অনলাইন সেবা।-
করোনা সংক্রমণ এড়াতে এবং হলে যে খাবারগুলো খাওয়া জরুরি
লাইফস্টাইল ডেস্ক : করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে দেশব্যাপী। এ মুহূর্তে সবারই ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিকর খাবারের বিকল্প নেই। ঠিক তেমনই বেশ কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে না বরং কমতে শুরু করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা সংক্রমণ এড়ানোর সবচেয়ে বড় হাতিহার হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এর মতে, সুষম খাদ্য গ্রহণ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ফলে সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমে। তাই করোনা সংক্রমণ এড়াতে হলে বাড়াতে হবে শরীরের ইমিউনিটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এ সময় সবার উচিত ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার, প্রোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। করোনা সংক্রমণ এড়াতে ডায়েটে কোন খাবারগুলো রাখা উচিত, জেনে নিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এর গাইডলাইন-
পানি বেশি, চিনি কম: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসারে, প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি খাওয়া জরুরি এ সময়। এর ফলে দেহে পানির অভাব হবে না। সেইসঙ্গে শরীরের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মনে রাখবেন, এখন যেহেতু রোজার মাস তাই সারাদিন পানি খাওয়া হবে না। তাই ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত ৮-১০ গ্লাস পানি খেতেই হবে।
পাশাপাশি বিভিন্ন পানীয়তে চিনির ব্যবহার বন্ধ করুন। ইফতারে সবাই কমবেশি মিষ্টিজাতীয় শরবত বা খাবার খেয়ে থাকেন। এ সময় অবশ্যই তা এড়িয়ে চলতে হবে। এ ছাড়াও চিনি মেশানো কোনো পানীয়, কোমল পানীয়, জুস বা খাবার একেবারেই পরিহার করতে হবে।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন : করোনা সংক্রমণ এড়াতে সবারই স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করতে হবে। এজন্য নিয়মিত শরীরচর্চা, ধ্যান এবং পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। এতে করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। শক্তিশালী করবে।
মাংস কম, সবজি বেশি : করোনাকালে চর্বিজাতীয় খাবারের বদলে শাক-সবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া গাইডলাইন অনুসারে, সপ্তাহে ১-২ বার লাল মাংস খেতে পারবেন; তবে এর বেশি নয়। এ ছাড়াও মাছ, ডিম এবং দুধ নিয়মিত খেতে পারেন।
শস্য এবং বাদাম খান : বিভিন্ন শস্য উপাদান এবং বাদাম ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ভুট্টা, ওটস, গম, বাদামি চাল ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও পুষ্টিগুণ থাকে। দৈনিক ১৮০ গ্রাম শস্য খেলে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। একই সঙ্গে ডায়েটে এ সময় ফলসহ বাদাম, নারকেল, পেস্তা জাতীয় বাদামও রাখতে হবে।
ফল এবং সবজি খেতে হবে : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বেশ ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সংক্রমণ এড়াতে পেয়ারা, আপেল, কলা, রুটবেরি, আঙুর, আনারস, পেঁপে, কমলা জাতীয় ফল প্রতিদিন দুই কাপ করে খাবেন। অন্যদিকে সবজির মধ্যে সবুজ ক্যাপসিকাম, কাঁচা মরিচ, রসুন, আদা, কলা, ধনেপাতা, কাঁচা মরিচ, ব্রোকলি খেতে হবে। চিনি, লবণ এবং ফ্যাটযুক্ত খাবারের চেয়ে বেশি তাজা ফল এবং কাঁচা শাকসবজি খাওয়া উচিত। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
যেসব খাবার পরিহার করবেন : এ সময় অতিরিক্ত লবণ দেওয়া খাবার খেলে খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে। করোনাকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন ৫ গ্রামের বেশি লবণ না খাওয়াই ভালো। এবার জেনে নিন করোনা সংক্রমণ এড়াতে রান্নাঘরের যে বিষয়গুলো সবসময় অনুসরণ করবেন-

প্রতিবার খাওয়ার আগে পানি দিয়ে ফল ও সবজি ধুয়ে নিন।
ব্যবহারের আগে এবং পরে বাসনপত্র ধুয়ে রাখুন।
সবসময় রান্না করা এবং কাঁচা খাবার আলাদা করে রাখুন।
খুব বেশি গরম খাবার খোলা রাখবেন না বা পরিবেশন করবেন না। এতে সহজেই খাবারে জীবাণু জমতে পারে।
শাকসবজি বেশি রান্না করবেন না। এতে ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টি উপাদানগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
আক্রান্ত হলে যেসব খাবার বেশি খাবেন : করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের বেশিরভাগই বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেন। বাড়িতে ঠিকঠাকভাবে খাওয়া-দাওয়া করলে লড়াই করা যাবে এই কঠিন ভাইরাসের সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী গ্রহণ করতে হবে, এবং কী এড়িয়ে চলতে হবে তা জেনে নিন।
করোনাভাইরাসের কারণে পেটের সমস্যা দেখা দিলে লেবু অথবা ভিনিগারের মতো খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত এই সময়ে।
এমনিতে গরম তার উপর করোনার চোখ রাঙানির ফলে নাজেহাল হয়ে পড়েছে সকলে। এই সময়ে প্রচুর পরিমানে পানি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকেরা। তারা জানিয়েছে, করোনায় পেটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যার ফলে আমাদের প্রচুর পরিমাণে পানি, ডাবের পানি, আদা মধু দিয়ে চা পান করা দরকার।
করোনার বড় উপসর্গ হচ্ছে স্বাদ কিংবা গন্ধ না মেলা। করোনার কারণে হঠাৎ করে স্বাদ চলে যাওয়ার ফলে অতিরিক্ত তেল-মশলা যুক্ত খাবার খেতে সমস্যা দেখা দিতে পারে সংক্রমিত ব্যক্তির। সেই কারণে এই সময়ে তেল-ঝাল-মশলা যুক্ত খাবার না খাওয়া ভালো। অল্প মশলাজাত খাবার খেতে সমস্যা হলে সিদ্ধ রান্না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। করোনা সংক্রমণ থেকে রেহাই পাবার জন্য অনেকে নানা ধরণের ওষুধ খেয়ে চলেছেন। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ না নিয়ে ওষুধ খেলে হতে পারে নানা বিপদ। যে কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করে খাওয়া দরকার। করোনার সঙ্গে লড়াই করার জন্য শরীরে ইমিউনিটি খুব দরকার বর্তমান সময়ে। অনেকে শরীরে ইমিউনিটি বাড়াতে নানা ধরনের ওষুধ খেয়েও চলেছে। তবে প্রতিদিন সকালে লেবু পানি খেলে বাড়তে পারে ইমিউনিটি। পাশাপাশি কারি পাতা, তুলসি পাতা এবং মধু মিশিয়ে খেলে বৃদ্ধি পেতে পারে শরীরে ইমিউনিটি পরিমাণ। সূত্র: এনবিটি