ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

ঈদ কেনাকাটার ধুম, উধাও স্বাস্থ্যবিধি

  • আপডেট সময় : ০২:০২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কদিন পরেই ঈদ। শপিংমল, বিপণিবিতানে ছুটছে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত। নি¤œবিত্তও। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সব স্তরের ক্রেতা সমাগমে রাজধানীর শপিংমলগুলোয় কেনাকাটার ধুম লেগেছে। এমনকি ফুটপাতেও ক্রেতাদের ভিড় করতে দেখা গেছে।
রাজধানীর নিউ মার্কেট, বায়তুল মোকাররম, মার্কেট, মিরপুর-১, মিরপুর-১০ নম্বর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বড় বড় মার্কেট ও শপিংমলে মোটামুটিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও ফুটপাতের ভাসমান ব্যবসায়ীদের চিত্র ছিন্ন। তারা কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এমনকি তাদের ক্রেতারাও না। বরং ক্রেতারা গা-ঘেঁষাঘেঁষি দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন। আর দুপুর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব বাণিজ্যকেন্দ্র এক ধরনের জনসমুদ্রে রূপ নিচ্ছে।
এসব ফুটপাতের বিক্রেতারা বলছেন, রাত ৮ টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা থাকার কারণে সকালের চেয়ে দুপুর ও বিকেলে ভিড় বেশি হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে বেশি ক্রেতা ছিল না। কিন্তু সোমবার ও মঙ্গলবার ক্রেতাদের উপস্থিতি অনেক বেশি।
পরিবারের একাধিক সদস্য নিয়ে রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর সংলগ্ন ফুটপাতের দোকানে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন ফাতেমা বেগম। তিনি কেনাকাটা করার সময় দূরত্ব বজায় না রেখে কেনাকাটা করছেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘করোনার কারণে এতদিন সব বন্ধ ছিল। এখন খুলে দেওয়ার কারণে মানুষ বেশি আসছে। আর রাস্তার পাশে এই ফুটপাতে আসলে ওইভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা করা সম্ভব নয়। এই নিয়ম কেউই মানবে না। আসলে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানা প্রায় অসম্ভব। তবে আমরা মাস্ক পরে এসেছি।’
একই জায়গায় এক দোকানদারদের মুখে মাস্ক নেই। ‘স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেন?’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি কিভাবে মানবো? এখানে মোড়ে মোড়ে ভিড়। যেখানে তাকাবেন, সেখানেই মানুষের জটলা। এখন কে মাস্ক পরছে, কে পরছে না, আপনি কী করে খেয়াল রাখবেন?’
মিরপুর-১ নম্বরের মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেটের স্বদেশি আড়ং নামের একটি ফ্যাশন হাউসে ঢুকতেই দেখা গেলো, কয়েকজন কর্মচারীর মুখেই মাস্ক নেই। বিধিনিষেধ কেন মানছেন না, জানতে চাইলে দোকান-মালিক হানিফ হোসেন বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলি। বেচাকেনা নেই, ক্রেতা নেই। তাই মাস্ক খুলে রেখেছি।’ অবশ্যই আরেকজন কর্মচারী ইশারায় বলার পর তাদের মাস্ক পরতে দেখা গেছে।
চন্দ্রিমা মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিংমল, মিরপুর-১০ নম্বরের শপিং সেন্টার, মিরপুর-১ নম্বর নিউমার্কেটে নিয়ম মেনে ঢুকতে দেখা গেলেও মার্কেটের ভেতরে চিত্র উলটো। জটলা বেঁধে চলাচল করতেও দেখা গেছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঈদ কেনাকাটার ধুম, উধাও স্বাস্থ্যবিধি

আপডেট সময় : ০২:০২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : কদিন পরেই ঈদ। শপিংমল, বিপণিবিতানে ছুটছে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত। নি¤œবিত্তও। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সব স্তরের ক্রেতা সমাগমে রাজধানীর শপিংমলগুলোয় কেনাকাটার ধুম লেগেছে। এমনকি ফুটপাতেও ক্রেতাদের ভিড় করতে দেখা গেছে।
রাজধানীর নিউ মার্কেট, বায়তুল মোকাররম, মার্কেট, মিরপুর-১, মিরপুর-১০ নম্বর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বড় বড় মার্কেট ও শপিংমলে মোটামুটিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও ফুটপাতের ভাসমান ব্যবসায়ীদের চিত্র ছিন্ন। তারা কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এমনকি তাদের ক্রেতারাও না। বরং ক্রেতারা গা-ঘেঁষাঘেঁষি দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন। আর দুপুর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব বাণিজ্যকেন্দ্র এক ধরনের জনসমুদ্রে রূপ নিচ্ছে।
এসব ফুটপাতের বিক্রেতারা বলছেন, রাত ৮ টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা থাকার কারণে সকালের চেয়ে দুপুর ও বিকেলে ভিড় বেশি হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে বেশি ক্রেতা ছিল না। কিন্তু সোমবার ও মঙ্গলবার ক্রেতাদের উপস্থিতি অনেক বেশি।
পরিবারের একাধিক সদস্য নিয়ে রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর সংলগ্ন ফুটপাতের দোকানে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন ফাতেমা বেগম। তিনি কেনাকাটা করার সময় দূরত্ব বজায় না রেখে কেনাকাটা করছেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘করোনার কারণে এতদিন সব বন্ধ ছিল। এখন খুলে দেওয়ার কারণে মানুষ বেশি আসছে। আর রাস্তার পাশে এই ফুটপাতে আসলে ওইভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা করা সম্ভব নয়। এই নিয়ম কেউই মানবে না। আসলে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানা প্রায় অসম্ভব। তবে আমরা মাস্ক পরে এসেছি।’
একই জায়গায় এক দোকানদারদের মুখে মাস্ক নেই। ‘স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেন?’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি কিভাবে মানবো? এখানে মোড়ে মোড়ে ভিড়। যেখানে তাকাবেন, সেখানেই মানুষের জটলা। এখন কে মাস্ক পরছে, কে পরছে না, আপনি কী করে খেয়াল রাখবেন?’
মিরপুর-১ নম্বরের মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেটের স্বদেশি আড়ং নামের একটি ফ্যাশন হাউসে ঢুকতেই দেখা গেলো, কয়েকজন কর্মচারীর মুখেই মাস্ক নেই। বিধিনিষেধ কেন মানছেন না, জানতে চাইলে দোকান-মালিক হানিফ হোসেন বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলি। বেচাকেনা নেই, ক্রেতা নেই। তাই মাস্ক খুলে রেখেছি।’ অবশ্যই আরেকজন কর্মচারী ইশারায় বলার পর তাদের মাস্ক পরতে দেখা গেছে।
চন্দ্রিমা মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিংমল, মিরপুর-১০ নম্বরের শপিং সেন্টার, মিরপুর-১ নম্বর নিউমার্কেটে নিয়ম মেনে ঢুকতে দেখা গেলেও মার্কেটের ভেতরে চিত্র উলটো। জটলা বেঁধে চলাচল করতেও দেখা গেছে।