ঢাকা ০৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

ঈদ ও বৈসাবির কেনাকাটার ধুম

  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা : সারাদেশ মেতে উঠেছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের কেনাবেচায়। এবছর পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে ১০ কিংবা ১১ এপ্রিল। একইসময় শুরু হবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু যা বৈসাবি নামেও পরিচিত। এ উৎসব প্রতিবছরের মতো এবারও উদযাপিত হবে ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল। তাইতো এখন কেনাবেচার ধুম পড়েছে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে। রাঙ্গামাটি শহরের বনরুপা ও রির্জাভ বাজারে বেশ কিছু শপিংমল ঘুরে দেখা যায় ঈদের কেনাকাটায় যেমন ব্যস্ত মুসলিমরা, ঠিক তেমনি ব্যস্ত পার্বত্য এলাকার অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষও। এ যেন সম্প্রীতির অন্য এক দৃষ্টান্ত। ক্রেতা ইসহাক হোসেন জানান, এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতর পড়েছে এপ্রিলে। পরিবারের জন্য প্রায় কেনাকাটা শেষ। বাকি আছে আমার বোন ও ভাগিনাদেরটা। এখনতো দেশের সব কিছুরই দাম বেশি। কাপড়ের দামও বেশ চড়া। ফারজানা আক্তার বলেন, আমি শ্বশুরবাড়ির সবার জন্য কেনাকাটা শেষ করেছি। বাকি আছে এবার নিজের ও আমার স্বামীর জন্য। ক্রেতা ক্লা চিং মারমা বলেন, আমাদের সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই এপ্রিলে হয়। আমরা পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে এদিনটি বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পালন করে থাকি। নতুন বছরে নতুন কাপড় পড়ে ঘুরে বেড়াবো এটাইতো স্বাভাবিক। তাই পরিবার নিয়ে কেনাকেটা করতে আসলাম, কাপড়ের দাম বেশ চড়া। সঞ্চিতা চাকমা বলেন, বিজু উপলক্ষে কেটাকেটা করতে এসেছি। বিজু ও ঈদ একসঙ্গে হওয়ায় মার্কেটে মানুষের বেশ জমায়েত হয়েছে। সবাই মিলেমিশে কেনাকেটা করছে। চয়েস কালেকশনের স্বত্তাধিকারী রমজান আলী বলেন, এ বছর ঈদ পড়েছে এপ্রিল মাসে, আবার সেসময় পাহাড়ের বড় উৎসব বৈসাবি। দুইটি উৎসব একসঙ্গে হওয়ায় ক্রেতাও বেশি। বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। আশা করছি বাকি দিনগুলোতেও বেশ ভালো হবে। সুগন্ধা টেইলার্স অ্যান্ড ট্রেডের স্বত্তাধিকারী আরাফাত হোসেন বলেন, আমাদের দোকানে মেয়েদের ওয়ানপিস, টু-পিসসহ বিভিন্ন রকম কুর্তি ও বোরকা এবং হিজাবের ভালো কালেকশন রয়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। সঙ্গে পার্বত্য এলাকার বৃহৎ সামাজিক উৎসব বৈসাবি। সব মিলে সকল সম্প্রদায়ের উৎসব একসঙ্গে পড়ায় ক্রেতাদের ভিড়ও বেড়েছে। বধু শাড়ি বিতানের স্বত্তাধিকারী মিজানুর রহমান বলেন, এ বছর ঈদ, বিজু সব একসঙ্গে পড়ায় ক্রেতা সংখ্যা বেশি এবং বেশ ভালো কেনাবেচা হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহ আশা করি আমাদের টার্গেটের চেয়ে বেচাকেনা বেশি হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

ঈদ ও বৈসাবির কেনাকাটার ধুম

আপডেট সময় : ১২:৪৬:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা : সারাদেশ মেতে উঠেছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের কেনাবেচায়। এবছর পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে ১০ কিংবা ১১ এপ্রিল। একইসময় শুরু হবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু যা বৈসাবি নামেও পরিচিত। এ উৎসব প্রতিবছরের মতো এবারও উদযাপিত হবে ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল। তাইতো এখন কেনাবেচার ধুম পড়েছে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে। রাঙ্গামাটি শহরের বনরুপা ও রির্জাভ বাজারে বেশ কিছু শপিংমল ঘুরে দেখা যায় ঈদের কেনাকাটায় যেমন ব্যস্ত মুসলিমরা, ঠিক তেমনি ব্যস্ত পার্বত্য এলাকার অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষও। এ যেন সম্প্রীতির অন্য এক দৃষ্টান্ত। ক্রেতা ইসহাক হোসেন জানান, এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতর পড়েছে এপ্রিলে। পরিবারের জন্য প্রায় কেনাকাটা শেষ। বাকি আছে আমার বোন ও ভাগিনাদেরটা। এখনতো দেশের সব কিছুরই দাম বেশি। কাপড়ের দামও বেশ চড়া। ফারজানা আক্তার বলেন, আমি শ্বশুরবাড়ির সবার জন্য কেনাকাটা শেষ করেছি। বাকি আছে এবার নিজের ও আমার স্বামীর জন্য। ক্রেতা ক্লা চিং মারমা বলেন, আমাদের সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই এপ্রিলে হয়। আমরা পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে এদিনটি বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পালন করে থাকি। নতুন বছরে নতুন কাপড় পড়ে ঘুরে বেড়াবো এটাইতো স্বাভাবিক। তাই পরিবার নিয়ে কেনাকেটা করতে আসলাম, কাপড়ের দাম বেশ চড়া। সঞ্চিতা চাকমা বলেন, বিজু উপলক্ষে কেটাকেটা করতে এসেছি। বিজু ও ঈদ একসঙ্গে হওয়ায় মার্কেটে মানুষের বেশ জমায়েত হয়েছে। সবাই মিলেমিশে কেনাকেটা করছে। চয়েস কালেকশনের স্বত্তাধিকারী রমজান আলী বলেন, এ বছর ঈদ পড়েছে এপ্রিল মাসে, আবার সেসময় পাহাড়ের বড় উৎসব বৈসাবি। দুইটি উৎসব একসঙ্গে হওয়ায় ক্রেতাও বেশি। বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। আশা করছি বাকি দিনগুলোতেও বেশ ভালো হবে। সুগন্ধা টেইলার্স অ্যান্ড ট্রেডের স্বত্তাধিকারী আরাফাত হোসেন বলেন, আমাদের দোকানে মেয়েদের ওয়ানপিস, টু-পিসসহ বিভিন্ন রকম কুর্তি ও বোরকা এবং হিজাবের ভালো কালেকশন রয়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। সঙ্গে পার্বত্য এলাকার বৃহৎ সামাজিক উৎসব বৈসাবি। সব মিলে সকল সম্প্রদায়ের উৎসব একসঙ্গে পড়ায় ক্রেতাদের ভিড়ও বেড়েছে। বধু শাড়ি বিতানের স্বত্তাধিকারী মিজানুর রহমান বলেন, এ বছর ঈদ, বিজু সব একসঙ্গে পড়ায় ক্রেতা সংখ্যা বেশি এবং বেশ ভালো কেনাবেচা হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহ আশা করি আমাদের টার্গেটের চেয়ে বেচাকেনা বেশি হবে।