ঢাকা ০২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

ঈদে ট্রেনের টিকিট

  • আপডেট সময় : ০১:৩০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২
  • ১২৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘরভর্তি অর্ধশতাধিক সাংবাদিক। চেয়ারে বসে সাংবাদিকদের ঈদযাত্রার টিকিট নিয়ে ব্রিফিং করছেন কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার। এ সময় এক ব্যক্তি এসে ব্যবস্থাপকের বাঁ পাশে দাঁড়ালেন। ব্রিফিং শেষে জানা গেল, স্টেশন ব্যবস্থাপকের মানিব্যাগ ও দুটি মুঠোফোন চুরি হয়েছে।
গতকাল শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাজধানী কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ব্রিফিংয়ের শেষ মুহূর্তে চুরির এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত একাধিক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তখন বিফ্রিং প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। এমন সময় এক ব্যক্তি ব্যবস্থাপকের বাঁ পাশে এসে দাঁড়ান। ব্রিফিংয়ের একটি কাগজের ছবি তুলতে সাংবাদিকেরা ব্যবস্থাপকের টেবিল ঘিরে দাঁড়ান। এ সময় ব্যবস্থাপক দাঁড়িয়ে ওই কাগজের ছবি তোলায় সহযোগিতা করছিলেন। তখন ওই ব্যক্তি ব্যবস্থাপকের ডান পাশে এসে টেবিলে রাখা মানিব্যাগ ও দুটি মুঠোফোন নিয়ে কক্ষ ত্যাগ করেন। কিছুক্ষণ বাদে ব্যবস্থাপক মুঠোফোন ও মানিব্যাগ খুঁজে পাননি।
ওই কক্ষে থাকা একাধিক ক্যামেরা ও মুঠোফোনের ভিডিও পর্যালোচনা করে দেখা যায়, স্টেশন ব্যবস্থাপক চেয়ার থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তি দুটি মুঠোফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। পরে তাঁকে স্টেশন চত্বরে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘এখানে অর্ধশতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। দুদিক থেকেই প্রশ্ন করা হচ্ছিল।
সাংবাদিকেরা আমার কাছে থাকা একটি কাগজের ছবি তুলছিলেন। এ সময় যে চুরি করেছে, ওই ব্যক্তি আমার পেছন দিয়ে এসে মুঠোফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে দ্রুত রুম ত্যাগ করে। ঘটনাটি আমরা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখেছি।’
স্টেশন ব্যবস্থাপক বলেন, প্রথমে ওই ব্যক্তির হাতে ওয়ালেট ছিল। এরপর মূল গেট থেকে বের হওয়ার পর তিনি ওয়ালেট পাঞ্জাবির পকেটে ঢোকান। এরপর পুলিশ কন্ট্রোল বক্সের সামনে এগিয়ে এসে আবার ওয়ালেট পকেট থেকে বের করেন।
কী কী হারিয়েছে, তা জানতে চাইলে স্টেশন ব্যবস্থাপক বলেন, ‘মানিব্যাগে ৪৫ হাজারের বেশি টাকা ছিল। দুটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিল। এর মধ্যে একটি সরকারি ফোন ছিল। এ ঘটনায় একটি জিডি করা হয়েছে। এতগুলো গণমাধ্যমকর্মীর সামনে দিয়ে ওই ব্যক্তি দূরদর্শিতার সঙ্গে কাজটা করে গেল। অবাক হলাম, সে কত বড় দুর্র্ধষ চোর!’
কমলাপুর স্টেশনে চোরদের আনাগোনা কি তাহলে সব সময় থাকে-এমন প্রশ্নের জবাবে স্টেশন ব্যবস্থাপক বলেন, এখন বোঝা যাচ্ছে, যেহেতু ব্যবস্থাপকের কক্ষ থেকে এতগুলো লোকের সামনে মুঠোফোন ও ওয়ালেট চুরি হয়ে যাচ্ছে, তার মানে আরও এক্সপার্ট চোর থাকতে পারে। এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান জেড আই খান পান্না

ঈদে ট্রেনের টিকিট

আপডেট সময় : ০১:৩০:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘরভর্তি অর্ধশতাধিক সাংবাদিক। চেয়ারে বসে সাংবাদিকদের ঈদযাত্রার টিকিট নিয়ে ব্রিফিং করছেন কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার। এ সময় এক ব্যক্তি এসে ব্যবস্থাপকের বাঁ পাশে দাঁড়ালেন। ব্রিফিং শেষে জানা গেল, স্টেশন ব্যবস্থাপকের মানিব্যাগ ও দুটি মুঠোফোন চুরি হয়েছে।
গতকাল শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাজধানী কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ব্রিফিংয়ের শেষ মুহূর্তে চুরির এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত একাধিক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তখন বিফ্রিং প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। এমন সময় এক ব্যক্তি ব্যবস্থাপকের বাঁ পাশে এসে দাঁড়ান। ব্রিফিংয়ের একটি কাগজের ছবি তুলতে সাংবাদিকেরা ব্যবস্থাপকের টেবিল ঘিরে দাঁড়ান। এ সময় ব্যবস্থাপক দাঁড়িয়ে ওই কাগজের ছবি তোলায় সহযোগিতা করছিলেন। তখন ওই ব্যক্তি ব্যবস্থাপকের ডান পাশে এসে টেবিলে রাখা মানিব্যাগ ও দুটি মুঠোফোন নিয়ে কক্ষ ত্যাগ করেন। কিছুক্ষণ বাদে ব্যবস্থাপক মুঠোফোন ও মানিব্যাগ খুঁজে পাননি।
ওই কক্ষে থাকা একাধিক ক্যামেরা ও মুঠোফোনের ভিডিও পর্যালোচনা করে দেখা যায়, স্টেশন ব্যবস্থাপক চেয়ার থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তি দুটি মুঠোফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। পরে তাঁকে স্টেশন চত্বরে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘এখানে অর্ধশতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। দুদিক থেকেই প্রশ্ন করা হচ্ছিল।
সাংবাদিকেরা আমার কাছে থাকা একটি কাগজের ছবি তুলছিলেন। এ সময় যে চুরি করেছে, ওই ব্যক্তি আমার পেছন দিয়ে এসে মুঠোফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে দ্রুত রুম ত্যাগ করে। ঘটনাটি আমরা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখেছি।’
স্টেশন ব্যবস্থাপক বলেন, প্রথমে ওই ব্যক্তির হাতে ওয়ালেট ছিল। এরপর মূল গেট থেকে বের হওয়ার পর তিনি ওয়ালেট পাঞ্জাবির পকেটে ঢোকান। এরপর পুলিশ কন্ট্রোল বক্সের সামনে এগিয়ে এসে আবার ওয়ালেট পকেট থেকে বের করেন।
কী কী হারিয়েছে, তা জানতে চাইলে স্টেশন ব্যবস্থাপক বলেন, ‘মানিব্যাগে ৪৫ হাজারের বেশি টাকা ছিল। দুটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিল। এর মধ্যে একটি সরকারি ফোন ছিল। এ ঘটনায় একটি জিডি করা হয়েছে। এতগুলো গণমাধ্যমকর্মীর সামনে দিয়ে ওই ব্যক্তি দূরদর্শিতার সঙ্গে কাজটা করে গেল। অবাক হলাম, সে কত বড় দুর্র্ধষ চোর!’
কমলাপুর স্টেশনে চোরদের আনাগোনা কি তাহলে সব সময় থাকে-এমন প্রশ্নের জবাবে স্টেশন ব্যবস্থাপক বলেন, এখন বোঝা যাচ্ছে, যেহেতু ব্যবস্থাপকের কক্ষ থেকে এতগুলো লোকের সামনে মুঠোফোন ও ওয়ালেট চুরি হয়ে যাচ্ছে, তার মানে আরও এক্সপার্ট চোর থাকতে পারে। এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।