নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ৭ জুন দেশব্যাপী পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এই উপলক্ষে রাজধানীবাসী পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। সড়ক ও নৌপথের পাশাপাশি আকাশপথেও যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। যাত্রীচাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ তিনটি রুটে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করছে। অন্যদিকে, বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো স্বাভাবিক ফ্লাইট অব্যাহত রেখেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা রওশন কবীর জানান, ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা এবং ঢাকা-সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে অতিরিক্ত ফ্লাইট চালু করা হয়েছে। রাজশাহী রুটে ২, ৫ ও ৭ জুন অতিরিক্ত ফ্লাইট রয়েছে। এর মধ্যে ২ তারিখের ফ্লাইট ইতোমধ্যে পরিচালিত হয়েছে, বাকি দুটি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী চলবে।
সৈয়দপুর রুটে ২, ৪ ও ৬ জুন অতিরিক্ত ফ্লাইট রয়েছে। এ ছাড়া ঈদের পর ৯ জুন কক্সবাজার রুটে একটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো জানান, এখনও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে এবং টিকিটের মূল্য বাড়ানো হয়নি। ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ, হটলাইন, বিকাশ বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টিকিট কাটলে যাত্রীরা ১০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় পাচ্ছেন।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আগের মতোই স্বাভাবিক ফ্লাইট পরিচালনা করছি। এবারের ঈদে যাত্রী কিছুটা কম। কারণ, স্কুল-কলেজ আগেভাগে বন্ধ হয়ে গেছে এবং সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত হয়েছে, ফলে অনেকেই বিকল্প পথে যাত্রা করছেন।’ তিনি জানান, টিকিটের দাম ও প্রাপ্যতাও পূর্বের মতোই রয়েছে।
নভোএয়ারের সেলস ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান মেসবাউল হকও জানান, তাদের ফ্লাইটের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে এবং সব ফ্লাইট পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী চলবে।
এদিকে, সরেজমিনে ঢাকার অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীরা নির্ধারিত গন্তব্যের উদ্দেশে বিমানে উঠছেন। আমিনুর রহমান নামের এক যাত্রী জানান, তিনি পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে রংপুর যাচ্ছেন। সড়ক বা রেলপথের তুলনায় আকাশপথ বেশি স্বাচ্ছন্দ্যজনক হওয়ায় তিনি বিমান যাত্রাকেই বেছে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘টাকা কিছুটা বেশি লাগলেও সময় কম লাগে এবং আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য আমি বিমানে যাই। আমার মতো অনেকেই এই সুবিধার জন্য আকাশপথে যাত্রা করেন।’