ঢাকা ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

ঈদের রাস্তায় বিপদ বাড়াবে ২ আর ৩ চাকার বাহন: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২
  • ১৪০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদযাত্রার পথে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সকল মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং রিকশা, ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “এবারের ঈদে জাতীয় মহাসড়কে এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভয়াবহ যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে।” যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে, গত দুই বছরে দেশের পরিবহন বহরে ১০ লাখ নতুন মোটরসাইকেল যুক্ত হয়েছে। একই সময়ে প্রায় ২০ লাখ ইজিবাইক নেমেছে রাস্তায়। সব মিলিয়ে বর্তমানে ৩৫ লাখের বেশি মোটরসাইকেল এবং ৪০ লাখের কাছাকাছি ইজিবাইক রাস্তায় চলাচল করে, যা দেশের ‘যানজট ও জনজট প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে’ বলে মোজাম্মেল হকের ভাষ
তার ধারণা, এবারের ঈদে ১২ লাখ যাত্রী রাজধানী থেকে মোটরসাইকেলে আশপাশের জেলাসহ দূর-দূরান্তে যাত্রা করতে পারে। এছাড়া আন্তঃজেলা রাইড শেয়ারিংয়ে আরো প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ লাখ যাত্রী মোটরসাইকেলে বাড়ি যেতে পারে। ঈদের আগে দেশের জাতীয় মহাসড়কে ২০ থেকে ২৫ লাখ মোটরসাইকেল রাস্তায় থাকবে।
“এসব মোটরসাইকেলে স্ত্রী-সন্তান লাগেজ-ব্যাগেজ নিয়ে ভারসাম্যহীন অবস্থায় বেপরোয়াভাবে বাস-কারের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায়শ দুর্ঘটনা ঘটছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ঈদে ৩১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৩ জন নিহত ৬২২ জন আহত হয়েছিলেন। সেখানে কেবল ১৪৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত এবং ১৯৯ জন আহত হয়েছিলেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, নিহতের ৪৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এবং আহতের ৩১ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
মোজাম্মেল বলেন, “এবারের ঈদে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ যাত্রী মোটরসাইকেলে যাত্রা করতে পারে। তাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও তিনগুণ বেড়ে যেতে পারে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ করা গেলে এবারের ঈদে ৫০ শতাংশ দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব।”
বিভিন্ন জাতীয় মহাসড়কে সার্ভিস লেইন না থাকায় ঈদযাত্রী বহনের জন্য ১৫ লাখের বেশি ইজিবাইক, রিকশা, অটোরিকশা বিভিন্ন জাতীয় মহাসড়কে নেমে আসতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে বিবৃবিতে। এসব ছোট যানবাহন দূরপাল্লার বাস ও প্রাইভেট কারের গতি কমিয়ে দেয়, গুরুত্বপূর্ণ জংশনে যানজট তৈরি করে, রাস্তার মোড় ও বাস স্টপেজগুলোতে যানজট তৈরি করার পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই এবারের ঈদযাত্রায় জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রিকশা, অটোরিকশা, ইজিবাইক ও নসিমন-করিমন চলাচল বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বুয়েটের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এবছর ঈদে প্রতিদিন ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বে। তাদের মধ্যে ১৬ লাখ মানুষ গাড়ি পেলেও ১৪ লাখ মানুষ বাস বা ট্রেনের ছাদে কিংবা লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ঝুঁকি নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাবেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ঈদের রাস্তায় বিপদ বাড়াবে ২ আর ৩ চাকার বাহন: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

আপডেট সময় : ০১:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদযাত্রার পথে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সকল মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং রিকশা, ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “এবারের ঈদে জাতীয় মহাসড়কে এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভয়াবহ যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে।” যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে, গত দুই বছরে দেশের পরিবহন বহরে ১০ লাখ নতুন মোটরসাইকেল যুক্ত হয়েছে। একই সময়ে প্রায় ২০ লাখ ইজিবাইক নেমেছে রাস্তায়। সব মিলিয়ে বর্তমানে ৩৫ লাখের বেশি মোটরসাইকেল এবং ৪০ লাখের কাছাকাছি ইজিবাইক রাস্তায় চলাচল করে, যা দেশের ‘যানজট ও জনজট প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে’ বলে মোজাম্মেল হকের ভাষ
তার ধারণা, এবারের ঈদে ১২ লাখ যাত্রী রাজধানী থেকে মোটরসাইকেলে আশপাশের জেলাসহ দূর-দূরান্তে যাত্রা করতে পারে। এছাড়া আন্তঃজেলা রাইড শেয়ারিংয়ে আরো প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ লাখ যাত্রী মোটরসাইকেলে বাড়ি যেতে পারে। ঈদের আগে দেশের জাতীয় মহাসড়কে ২০ থেকে ২৫ লাখ মোটরসাইকেল রাস্তায় থাকবে।
“এসব মোটরসাইকেলে স্ত্রী-সন্তান লাগেজ-ব্যাগেজ নিয়ে ভারসাম্যহীন অবস্থায় বেপরোয়াভাবে বাস-কারের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায়শ দুর্ঘটনা ঘটছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ঈদে ৩১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৩ জন নিহত ৬২২ জন আহত হয়েছিলেন। সেখানে কেবল ১৪৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত এবং ১৯৯ জন আহত হয়েছিলেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, নিহতের ৪৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এবং আহতের ৩১ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
মোজাম্মেল বলেন, “এবারের ঈদে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ যাত্রী মোটরসাইকেলে যাত্রা করতে পারে। তাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও তিনগুণ বেড়ে যেতে পারে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ করা গেলে এবারের ঈদে ৫০ শতাংশ দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব।”
বিভিন্ন জাতীয় মহাসড়কে সার্ভিস লেইন না থাকায় ঈদযাত্রী বহনের জন্য ১৫ লাখের বেশি ইজিবাইক, রিকশা, অটোরিকশা বিভিন্ন জাতীয় মহাসড়কে নেমে আসতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে বিবৃবিতে। এসব ছোট যানবাহন দূরপাল্লার বাস ও প্রাইভেট কারের গতি কমিয়ে দেয়, গুরুত্বপূর্ণ জংশনে যানজট তৈরি করে, রাস্তার মোড় ও বাস স্টপেজগুলোতে যানজট তৈরি করার পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই এবারের ঈদযাত্রায় জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রিকশা, অটোরিকশা, ইজিবাইক ও নসিমন-করিমন চলাচল বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বুয়েটের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এবছর ঈদে প্রতিদিন ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়বে। তাদের মধ্যে ১৬ লাখ মানুষ গাড়ি পেলেও ১৪ লাখ মানুষ বাস বা ট্রেনের ছাদে কিংবা লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ঝুঁকি নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাবেন।