মাদারীপুর সংবাদদাতা : ঈদে ঘরমুখো যাত্রায় বছর খানেক ধরে বেড়েছে মোটরসাইকেলের ব্যবহার। ঈদের ছুটিতে অসংখ্য যাত্রী নিজস্ব বাহন মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটছেন বাড়ির উদ্দেশে। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যেতে ফেরিতে এক সময় যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাসের আধিক্য দেখা গেলেও ইদানিং উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে মোটরসাইকেলের সংখ্যা। মোটরসাইকেলের চাপে ফেরিতে অন্যান্য যানবাহন উঠতে ব্যর্থ হচ্ছে মাঝে মধ্যে। গতকাল শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে শুধু মোটরসাইকেল আরোহীদের নিয়েই কেটাইপ ফেরি কুঞ্জলতা বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। জানা গেছে, প্রায় প্রতিটি ফেরিতেই অর্ধেক জায়গা মোটরসাইকেল আরোহীদের দখলে। শনিবার শিমুলিয়া থেকে শুধু মোটরসাইকেল নিয়েই একটি ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে আসে। প্রায় এক হাজার মোটরবাইক ছিল ফেরিতে। দুপুরে ক্যামেলিয়া নামের ফেরিতে মাত্র ছয়-সাতটি গাড়ি পার হয়েছে। আর ফেরির বাকি অংশ ছিল বাইকের দখলে। মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরা বরিশালের গৌরনদী এলাকার মো. সোহেল জানান, অফিসের প্রয়োজনে মোটরসাইকেল চালাতে হয়। ঢাকা যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে মোটরসাইকেলই ব্যবহার করেন তিনি। ফেরি না চললে ট্রলারে করেও পদ্মা পার হয়ে থাকেন। ইচ্ছামতো রুট ব্যবহার করে চলাচল করা যায় বলে মোটরসাইকেল চালিয়ে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে চলেন তিনি। ইউসুফ নামে আরেক মোটরসাইকেল চালক বলেন, আমি ঢাকায় মোটরবাইকে যাত্রী বহন করি। এখন বাড়ি যাচ্ছি। ঘাট থেকে গোপালগঞ্জের যাত্রী পেলে নিয়ে যাব। বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ফেরিতেই অন্যান্য যানবাহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেলের বেশ চাপ রয়েছে। ঘাটে ফেরি ভিড়লেই মোটরসাইকেল দ্রুত ফেরিতে উঠে যায়। এ কারণে অনেক সময় অন্যান্য গাড়ি উঠতে পারে না। মোটরবাইক ‘রাইড’ এর জনপ্রিয়তা থাকায় এ পেশায় অনেক যুবক ঝুঁকছেন। ঢাকাতেও অসংখ্য মোটরসাইকেল রাইডার রয়েছেন। ঈদে বাড়িতে যাচ্ছেন তারা। এ কারণে চাপ বেড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফেরিতে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। প্রতিটি ফেরিতে মোটরসাইকেলের চাপ আরও বেশি। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেলের দখলে ফেরি!
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ