ঢাকা ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

ঈদযাত্রায় বাইকারদের হয়রানি করলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

  • আপডেট সময় : ০২:২৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদযাত্রায় মহাসড়কে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং বন্ধের সিদ্ধান্তের পর ব্যক্তিগত বাইক নিয়ে চলাচলকারীদের হয়রানি করা হলে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়বে বলে মনে করছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই মন্তব্য করেন। মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রাইড শেয়ারকারী মোটরসাইকেলের সঠিক কোনো সংখ্যা বিআরটিএ বা ট্রাফিক বিভাগের কাছে নেই। ফলে কোনটি রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল আর কোনটি ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল, তা আলাদা করার কোনো সুযোগ নেই। চলার পথে কোথাও কোথাও সড়কের মাঝপথে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দ্রুতগতির মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র যাচাই করার দৃশ্য প্রায়ই চোখে পড়ে। এ ধরনের চেকিং পদ্ধতি সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। মোজাম্মেল চৌধুরী বলেন, উৎসমূলে যেন যানজট তৈরি না হয়, এমন নিরাপত্তা সমুন্নত রেখে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাই করা এবং যাচাইয়ের নামে অহেতুক কোনো বাইকার যেন হয়রানি বা চাঁদাবাজির শিকার না হন, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এখন দেশে ৩৭ লাখের বেশি মোটরসাইকেল রাস্তায় চলছে। গণপরিবহন সংকট, বাসমালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা, পদে পদে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, রেলের টিকিটে অব্যবস্থাপনা, শিডিউল বিপর্যয়, যানজটসহ নানা কারণে ক্রমে ক্রমে মানুষ মোটরসাইকেলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।
যাত্রী কল্যাণের বিবৃতিতে বলা হয়, ঝুঁকিপূর্ণ এই বাহন কখনোই গণপরিবহনের বিকল্প হতে পারে না। তবু বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের আদলে গণপরিবহনের সংখ্যা কমানোর মধ্য দিয়ে যানজট কমাতে দেশে রাইড শেয়ারিং চালু করা হলেও বাস্তবভিত্তিক নীতিমালা ও মনিটরিংয়ের অভাবে এসব রাইড শেয়ারকারী যানবাহন যানজট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায় দেশে সড়কের তুলনায় মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বাহনটির নিবন্ধন বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তার আগে গণপরিবহন সংকট সমাধান করা, যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন, যাত্রী হয়রানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ঈদুল ফিতরে প্রায় ২৫ লাখ মোটরসাইকেল রাস্তায় নামার কারণে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা লক্ষ করা গেলেও সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। তাই আপাতত গণপরিবহন সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিষিদ্ধ না করে এই বাহনের গতি নির্ধারণ করে দেওয়া দরকার।
বাইকে লাগেজ-ব্যাগেজ নিয়ে না যাওয়া, পরিবারের একাধিক সদস্য নিয়ে চলতে না দেওয়ার পাশাপাশি বাহনটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে চলাচলের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঈদযাত্রায় বাইকারদের হয়রানি করলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

আপডেট সময় : ০২:২৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদযাত্রায় মহাসড়কে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং বন্ধের সিদ্ধান্তের পর ব্যক্তিগত বাইক নিয়ে চলাচলকারীদের হয়রানি করা হলে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়বে বলে মনে করছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই মন্তব্য করেন। মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রাইড শেয়ারকারী মোটরসাইকেলের সঠিক কোনো সংখ্যা বিআরটিএ বা ট্রাফিক বিভাগের কাছে নেই। ফলে কোনটি রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল আর কোনটি ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল, তা আলাদা করার কোনো সুযোগ নেই। চলার পথে কোথাও কোথাও সড়কের মাঝপথে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দ্রুতগতির মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র যাচাই করার দৃশ্য প্রায়ই চোখে পড়ে। এ ধরনের চেকিং পদ্ধতি সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। মোজাম্মেল চৌধুরী বলেন, উৎসমূলে যেন যানজট তৈরি না হয়, এমন নিরাপত্তা সমুন্নত রেখে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাই করা এবং যাচাইয়ের নামে অহেতুক কোনো বাইকার যেন হয়রানি বা চাঁদাবাজির শিকার না হন, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এখন দেশে ৩৭ লাখের বেশি মোটরসাইকেল রাস্তায় চলছে। গণপরিবহন সংকট, বাসমালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা, পদে পদে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, রেলের টিকিটে অব্যবস্থাপনা, শিডিউল বিপর্যয়, যানজটসহ নানা কারণে ক্রমে ক্রমে মানুষ মোটরসাইকেলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।
যাত্রী কল্যাণের বিবৃতিতে বলা হয়, ঝুঁকিপূর্ণ এই বাহন কখনোই গণপরিবহনের বিকল্প হতে পারে না। তবু বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের আদলে গণপরিবহনের সংখ্যা কমানোর মধ্য দিয়ে যানজট কমাতে দেশে রাইড শেয়ারিং চালু করা হলেও বাস্তবভিত্তিক নীতিমালা ও মনিটরিংয়ের অভাবে এসব রাইড শেয়ারকারী যানবাহন যানজট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায় দেশে সড়কের তুলনায় মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বাহনটির নিবন্ধন বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তার আগে গণপরিবহন সংকট সমাধান করা, যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন, যাত্রী হয়রানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ঈদুল ফিতরে প্রায় ২৫ লাখ মোটরসাইকেল রাস্তায় নামার কারণে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা লক্ষ করা গেলেও সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। তাই আপাতত গণপরিবহন সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিষিদ্ধ না করে এই বাহনের গতি নির্ধারণ করে দেওয়া দরকার।
বাইকে লাগেজ-ব্যাগেজ নিয়ে না যাওয়া, পরিবারের একাধিক সদস্য নিয়ে চলতে না দেওয়ার পাশাপাশি বাহনটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে চলাচলের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।