ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫

ঈদযাত্রায় গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ও পথচারী-যাত্রীর জন্য ডিএমপির নির্দেশনা

  • আপডেট সময় : ০৫:৪৪:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের জন্য এক গুচ্ছ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সোমবার (২ জুন) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণকে বেশ কিছু নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঈদযাত্রা নিরাপদ, সুগম ও নির্বিঘ্ন করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক বিভিন্ন উদ্যোগ দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো।

গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে-

১. বাস যাত্রার সিডিউল অনুযায়ী টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়তে হবে।

২. যাত্রীদের নিকট থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।

৩. যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও হয়রানি করা যাবে না।

৪. একই সিট একাধিক যাত্রীর কাছে বিক্রয় করা যাবে না।

৫. সিট ব্যতীত বাসের ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না।

৬. পণ্য ও পশুবাহী যানবাহনে বিশেষ করে ফিরতি যানবাহনে যাত্রী বহন করা যাবে না।

৭. গতিসীমা মেনে গাড়ি চালাতে হবে, বেপরোয়া ও অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।

৮. ওভারটেকিং নিষিদ্ধ এলাকা, রাস্তার বাঁক ও সরু ব্রিজে ওভারটেকিং করা যাবে না।

৯. নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে, ঘুমঘুম ভাব হলে ও শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।

১০. বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হালনাগাদ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি চালানো যাবে না।

১১. গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোন বা এয়ারফোন ব্যবহার করা যাবে না এবং গাড়িতে উচ্চস্বরে গান বাজানো যাবে না।

১২. উল্টো রাস্তায় গাড়ি চালানো যাবে না।

১৩. ড্রাইভিং লাইসেন্সের বৈধতা যাচাই করে গাড়ি চালক নিয়োগ করতে হবে।

১৪. মালিক কর্তৃক চালককে একটানা ৫ ঘণ্টা ও দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালাতে বাধ্য করা যাবে না।

যাত্রী সাধারণের উদ্দেশ্যে-

১. সড়কের যত্রতত্র দাঁড়িয়ে বাসে না উঠে নির্দিষ্ট টার্মিনাল/কাউন্টারে গিয়ে বাসে উঠতে হবে।

২. অপরিচিত কারো দেওয়া কোনো খাবার বা পানীয় গ্রহণ করা যাবে না।

৩. মালামাল নিজ হেফাজতে/দায়িত্বে রাখতে হবে।

৪. বাস যাত্রার নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই কাউন্টার/টার্মিনালে হাজির হতে হবে।

৫. রাস্তা পারাপারে ফুট ওভারব্রিজ/ আন্ডারপাস/জেব্রাক্রসিং ব্যবহার করতে হবে।

৬. চলন্ত গাড়িতে উঠানামা করা এবং পণ্যবাহী/পশুবাহী মোটরযানে যাত্রী হয়ে যাতায়াত করা যাবে না।

পথচারীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশনা-
১. জেব্রা ক্রসিং, ফুট ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস দিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হবে।

২. দৌড়ে বা মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পারাপার হওয়া যাবে না।

৩. ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে হবে।

জরুরি প্রয়োজনে টার্মিনালের পুলিশ কন্ট্রোলরুম বা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে কোরবানির পশু পর্যাপ্ত, পাশের দেশের প্রয়োজন নেই: উপদেষ্টা

ঈদযাত্রায় গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ও পথচারী-যাত্রীর জন্য ডিএমপির নির্দেশনা

আপডেট সময় : ০৫:৪৪:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের জন্য এক গুচ্ছ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সোমবার (২ জুন) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণকে বেশ কিছু নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঈদযাত্রা নিরাপদ, সুগম ও নির্বিঘ্ন করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক বিভিন্ন উদ্যোগ দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো।

গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে-

১. বাস যাত্রার সিডিউল অনুযায়ী টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়তে হবে।

২. যাত্রীদের নিকট থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।

৩. যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও হয়রানি করা যাবে না।

৪. একই সিট একাধিক যাত্রীর কাছে বিক্রয় করা যাবে না।

৫. সিট ব্যতীত বাসের ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না।

৬. পণ্য ও পশুবাহী যানবাহনে বিশেষ করে ফিরতি যানবাহনে যাত্রী বহন করা যাবে না।

৭. গতিসীমা মেনে গাড়ি চালাতে হবে, বেপরোয়া ও অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।

৮. ওভারটেকিং নিষিদ্ধ এলাকা, রাস্তার বাঁক ও সরু ব্রিজে ওভারটেকিং করা যাবে না।

৯. নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে, ঘুমঘুম ভাব হলে ও শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।

১০. বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হালনাগাদ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি চালানো যাবে না।

১১. গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোন বা এয়ারফোন ব্যবহার করা যাবে না এবং গাড়িতে উচ্চস্বরে গান বাজানো যাবে না।

১২. উল্টো রাস্তায় গাড়ি চালানো যাবে না।

১৩. ড্রাইভিং লাইসেন্সের বৈধতা যাচাই করে গাড়ি চালক নিয়োগ করতে হবে।

১৪. মালিক কর্তৃক চালককে একটানা ৫ ঘণ্টা ও দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালাতে বাধ্য করা যাবে না।

যাত্রী সাধারণের উদ্দেশ্যে-

১. সড়কের যত্রতত্র দাঁড়িয়ে বাসে না উঠে নির্দিষ্ট টার্মিনাল/কাউন্টারে গিয়ে বাসে উঠতে হবে।

২. অপরিচিত কারো দেওয়া কোনো খাবার বা পানীয় গ্রহণ করা যাবে না।

৩. মালামাল নিজ হেফাজতে/দায়িত্বে রাখতে হবে।

৪. বাস যাত্রার নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই কাউন্টার/টার্মিনালে হাজির হতে হবে।

৫. রাস্তা পারাপারে ফুট ওভারব্রিজ/ আন্ডারপাস/জেব্রাক্রসিং ব্যবহার করতে হবে।

৬. চলন্ত গাড়িতে উঠানামা করা এবং পণ্যবাহী/পশুবাহী মোটরযানে যাত্রী হয়ে যাতায়াত করা যাবে না।

পথচারীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশনা-
১. জেব্রা ক্রসিং, ফুট ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস দিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হবে।

২. দৌড়ে বা মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পারাপার হওয়া যাবে না।

৩. ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে হবে।

জরুরি প্রয়োজনে টার্মিনালের পুলিশ কন্ট্রোলরুম বা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।