ঢাকা ১২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ই-ক্যাবের সদস্যপদ হারাচ্ছে ই-অরেঞ্জ

  • আপডেট সময় : ১২:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের সদস্য পদ হারাতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষের নামে দায়ের করা প্রতারণার মামলার কারণে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ‘সাংগঠনিক ব্যবস্থা’ হিসেবে সদস্য পদ বাতিল হতে পারে জানা যায়। ই-ক্যাবের পরিচালক আসিফ আহনাফ সম্প্রতি এই তথ্য নিশ্চিত করেন। প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষ এবং অন্তত পাঁচ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের হলে ই-অরেঞ্জ নিয়ে কী ভাবছে ই-ক্যাব, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ বলেন, ব্যবসায়ী সংগঠন হিসেবে আমরা শুধু সাংগঠনিক ব্যবস্থাই নিতে পারবো। সেটিই হওয়ার পথে। আসিফ আহনাফ আরও বলেন বলেন, আমরা ই-অরেঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা জানিয়েছিল যে, তাদের মালিকানায় পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু কারা নতুন মালিকপক্ষ সে বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত কিছু জানায়নি। মালিকানায় যারা নতুন এসেছেন তারাও নিজেদের সম্পর্কে আমাদেরকে কিছু জানায়নি। ই-কমার্স নির্দেশিকা হওয়ার পরেও কেন তারা আগের অর্ডার ডেলিভারি করছে না সেটি জানতে তাদেরকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের জবাব সন্তোষজনক ছিল না। ফলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার গ্রহণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেও অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং নতুন মালিকপক্ষের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না কাজেই ই-ক্যাবে তাদের সদস্যপদ বাতিল করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে সেটা পরবর্তীতে জানানো হবে। তবে সদস্য পদ বাতিলের এই সিদ্ধান্ত স্থায়ী নাকি সাময়িক সেটি এখনও বলা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থানায় ই-অরেঞ্জের সাবেক ও বর্তমান মালিকপক্ষ এবং একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রায় এক হাজার ১শ কোটি টাকা প্রতারণার মামলা দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী। গ্রাহক ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া বিপুল অংকের এই টাকা আসামিরা আত্মসাৎ বা অন্য কোথাও পাচার করেছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে আইন-শৃংখলা বাহিনী। এর আগে প্রায় তিন দিন রাজধানীতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় এবং ই-অরেঞ্জের সাবেক ‘ব্র্যান্ড এম্বাসেডর’ মাশরাফি বিন মর্তুজার বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীরা। বিক্ষোভের অংশ হিসেবে তারা গুলশান-২ চত্বরেও অংশ নিয়েছিলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধনও করেছিলেন তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তলবের পাল্টা তলব দিল্লির, উল্টো দুষল ইউনূস সরকারকে

ই-ক্যাবের সদস্যপদ হারাচ্ছে ই-অরেঞ্জ

আপডেট সময় : ১২:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের সদস্য পদ হারাতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষের নামে দায়ের করা প্রতারণার মামলার কারণে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ‘সাংগঠনিক ব্যবস্থা’ হিসেবে সদস্য পদ বাতিল হতে পারে জানা যায়। ই-ক্যাবের পরিচালক আসিফ আহনাফ সম্প্রতি এই তথ্য নিশ্চিত করেন। প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষ এবং অন্তত পাঁচ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের হলে ই-অরেঞ্জ নিয়ে কী ভাবছে ই-ক্যাব, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ বলেন, ব্যবসায়ী সংগঠন হিসেবে আমরা শুধু সাংগঠনিক ব্যবস্থাই নিতে পারবো। সেটিই হওয়ার পথে। আসিফ আহনাফ আরও বলেন বলেন, আমরা ই-অরেঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা জানিয়েছিল যে, তাদের মালিকানায় পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু কারা নতুন মালিকপক্ষ সে বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত কিছু জানায়নি। মালিকানায় যারা নতুন এসেছেন তারাও নিজেদের সম্পর্কে আমাদেরকে কিছু জানায়নি। ই-কমার্স নির্দেশিকা হওয়ার পরেও কেন তারা আগের অর্ডার ডেলিভারি করছে না সেটি জানতে তাদেরকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের জবাব সন্তোষজনক ছিল না। ফলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার গ্রহণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেও অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং নতুন মালিকপক্ষের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না কাজেই ই-ক্যাবে তাদের সদস্যপদ বাতিল করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে সেটা পরবর্তীতে জানানো হবে। তবে সদস্য পদ বাতিলের এই সিদ্ধান্ত স্থায়ী নাকি সাময়িক সেটি এখনও বলা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থানায় ই-অরেঞ্জের সাবেক ও বর্তমান মালিকপক্ষ এবং একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রায় এক হাজার ১শ কোটি টাকা প্রতারণার মামলা দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী। গ্রাহক ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া বিপুল অংকের এই টাকা আসামিরা আত্মসাৎ বা অন্য কোথাও পাচার করেছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে আইন-শৃংখলা বাহিনী। এর আগে প্রায় তিন দিন রাজধানীতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় এবং ই-অরেঞ্জের সাবেক ‘ব্র্যান্ড এম্বাসেডর’ মাশরাফি বিন মর্তুজার বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীরা। বিক্ষোভের অংশ হিসেবে তারা গুলশান-২ চত্বরেও অংশ নিয়েছিলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধনও করেছিলেন তারা।