ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

ই-কমার্সগুলো ২৬ মের মধ্যে গ্রাহক তালিকা না দিলে ব্যবস্থা

  • আপডেট সময় : ০১:৫৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২
  • ১২৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অগ্রিম টাকা নিয়েও গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহ করেনি— এমন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডেলিভারি স্ট্যাটাসসহ পূর্ণাঙ্গ গ্রাহক তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকা জমা দেওয়ার জন্য আগামী ২৬ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানগুলোকে পূর্ণাঙ্গ গ্রাহক তালিকা তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংক, সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট গেটওয়ে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান অগ্রিম টাকা নিয়েও গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহ করেনি, সেসব ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের আটকে থাকা অর্থ (এস্ক্রোতে আটকে থাকা অর্থসহ) ফেরত দেওয়ার জন্য আগামী ২৬ মের মধ্যে ডেলিভারি স্ট্যাটাসসহ একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রাহক তালিকা প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট গেটওয়ে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হলো।
যারা এই নির্দেশনা মানবে না, অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ গ্রাহক তালিকা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং পেমেন্ট গেটওয়েতে জমা দেবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘এই বিজ্ঞপ্তিটা তাদের জন্য যারা গ্রাহকের টাকা নিয়ে এখনো পণ্য সরবরাহ করেনি, যারা এখনো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ই-ক্যাব কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করেনি। ২৬ মের মধ্যে তাদের তরফ থেকে তালিকা না পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। একই সঙ্গে গেটওয়েতে তাদের যত টাকা আটকে আছে, সব গ্রাহকদের দিয়ে দেওয়া হবে।’ এর আগে, প্রতারণার অভিযোগ ওঠা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রাহকদের তালিকা জমা দেওয়ার জন্য ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই সময়ের মধ্যে যারা মন্ত্রণালয় বা ই-ক্যাবে যোগাযোগ করেনি, তাদের তালিকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছিল। মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সেই সময়সীমার মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিকই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়েছে এবং গ্রাহকদের টাকা ফেরতের উদ্যোগও নিয়েছে। তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ই-কমার্সগুলো ২৬ মের মধ্যে গ্রাহক তালিকা না দিলে ব্যবস্থা

আপডেট সময় : ০১:৫৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : অগ্রিম টাকা নিয়েও গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহ করেনি— এমন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডেলিভারি স্ট্যাটাসসহ পূর্ণাঙ্গ গ্রাহক তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকা জমা দেওয়ার জন্য আগামী ২৬ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানগুলোকে পূর্ণাঙ্গ গ্রাহক তালিকা তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংক, সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট গেটওয়ে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান অগ্রিম টাকা নিয়েও গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহ করেনি, সেসব ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের আটকে থাকা অর্থ (এস্ক্রোতে আটকে থাকা অর্থসহ) ফেরত দেওয়ার জন্য আগামী ২৬ মের মধ্যে ডেলিভারি স্ট্যাটাসসহ একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রাহক তালিকা প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট গেটওয়ে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হলো।
যারা এই নির্দেশনা মানবে না, অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ গ্রাহক তালিকা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং পেমেন্ট গেটওয়েতে জমা দেবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘এই বিজ্ঞপ্তিটা তাদের জন্য যারা গ্রাহকের টাকা নিয়ে এখনো পণ্য সরবরাহ করেনি, যারা এখনো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ই-ক্যাব কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করেনি। ২৬ মের মধ্যে তাদের তরফ থেকে তালিকা না পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। একই সঙ্গে গেটওয়েতে তাদের যত টাকা আটকে আছে, সব গ্রাহকদের দিয়ে দেওয়া হবে।’ এর আগে, প্রতারণার অভিযোগ ওঠা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রাহকদের তালিকা জমা দেওয়ার জন্য ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই সময়ের মধ্যে যারা মন্ত্রণালয় বা ই-ক্যাবে যোগাযোগ করেনি, তাদের তালিকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছিল। মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সেই সময়সীমার মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিকই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়েছে এবং গ্রাহকদের টাকা ফেরতের উদ্যোগও নিয়েছে। তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে।