অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : অফারে পণ্য বিক্রির নামে অগ্রিম টাকা নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন একজন গ্রাহক। মামলায় ই-অরেঞ্জের পাঁচ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকালে গুলশান থানায় মামলাটি করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান। ওসি বলেন, একজন গ্রাহক বাদী হয়ে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। মামলায় প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ, সোনিয়া মেহজাবিন। মামলার এজাহারে উল্লিখিত আসামিদের প্রত্যেককেই ই-অরেঞ্জের মালিক বলে দাবি করা হয়েছে। মামলার বাদী ই-অরেঞ্জের গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম। তবে তার সঙ্গে প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জনও মামলা দায়েরের সময় উপস্থিত ছিলেন। মামলার এজাহারে তাদের স্বাক্ষর রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি তদন্তকাজ শুরু করেছেন। অর্ডার করা পণ্য পেতে সোমবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান-১ এর সড়ক অবরোধ করেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা। বিক্ষুব্ধ ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারের চেয়ে অনেক কম মূল্যে মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য অনেক পণ্যের বিপরীতে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অর্ডার নেওয়ার পর ই-অরেঞ্জের মালিক ও কর্মকর্তারা লাপাত্তা। তাই লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেও এখন তাদের দিন কাটছে দুশ্চিন্তায়। নিরুপায় হয়ে সোমবার দিনভর ক্রেতারা বিক্ষোভ করেছেন ই-অরেঞ্জের গুলশানের কার্যালয়ের সামনে। অবরোধ শেষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার বাসায় যান ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা। এদিকে ই-অরেঞ্জের পক্ষ থেকে সোমবার বিকালে ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই তার সঙ্গে যেন কেউ যোগাযোগ না করে। একই পোস্টে ই-অরেঞ্জ ১৯ আগস্ট থেকে মোটরসাইকেল ছাড়া সব পণ্য সরবরাহ শুরু করবে বলেও জানায়। সার্বিক বিষয় নিয়ে ই-অরেঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কারও সঙ্গে কথা বলার সম্ভব হয়নি।
ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ