ঢাকা ০২:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

ইয়াসে কয়রায় ৩৫ কোটি টাকার ক্ষতি, ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি

  • আপডেট সময় : ১২:২৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : খুলনার কয়রা উপজেলায় ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে আসা পানিতে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাছাড়া বিভিন্নভাবে অন্তত ৩৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের কাছে এসব তথ্য পেয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে একটি সংবাদসংস্থা। কয়রা উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা সাগর হোসেন সৈকত বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। বুধবার ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। পরদিন আরও কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। শনিবার পর্যন্ত তারা পানিবন্দি রয়েছেন। ‘আর এতে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।’ উপজেলাটির চারপাশ নদীবেষ্টিত।
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, উপজেলায় বেড়িবাঁধ রয়েছে ১৫৫ কিলোমিটারের মত। ইয়াসে লোকালয়ে পানি ঢুকে বাড়ি-ঘর, স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদ অচল হয়ে পড়েছে। খাবার পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় শুক্রবার মহারাজপুর ইউনিয়নের শিমলারাইট পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়ে জুমার নামাজ পড়ে মানুষ। নামাজ শেষে নোনা পানি থেকে উপকূলের মানুষকে রক্ষার জন্য মোনাজাত করেন তারা।
কয়রা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, স্বেচ্ছাশ্রমে শুক্রবার মহারাজপুর ইউনিয়নের মাঠবাড়ি গ্রামের মঠের মোসলেম সরদারের বাড়ির পাশে বেড়িবাঁধের সংস্কারকাজ করেছেন স্থানীয় তিন সহস্রাধিক বাসিন্দা। ওই এলাকার বাসিন্দা বায়েজিদ হোসেন বলেন, ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রতিনিয়ত পানি ঢুকছে লোকালয়ে। রাস্তা উপচে ঘরের মধ্যে পানি প্রবেশ করেছে। হাঁটুপানির মধ্যে মানুষ বসবাস করছে।
মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন লাবলু জনগণের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে। শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া এলাকায় কপোতাক্ষ নদ ও উত্তর বেদকাশী এলাকার শাকবাড়িয়া নদীর ধারে গিয়ে দেখা গেছে, উত্তাল নদী। কিনারা ছুঁইছুঁই করছে পানি। কোথাও কোথাও বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে বাঁধের ওপর।
এলাকাবাসী জানান, লোনা পানি ঢুকে ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গবাদিপশু নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন তারা। জীবন-জীবিকা হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইয়াসে কয়রায় ৩৫ কোটি টাকার ক্ষতি, ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি

আপডেট সময় : ১২:২৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মে ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : খুলনার কয়রা উপজেলায় ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে আসা পানিতে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাছাড়া বিভিন্নভাবে অন্তত ৩৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের কাছে এসব তথ্য পেয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে একটি সংবাদসংস্থা। কয়রা উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা সাগর হোসেন সৈকত বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। বুধবার ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। পরদিন আরও কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। শনিবার পর্যন্ত তারা পানিবন্দি রয়েছেন। ‘আর এতে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।’ উপজেলাটির চারপাশ নদীবেষ্টিত।
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, উপজেলায় বেড়িবাঁধ রয়েছে ১৫৫ কিলোমিটারের মত। ইয়াসে লোকালয়ে পানি ঢুকে বাড়ি-ঘর, স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদ অচল হয়ে পড়েছে। খাবার পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় শুক্রবার মহারাজপুর ইউনিয়নের শিমলারাইট পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়ে জুমার নামাজ পড়ে মানুষ। নামাজ শেষে নোনা পানি থেকে উপকূলের মানুষকে রক্ষার জন্য মোনাজাত করেন তারা।
কয়রা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, স্বেচ্ছাশ্রমে শুক্রবার মহারাজপুর ইউনিয়নের মাঠবাড়ি গ্রামের মঠের মোসলেম সরদারের বাড়ির পাশে বেড়িবাঁধের সংস্কারকাজ করেছেন স্থানীয় তিন সহস্রাধিক বাসিন্দা। ওই এলাকার বাসিন্দা বায়েজিদ হোসেন বলেন, ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রতিনিয়ত পানি ঢুকছে লোকালয়ে। রাস্তা উপচে ঘরের মধ্যে পানি প্রবেশ করেছে। হাঁটুপানির মধ্যে মানুষ বসবাস করছে।
মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন লাবলু জনগণের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে। শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়া এলাকায় কপোতাক্ষ নদ ও উত্তর বেদকাশী এলাকার শাকবাড়িয়া নদীর ধারে গিয়ে দেখা গেছে, উত্তাল নদী। কিনারা ছুঁইছুঁই করছে পানি। কোথাও কোথাও বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে বাঁধের ওপর।
এলাকাবাসী জানান, লোনা পানি ঢুকে ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গবাদিপশু নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন তারা। জীবন-জীবিকা হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত।