ঢাকা ০১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে তারেক রহমানের বাণী

ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন মুহাম্মদ (সা.)

  • আপডেট সময় : ০৩:০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

তারেক রহমান-ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, দয়া ও ক্ষমা, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবীর (স.) আদর্শ অতুলনীয়। তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্মসচিব রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী দিনটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর দুনিয়ায় আগমনের আনন্দ ও তার জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। যিনি মানবজাতিকে পরিশোধন করেন। সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোরআন ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর আগমন দিবস মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ এবং আনন্দের।

তিনি সারাবিশ্বের জন্য রহমত স্বরুপ। আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সব থেকে বড় উপহার। আল্লাহ তাকে দিয়েছেন মহিমান্বিত মর্যাদা।

হযরত মুহম্মদ (স.) এর আবির্ভাব ছিল একটি আলোকিত বিস্ময়। মানবজাতি তার আগমনে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সমস্ত অন্যায়-অবিচার, কুসংস্কার, নিপীড়ন-নির্যাতন এবং বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের সন্ধান পায়। সেজন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী।

সমাজের অবহেলিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা কাজ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ ন্যায় ও সৎ পথে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে রাসুলের (স.) দেখানো পথে। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তার ওপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন। অন্ধকারের যুগ তথা আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যভিচার-অনাচারের অরাজকতা বিরাজমান ছিল। এই সময় যার আগমন হয়েছিল তিনি হলেন রহমতুল্লিল আলামীন।

তারেক রহমান বলেন, আমি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের কাছে প্রার্থনা করি মহানবী (স.) এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হযরত মোহাম্মদ (স.) এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তার প্রতি সালাম জানাই।

সানা/আপ্র/০৫/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে তারেক রহমানের বাণী

ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন মুহাম্মদ (সা.)

আপডেট সময় : ০৩:০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূরীভূত করে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, দয়া ও ক্ষমা, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবীর (স.) আদর্শ অতুলনীয়। তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্মসচিব রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী দিনটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর দুনিয়ায় আগমনের আনন্দ ও তার জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। যিনি মানবজাতিকে পরিশোধন করেন। সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোরআন ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর আগমন দিবস মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ এবং আনন্দের।

তিনি সারাবিশ্বের জন্য রহমত স্বরুপ। আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সব থেকে বড় উপহার। আল্লাহ তাকে দিয়েছেন মহিমান্বিত মর্যাদা।

হযরত মুহম্মদ (স.) এর আবির্ভাব ছিল একটি আলোকিত বিস্ময়। মানবজাতি তার আগমনে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সমস্ত অন্যায়-অবিচার, কুসংস্কার, নিপীড়ন-নির্যাতন এবং বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের সন্ধান পায়। সেজন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী।

সমাজের অবহেলিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা কাজ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ ন্যায় ও সৎ পথে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে রাসুলের (স.) দেখানো পথে। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তার ওপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন। অন্ধকারের যুগ তথা আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যভিচার-অনাচারের অরাজকতা বিরাজমান ছিল। এই সময় যার আগমন হয়েছিল তিনি হলেন রহমতুল্লিল আলামীন।

তারেক রহমান বলেন, আমি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের কাছে প্রার্থনা করি মহানবী (স.) এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হযরত মোহাম্মদ (স.) এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তার প্রতি সালাম জানাই।

সানা/আপ্র/০৫/০৯/২০২৫