ঢাকা ০১:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে হামলা, দুই কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

  • আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য আবদুস সালামের কার্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী ও উপরেজিস্ট্রার আইয়ুব আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রাক্তন কয়েকজন নেতা–কর্মীসহ বহিরাগতরা এ হামলা চালিয়েছে। ঘটনার সময় উপাচার্য আবদুস সালাম তাঁর বাসভবনে ছিলেন। ঘটনার পরপরই সেখানে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শফিকুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপাচার্যের কার্যালয়ে যান। শনিবার বিকেলে এ ঘটনায় উপাচার্যের বাসভবনে বৈঠক হওয়ার কথা জানা যায়।
উপরেজিস্ট্রার আইয়ুব আলী বলেন, তিনি বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুস সালামকে বাসভবনে রেখে আসেন। এরপর তিনি প্রশাসনিক ভবনের দোতলায় উপাচার্যের কার্যালয়ে যান। সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে তিনি বসে ছিলেন। আড়াইটার দিকে হঠাৎ ১৮ থেকে ২০ জন যুবক কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন। এর মধ্যে একজন যুবক একটি ফাইল ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকেন।
এ সময় আইয়ুব আলী ওই যুবকদের বলেন, ‘উপাচার্যসহ অন্য কর্মকর্তারা ফাইলের বিষয়টি দেখভাল করেন। তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। এ কথা শুনে ওই যুবকেরা উত্তেজিত হয়ে কার্যালয়ের ভেতরে থাকা চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য আসবাব ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় তাঁরা টেবিলে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র মেঝেতে ছুড়ে ফেলেন। একপর্যায়ে তাঁকে মারধরের চেষ্টা করা হয়। এ সময় উপরেজিস্ট্রার মোল্লা শফিকুল ইসলাম তাঁদের ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাঁদের দুজনকেই গালাগাল করা হয় এবং হুমকি দেওয়া হয়। পরে আইয়ুব আলী ওই কক্ষ থেকে বের হয়ে রেজিস্ট্রারের কক্ষে গিয়ে বিষয়টি মুঠোফোনে উপাচার্যকে জানান। এর কয়েক মিনিট পর হামলাকারীরা ওই ভবন থেকে চলে যান।
হামলাকারীদের প্রায় সবাইকে চেনেন জানিয়ে আইয়ুব আলী বলেন, ‘তাঁরা এক সময় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। হামলার সময় আমার সঙ্গে তাঁরা যা করেছে, তা মারধরের চেয়ে অনেক বেশি। আগের উপাচার্যের মেয়াদে হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিন হাজিরায় শ্রমিকের কাজ শুরু করেছিলেন। বর্তমান উপাচার্য যোগদানের পর সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাঁরা তাঁদের চাকরির দাবিতে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে আসতেন।’
উপাচার্য আবদুস সালাম একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি ঘটনা জেনেছি। আমার কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। যাঁরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ নন। তাঁরা বহিরাগত। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বৈঠক করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ভূমিকম্পে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত, রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে হামলা, দুই কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

আপডেট সময় : ০২:১৪:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য আবদুস সালামের কার্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী ও উপরেজিস্ট্রার আইয়ুব আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রাক্তন কয়েকজন নেতা–কর্মীসহ বহিরাগতরা এ হামলা চালিয়েছে। ঘটনার সময় উপাচার্য আবদুস সালাম তাঁর বাসভবনে ছিলেন। ঘটনার পরপরই সেখানে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শফিকুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপাচার্যের কার্যালয়ে যান। শনিবার বিকেলে এ ঘটনায় উপাচার্যের বাসভবনে বৈঠক হওয়ার কথা জানা যায়।
উপরেজিস্ট্রার আইয়ুব আলী বলেন, তিনি বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুস সালামকে বাসভবনে রেখে আসেন। এরপর তিনি প্রশাসনিক ভবনের দোতলায় উপাচার্যের কার্যালয়ে যান। সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে তিনি বসে ছিলেন। আড়াইটার দিকে হঠাৎ ১৮ থেকে ২০ জন যুবক কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন। এর মধ্যে একজন যুবক একটি ফাইল ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকেন।
এ সময় আইয়ুব আলী ওই যুবকদের বলেন, ‘উপাচার্যসহ অন্য কর্মকর্তারা ফাইলের বিষয়টি দেখভাল করেন। তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। এ কথা শুনে ওই যুবকেরা উত্তেজিত হয়ে কার্যালয়ের ভেতরে থাকা চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য আসবাব ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় তাঁরা টেবিলে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র মেঝেতে ছুড়ে ফেলেন। একপর্যায়ে তাঁকে মারধরের চেষ্টা করা হয়। এ সময় উপরেজিস্ট্রার মোল্লা শফিকুল ইসলাম তাঁদের ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাঁদের দুজনকেই গালাগাল করা হয় এবং হুমকি দেওয়া হয়। পরে আইয়ুব আলী ওই কক্ষ থেকে বের হয়ে রেজিস্ট্রারের কক্ষে গিয়ে বিষয়টি মুঠোফোনে উপাচার্যকে জানান। এর কয়েক মিনিট পর হামলাকারীরা ওই ভবন থেকে চলে যান।
হামলাকারীদের প্রায় সবাইকে চেনেন জানিয়ে আইয়ুব আলী বলেন, ‘তাঁরা এক সময় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। হামলার সময় আমার সঙ্গে তাঁরা যা করেছে, তা মারধরের চেয়ে অনেক বেশি। আগের উপাচার্যের মেয়াদে হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিন হাজিরায় শ্রমিকের কাজ শুরু করেছিলেন। বর্তমান উপাচার্য যোগদানের পর সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাঁরা তাঁদের চাকরির দাবিতে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে আসতেন।’
উপাচার্য আবদুস সালাম একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি ঘটনা জেনেছি। আমার কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। যাঁরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ নন। তাঁরা বহিরাগত। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বৈঠক করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’