আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ প্রথমবারের মত সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে গেছেন। গল্ফ আরব দেশটির সঙ্গে সম্পর্কের বাঁধন আরো শক্ত করতে রোববার প্রেসিডেন্ট হারজোগ সেখানে যান বলে জানান তার কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় নিজেদের মধ্যে শত্রুতা ভুলে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একটি চুক্তিতে সই করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং ইসরায়েল। যেটি ‘আব্রাহাম চুক্তি-২০২০’ নামে পরিচিত। পরে বাহরাইনও ওই চুক্তি সই করে। গল্ফ আরবের এই দুই দেশ এবং ইসরায়েল দুই পক্ষেরই শত্রু ইরান। ইউএই যাওয়ার পথে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টকে বহন করা উড়োজাহাজটি সৌদি আরবের আকাশসীমা দিয়ে উড়ে যায় বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেটিকে ‘সত্যিকারের অগ্রগতির পথে একটি পদক্ষেপ’ বলে বর্ণনা করেন প্রেসিডেন্ট হারজোগ। ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে ইসরায়েল সব সময়ই বলেছে, তারা রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী। প্রেসিডেন্ট হারজগের আগে গতবছর ডিসেম্বরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত ইউএই সফর করে গেছেন। আবু ধাবিতে ইউএই-র পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান প্রেসিডেন্ট হারজগকে স্বাগত জানান।
ইসরায়েল ছাড়ার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট হারগজ বলেছিলেন, তিনি যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদের ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে সেখানে যাচ্ছেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন। ‘‘আমি তার মঙ্গল কামনা করছি। তিনি অত্যন্ত সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি সম্পন্ন করেছেন বলে আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। ওই চুক্তির মাধ্যমে তিনি পুরো অঞ্চলকে এই বার্তা দিয়েছেন যে, সেখানকার মানুষদের জন্য শান্তিই একমাত্র বিকল্প।” ইউএইর ইহুদি জনগোষ্ঠির সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ইসরায়েলী প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের সফরের আগে গত ১৮ জানুয়ারি ইসরায়েল সংযুক্ত আরব আমিরাতকে যেকোনো ধরনের নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা সহযোগিতা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এমনকি ড্রোন হামলার বিষয়েও তারা তথ্য দিতে চায়। সম্প্রতি ইরানপন্থি ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইউএইতে ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালায়।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট প্রথমবার আরব আমিরাতে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ