ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা দিতেই উপসাগরে সামরিক মহড়া, বলল ইরান

  • আপডেট সময় : ১১:৩৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের শীর্ষ এক সামরিক কমান্ডার বলেছেন, ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তেহরান গত সপ্তাহে উপসাগরে যুদ্ধের মহড়া চালিয়েছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে সম্ভাব্য ইসরায়েলি হামলার পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে গত শুক্রবার রেভ্যুলেশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। উপসাগরে এ মহড়ায় রেভ্যুলেশনারি গার্ড নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অনুশীলন করে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দেখায়, শুক্রবার মহড়ার শেষদিকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের ডিমোনা পারমাণবিক চুল্লির মতো দেখতে একটি লক্ষ্যবস্তুকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়।
“এই মহড়ায় খুবই স্পষ্ট বার্তা ছিল; জায়নবাদী শাসকদেরকে তাদের ভুলের ব্যাপারে গুরুতর, সত্যিকারের হুঁশিয়ারি। “তারা ভুল কোনো পদক্ষেপ নিলে আমরা তাদের হাত কেটে নেবো। সত্যিকারের অভিযান ও সামরিক মহড়ার মধ্যে দূরত্ব কেবল ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণের কোণ বদলে দেওয়া,” রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে এমনটাই বলেছেন সালামি।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাঘেরি জানান, তাদের ‘গ্রেট প্রোফেট ১৭’ নামের মহড়ায় একইসময়ে আলাদা আলাদা শ্রেণির ১৬টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, যা আগে থেকে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুকে গুড়িয়ে দেয়। মহড়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। এই ধরনের কর্মকা- আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলেও মন্তব্য করেছে তারা। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খতিবজাদে যুক্তরাজ্যের বিবৃতিকে ‘ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় হস্তক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন।
ইরান বলছে, তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পাল্লা হচ্ছে দুই হাজার কিলোমিটার, যা ইসরায়েলের পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিই সবচেয়ে বড়। তেহরান এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের মোকাবেলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার মনে করে।
ইরান পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবনে পশ্চিমা দেশগুলোর আগ্রহে ইসরায়েলের অসন্তোষও গোপন নয়। তেল আবিবের ভাষ্য, ইরান আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করছে। কূটনীতি ব্যর্থ হলে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে, ইসরায়েলের এমন হুমকিও দীর্ঘদিনের। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র তাদেরই পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে মনে করা হয়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা দিতেই উপসাগরে সামরিক মহড়া, বলল ইরান

আপডেট সময় : ১১:৩৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের শীর্ষ এক সামরিক কমান্ডার বলেছেন, ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তেহরান গত সপ্তাহে উপসাগরে যুদ্ধের মহড়া চালিয়েছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে সম্ভাব্য ইসরায়েলি হামলার পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে গত শুক্রবার রেভ্যুলেশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। উপসাগরে এ মহড়ায় রেভ্যুলেশনারি গার্ড নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অনুশীলন করে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দেখায়, শুক্রবার মহড়ার শেষদিকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের ডিমোনা পারমাণবিক চুল্লির মতো দেখতে একটি লক্ষ্যবস্তুকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়।
“এই মহড়ায় খুবই স্পষ্ট বার্তা ছিল; জায়নবাদী শাসকদেরকে তাদের ভুলের ব্যাপারে গুরুতর, সত্যিকারের হুঁশিয়ারি। “তারা ভুল কোনো পদক্ষেপ নিলে আমরা তাদের হাত কেটে নেবো। সত্যিকারের অভিযান ও সামরিক মহড়ার মধ্যে দূরত্ব কেবল ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণের কোণ বদলে দেওয়া,” রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে এমনটাই বলেছেন সালামি।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাঘেরি জানান, তাদের ‘গ্রেট প্রোফেট ১৭’ নামের মহড়ায় একইসময়ে আলাদা আলাদা শ্রেণির ১৬টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, যা আগে থেকে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুকে গুড়িয়ে দেয়। মহড়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। এই ধরনের কর্মকা- আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলেও মন্তব্য করেছে তারা। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খতিবজাদে যুক্তরাজ্যের বিবৃতিকে ‘ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় হস্তক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন।
ইরান বলছে, তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পাল্লা হচ্ছে দুই হাজার কিলোমিটার, যা ইসরায়েলের পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিই সবচেয়ে বড়। তেহরান এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের মোকাবেলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার মনে করে।
ইরান পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবনে পশ্চিমা দেশগুলোর আগ্রহে ইসরায়েলের অসন্তোষও গোপন নয়। তেল আবিবের ভাষ্য, ইরান আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করছে। কূটনীতি ব্যর্থ হলে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে, ইসরায়েলের এমন হুমকিও দীর্ঘদিনের। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র তাদেরই পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে মনে করা হয়।