প্রত্যাশা ডেস্ক: ইসরায়েলে আবারও নতুন করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। মধ্য ইসরায়েলকে কেন্দ্র করে চালানো সর্বশেষ এই হামলায় আরো ৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৬৭ জনেরও বেশি মানুষ।
এদিকে ইরানের চালানো সর্বশেষ এই হামলায় ইসরায়েলের বহু এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (১৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সোমবার ভোরে ইরান ফের ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যার ফলে দেশজুড়ে সাইরেন বাজতে শুরু করে। ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় অংশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং বহু এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই হামলায় অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছেন এবং আরো ৬৭ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল সংস্থা ইউনাইটেড হাটজালাহ জানায়, তারা কেন্দ্রীয় ইসরায়েলের তিনটি এলাকায় আহতদের চিকিৎসা দিয়েছে। আহতদের মধ্যে একজন ১০ বছর বয়সী শিশু রয়েছে, যার অবস্থা গুরুতর।
ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শহরের একটি ভবনে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। তেল আবিবেও দুটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার খবর দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর হোম ফ্রন্ট কমান্ড রোববার রাত থেকে সোমবার ভোরের মধ্যবর্তী সময়ে নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেয়।
অন্যদিকে ইসরায়েলি রেড ক্রস (এমডিএ) জানায়, তারা চারটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার রিপোর্ট পেয়েছে এবং সেখানে তাদের দল পাঠিয়েছে। তারা অন্তত ২৯ জনকে চিকিৎসা ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা মাঝারি, বাকি ২৬ জন হালকা আহত।
এছাড়া অনেকে আতঙ্কজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন, তাদেরও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আরো হতাহতের খোঁজে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েলি রেড ক্রস।
এদিকে ইসরায়ের উত্তরের হাইফা শহরেও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান। একই সময় ইয়েমেন থেকে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে। কান আরো জানায়, একই সময়ে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার কারণে সাইরেন বেজে ওঠে।
অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সঠিক অবস্থান, ছবি বা ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ না করে, কারণ শত্রুপক্ষ এগুলো পর্যবেক্ষণ করে তাদের আক্রমণের সক্ষমতা উন্নত করতে পারে।
এছাড়া ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই ইসরায়েলের উত্তরে, বিশেষ করে রোশ হানিক্রা এলাকায় ড্রোন অনুপ্রবেশের সাইরেন বেজে ওঠে।
ইসরায়েলের উপকূলীয় অঞ্চলে যেসব জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে, সেসব স্থানে বিদেশি সংবাদমাধ্যম ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করছে—এমন খবরে পুলিশ সাড়া দিয়েছে এবং তল্লাশি ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।