প্রত্যাশা ডেস্ক: গাজায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দুই বছরব্যাপী ভয়াবহ সামরিক অভিযান বিশ্বের সামনে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রেসিডন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মার্কো রুবিও।
গত রোববার (৫ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে সাক্ষাৎকারে দেন রুবিও। সেখানে তিনি বলেন, আমরা রাজি হই আর না হই, সম্প্রতি আমরা দেখেছে যে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং অন্যান্য অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি তাদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও আমরা ইসরায়েলের প্রতি আক্রমণাত্মক মনোভাব লক্ষ্য করছি।
বৈশ্বিকভাবে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ব্যাপারটিতে ফোকাস করেছেন। ইসরায়েলকে তিনি বলতে চেয়েছেন যে তারা স্বীকার করুক আর না করুক, দুই বছর ধরে যুদ্ধেরে জেরে ইসরায়েলের যে বৈশ্বিক ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে, তা তারা এড়িয়ে যেতে পারবে না।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। তাদের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। পাশরপাশি ২৫০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে আসে তারা। এর পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
এই যুদ্ধ বন্ধে গত সপ্তাহে ২০টি পয়েন্ট সম্বলিত নতুন একটি যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা পেশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ সোমবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে সেই পরিকল্পনার ওপর বৈঠক শুরু হওয়ার কথা আছে। ইসরায়েল, হামাস এবং যুদ্ধের মধ্যস্থতাকারী ৩ দেশ কাতার, মিসর এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা ইতোমধ্যে কায়রোতে উপস্থিত হয়েছেন।
সিবিএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো মেনে নেবে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি। ইসরায়েলিরা এবং অন্যান্যরাও এটা স্বীকার করবেন যে সংঘাত চলতে থাকলে জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারটি অনিশ্চিতই থেকে যাবে। কারণ চলমান সংঘাতের মধ্যে আপনি জিম্মিদের মুক্তি দিতে পারবেন না। তাদের নিরাপত্তার জন্যেই এটি সম্ভব নয়। তাই অবশ্যই ইসরায়েলকে তার অভিযান থামাতে হবে। সূত্র: আরটি
সানা/আপ্র/০৬/১০/২০২৫