ঢাকা ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ইলিশ বেচাকেনা জমজমাট

  • আপডেট সময় : ০১:১০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন আলেকজান্ডার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘাটে জমজমাট ইলিশের বেচাবিক্রি চলে। ইলিশের পাশাপাশি সামুদ্রিক অন্য মাছও বিক্রি হয় এ ঘাটে। শুক্রবার এই ঘাটে ১ কোটি ১২ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা মাছ কিনতে এই ঘাটে আসেন। এছাড়া ঘাটের পাশে বরফ কল গড়ে উঠায় সব সময় লোকারণ্য থাকে মাছের ঘাটটি। বর্তমানে সাগরে প্রচুর পরিমাণে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রকার মাছ ধরা পড়ছে। সেই মাছের একটি অংশ বেচাবিক্রি হয় আলেকজান্ডার ঘাটে। রামগতির তিনটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মধ্যে এ ঘাটের অবস্থান তৃতীয়। আলেকজান্ডার ঘাটের মাছ বেপারী আজাদ বলেন, প্রতিটি এক কেজি বেশি ওজনের দুই হালি ইলিশ ৮ হাজার টাকায় কিনেছেন তিনি। ঘাটের আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন এ ঘাটে ১০০ থেকে ১৫০ মেট্রিক টন ইলিশ বেচাকেনা হয়। যারা বাজার মূল্য ১০-১২ কোটি টাকারও বেশি। সাগরের প্রতিটি ইলিশের ওজন এক থেকে দেড় কেজির মতো। ছোট আকারের ইলিশের উপস্থিতি একেবারে কম। মাছঘাটের একটি বাক্সের মালিক লিটন বলেন, এ ঘাটে ৪৫টি বাক্স আছে। এক হাজারের বেশি জেলে নৌকার মাছ এ ঘাটে আসে। সকাল ৮ টা থেকে বেচাবিক্রি শুরু হয়, চলে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। শুক্রবার দিনব্যাপী ১ কোটি ১২ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে তাদের বাক্সতে। শতকরা ১০ টাকা হারে তারা জেলেদের কাছ থেকে কমিশন নেন। তিনি আরও জানান, ঘাটকে ঘিরে অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘাটে ৫০০’র মতো কর্মী কাজ করছেন।
আড়তদার আজাদ বেপারী বলেন, ‘আলেকজান্ডার মাছঘাটটি সড়কের খুব কাছে হওয়ায় এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসতে পারেন। এছাড়া অনেকে খাওয়ার জন্যেও এ ঘাট থেকে মাছ কিনে নিয়ে যান। ফলে ঘাটটি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমজমাট থাকে।’ আলেকজান্ডার ঘাটের সভাপতি শামছু হাওলাদার বলেন, আলেকজান্ডার মাছঘাটি উপজেলার মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী ঘাট ছিল। কিন্তু মেঘনা নদীতে ইলিশ না থাকায় এখানে মাছের পরিমাণ কিছুটা কমে গেছে। বেশিভাগ মাছই সাগরের। নদীতে মাছ পাওয়া গেলে ঘাটটি আরও জমজমাট হয়ে উঠবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন সংস্কার, সেই সংস্কার আদায় করে ছাড়ব

ইলিশ বেচাকেনা জমজমাট

আপডেট সময় : ০১:১০:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন আলেকজান্ডার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘাটে জমজমাট ইলিশের বেচাবিক্রি চলে। ইলিশের পাশাপাশি সামুদ্রিক অন্য মাছও বিক্রি হয় এ ঘাটে। শুক্রবার এই ঘাটে ১ কোটি ১২ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা মাছ কিনতে এই ঘাটে আসেন। এছাড়া ঘাটের পাশে বরফ কল গড়ে উঠায় সব সময় লোকারণ্য থাকে মাছের ঘাটটি। বর্তমানে সাগরে প্রচুর পরিমাণে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রকার মাছ ধরা পড়ছে। সেই মাছের একটি অংশ বেচাবিক্রি হয় আলেকজান্ডার ঘাটে। রামগতির তিনটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মধ্যে এ ঘাটের অবস্থান তৃতীয়। আলেকজান্ডার ঘাটের মাছ বেপারী আজাদ বলেন, প্রতিটি এক কেজি বেশি ওজনের দুই হালি ইলিশ ৮ হাজার টাকায় কিনেছেন তিনি। ঘাটের আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন এ ঘাটে ১০০ থেকে ১৫০ মেট্রিক টন ইলিশ বেচাকেনা হয়। যারা বাজার মূল্য ১০-১২ কোটি টাকারও বেশি। সাগরের প্রতিটি ইলিশের ওজন এক থেকে দেড় কেজির মতো। ছোট আকারের ইলিশের উপস্থিতি একেবারে কম। মাছঘাটের একটি বাক্সের মালিক লিটন বলেন, এ ঘাটে ৪৫টি বাক্স আছে। এক হাজারের বেশি জেলে নৌকার মাছ এ ঘাটে আসে। সকাল ৮ টা থেকে বেচাবিক্রি শুরু হয়, চলে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। শুক্রবার দিনব্যাপী ১ কোটি ১২ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে তাদের বাক্সতে। শতকরা ১০ টাকা হারে তারা জেলেদের কাছ থেকে কমিশন নেন। তিনি আরও জানান, ঘাটকে ঘিরে অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘাটে ৫০০’র মতো কর্মী কাজ করছেন।
আড়তদার আজাদ বেপারী বলেন, ‘আলেকজান্ডার মাছঘাটটি সড়কের খুব কাছে হওয়ায় এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসতে পারেন। এছাড়া অনেকে খাওয়ার জন্যেও এ ঘাট থেকে মাছ কিনে নিয়ে যান। ফলে ঘাটটি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমজমাট থাকে।’ আলেকজান্ডার ঘাটের সভাপতি শামছু হাওলাদার বলেন, আলেকজান্ডার মাছঘাটি উপজেলার মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী ঘাট ছিল। কিন্তু মেঘনা নদীতে ইলিশ না থাকায় এখানে মাছের পরিমাণ কিছুটা কমে গেছে। বেশিভাগ মাছই সাগরের। নদীতে মাছ পাওয়া গেলে ঘাটটি আরও জমজমাট হয়ে উঠবে।’