ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

ইরানে অস্থিরতায় যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি

  • আপডেট সময় : ০২:৩৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

রয়টার্স : ইরানে পুলিশি হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে অস্থিতিশীল করা এবং সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্নের চেষ্টা করছে বলে তেহরান দোষারোপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রকে এর জবাব দেওয়া হবে বলে গতকাল সোমবার হুঁশিয়ার করেছে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। ইরানের ‘নীতি পুলিশের’ হেফাজতে ২২ বছরের তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহ থেকে দেশজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। গত সপ্তাহে ইরানের কুর্দিস্তান থেকে রাজধানী তেহরানে আসা ২২ বছর বয়সী নারী মাশা আমিনিকে হিজাব আইন লংঘনের দায়ে গ্রেপ্তার করেছিল নগরীর নীতি পুলিশ। গত শুক্রবার তাদের হেফাজতে মাশার মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার আগে ওই তরুণী তিনদিন কোমায় ছিলেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরানে ২০১৯ সালের পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।পুলিশি হেফাজতে আমিনির মৃত্যুর ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিন্দিত হয়েছে। ইরান বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দাঙ্গাকারীদেরকে সমর্থন দিচ্ছে এবং ইরানকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। নূর নিউজে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ওয়াশিংটন সবসময়ই ইরানের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তাকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যদিও তারা কখনও এতে সফল হয়নি।” কানানি তার ইন্সটাগ্রাম পাতায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, তারা দাঙ্গাকারীদেরকে সমর্থন দিয়ে মর্মান্তিক একটি ঘটনার অপব্যবহার করছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি শনিবার দেশে অস্থিরতা উস্কে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রকরীদের দায়ী করেছেন। কিন্তু এবার মানুষ নিষ্ঠুর শাসকদের কোনওরকম ভয় না পেয়ে রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছে এবং বিক্ষোভ থামার কোনও লক্ষণ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। বহু বিক্ষোভকারী এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। বিক্ষোভে মৃতের সংখ্যা ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে গেছে ৩১ টিরও বেশি প্রদেশজুড়ে। কয়েকটি নগরীতে সংঘর্ষ চলছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই বিক্ষোভ দমনে আরও কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি। তিনি বিক্ষোভকারীদের দাঙ্গা সৃষ্টিকারী আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন, দেশের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে যারা কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানে অস্থিরতায় যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় : ০২:৩৫:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

রয়টার্স : ইরানে পুলিশি হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে অস্থিতিশীল করা এবং সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্নের চেষ্টা করছে বলে তেহরান দোষারোপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রকে এর জবাব দেওয়া হবে বলে গতকাল সোমবার হুঁশিয়ার করেছে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। ইরানের ‘নীতি পুলিশের’ হেফাজতে ২২ বছরের তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহ থেকে দেশজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। গত সপ্তাহে ইরানের কুর্দিস্তান থেকে রাজধানী তেহরানে আসা ২২ বছর বয়সী নারী মাশা আমিনিকে হিজাব আইন লংঘনের দায়ে গ্রেপ্তার করেছিল নগরীর নীতি পুলিশ। গত শুক্রবার তাদের হেফাজতে মাশার মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার আগে ওই তরুণী তিনদিন কোমায় ছিলেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরানে ২০১৯ সালের পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।পুলিশি হেফাজতে আমিনির মৃত্যুর ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিন্দিত হয়েছে। ইরান বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দাঙ্গাকারীদেরকে সমর্থন দিচ্ছে এবং ইরানকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। নূর নিউজে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ওয়াশিংটন সবসময়ই ইরানের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তাকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যদিও তারা কখনও এতে সফল হয়নি।” কানানি তার ইন্সটাগ্রাম পাতায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, তারা দাঙ্গাকারীদেরকে সমর্থন দিয়ে মর্মান্তিক একটি ঘটনার অপব্যবহার করছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি শনিবার দেশে অস্থিরতা উস্কে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রকরীদের দায়ী করেছেন। কিন্তু এবার মানুষ নিষ্ঠুর শাসকদের কোনওরকম ভয় না পেয়ে রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছে এবং বিক্ষোভ থামার কোনও লক্ষণ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। বহু বিক্ষোভকারী এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। বিক্ষোভে মৃতের সংখ্যা ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে গেছে ৩১ টিরও বেশি প্রদেশজুড়ে। কয়েকটি নগরীতে সংঘর্ষ চলছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই বিক্ষোভ দমনে আরও কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি। তিনি বিক্ষোভকারীদের দাঙ্গা সৃষ্টিকারী আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন, দেশের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে যারা কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।