আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দাবি, কিয়েভে সংঘটিত একাধিক বিস্ফোরণে এবং দেশের সাধারণ জনগণকে লক্ষ্য করে প্রায় ৪০০টি ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এর আগে ১৭ অক্টোবর রাশিয়া ৪৩টি ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনের উপর নৃশংস হামলা চালিয়েছিল। পরে, মস্কোর বাহিনী সেদিন কিয়েভে আক্রমণ করার জন্য ২৮টি ড্রোন ব্যবহার করেছিল, এতে পাঁচজন নিহত হয়। তেহরান এবং মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইরান রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করার কথা অস্বীকার করে চলেছে। বিশ্বজুড়ে এই পদক্ষেপের ব্যাপক নিন্দা হয়েছে। ইউক্রেনের রাজধানী শহর কিয়েভ এর আগে ১৭ অক্টোবর ‘কামিকাজে’ ড্রোনের একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল। এই হামলার সময় বেশ কয়েকটি সাধারণ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর পরে কিয়েভ দাবি করেছিল যে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের প্রধান শহরগুলোর বিরুদ্ধে হামলায় মস্কো ইরানের সরবরাহ করা ড্রোন ব্যবহার করেছে। নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের সহায়তা বাড়ানোর জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে অনুরোধ করেছে কিয়েভ। সম্প্রতি ক্রিমিয়ার রোড ব্রিজে একটি ট্রাক বিস্ফোরণ হওয়ার পরে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ আরও বেড়েছে। এই ঘটনার ফলে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের দিকে যাওয়া একটি ট্রেনের সাতটি জ্বালানি ট্যাঙ্কে আগুন লেগে যায়। বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হন। এই ঘটনার ফলে সেতুর দুটি স্প্যান আংশিকভাবে ভেঙে পড়ে। ক্রিমিয়ার ব্রিজটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ২০১৮ সালে উদ্বোধন করেন। মস্কো ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করার চার বছর পরে এই উপদ্বীপটিকে রাশিয়ার পরিবহন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল এই ব্রিজ। ১৯ কিলোমিটার লম্বা এই সেতু, যা কের্চ স্ট্রেইটজুড়ে তৈরি এবং রাশিয়ার মূল ভূখ-ের সঙ্গে ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করে। এতে একটি রেলপথ এবং যানবাহন চলার পথ রয়েছে। এটি ২০২০ সালে সম্পূর্ণরূপে চালু করা হয়। সূত্র: ইউক্রেইন্সকা প্রাভদা, এমএসএন