ঢাকা ০৮:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

ইরানের সঙ্গে চুক্তির আলোচনা থেকে আরও দূরে সরল আমেরিকা

  • আপডেট সময় : ১০:৫৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও রাশিয়াকে নিয়ে গঠিত পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের যে আলোচনা চলছিল তা থেকে আরও দূরে সরল আমেরিকা। রাশিয়ার ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য চালাতে নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ার গ্যারান্টি চাওয়ার অভিযোগে গত মাসে ওই আলোচনা স্থগিত করার পর আমেরিকার নতুন সুর এখন। দেশটি বলছে, শিগগিরই কোনো চুক্তি হচ্ছে না। এ নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ মুখপাত্র জেলিনা পোর্টার গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ভিয়েনা আলোচনায় ইরানের সঙ্গে চুক্তি যেমন নিশ্চিত নয় তেমনি তা অত্যাসন্নও নয়।
ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও রাশিয়াকে নিয়ে গঠিত পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় গত বছরের এপ্রিল থেকে ইরানের আলোচনা চলছে। আমেরিকা এ আলোচনায় পরোক্ষভাবে অংশ নিচ্ছে।
কিন্তু আলোচনার মধ্যস্থতাকারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল গত ১১ মার্চ ভিয়েনা সংলাপ স্থগিত ঘোষণা করেন। এরপর আলোচনায় জড়িত দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে মতপার্থক্য আরো কমে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হয়।
কিন্তু আমেরিকার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কঠিন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হওয়ার কারণে ভিয়েনা সংলাপের আর কোনো তারিখ ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি।বিশেষ করে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র নাম আমেরিকার কথিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তালিকা থেকে বাদ দিতে ওয়াশিংটন গড়িমসি করছে।
মার্কিন মুখপাত্র পোর্টার আরো বলেন, আমেরিকার সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিলি আইআরজিসি’র নাম ‘সন্ত্রাসী সংস্থাগুলোর’ তালিকা থেকে বাদ দেয়ার বিরোধিতা করে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তা সমর্থন করেছেন। পোর্টার জানান, প্রেসিডেন্ট বাইডেনও মনে করেন আইআরজিসি সন্ত্রাসী সংস্থা। বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের সমর্থনপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে আইআরজিসি। বিষয়টিকে কোনোমতেই সহজভাবে নিতে পারেনি আমেরিকা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানের সঙ্গে চুক্তির আলোচনা থেকে আরও দূরে সরল আমেরিকা

আপডেট সময় : ১০:৫৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও রাশিয়াকে নিয়ে গঠিত পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের যে আলোচনা চলছিল তা থেকে আরও দূরে সরল আমেরিকা। রাশিয়ার ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য চালাতে নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ার গ্যারান্টি চাওয়ার অভিযোগে গত মাসে ওই আলোচনা স্থগিত করার পর আমেরিকার নতুন সুর এখন। দেশটি বলছে, শিগগিরই কোনো চুক্তি হচ্ছে না। এ নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ মুখপাত্র জেলিনা পোর্টার গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ভিয়েনা আলোচনায় ইরানের সঙ্গে চুক্তি যেমন নিশ্চিত নয় তেমনি তা অত্যাসন্নও নয়।
ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন ও রাশিয়াকে নিয়ে গঠিত পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় গত বছরের এপ্রিল থেকে ইরানের আলোচনা চলছে। আমেরিকা এ আলোচনায় পরোক্ষভাবে অংশ নিচ্ছে।
কিন্তু আলোচনার মধ্যস্থতাকারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল গত ১১ মার্চ ভিয়েনা সংলাপ স্থগিত ঘোষণা করেন। এরপর আলোচনায় জড়িত দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে মতপার্থক্য আরো কমে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হয়।
কিন্তু আমেরিকার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কঠিন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হওয়ার কারণে ভিয়েনা সংলাপের আর কোনো তারিখ ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি।বিশেষ করে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র নাম আমেরিকার কথিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তালিকা থেকে বাদ দিতে ওয়াশিংটন গড়িমসি করছে।
মার্কিন মুখপাত্র পোর্টার আরো বলেন, আমেরিকার সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিলি আইআরজিসি’র নাম ‘সন্ত্রাসী সংস্থাগুলোর’ তালিকা থেকে বাদ দেয়ার বিরোধিতা করে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তা সমর্থন করেছেন। পোর্টার জানান, প্রেসিডেন্ট বাইডেনও মনে করেন আইআরজিসি সন্ত্রাসী সংস্থা। বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের সমর্থনপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে আইআরজিসি। বিষয়টিকে কোনোমতেই সহজভাবে নিতে পারেনি আমেরিকা।