প্রত্যাশা ডেস্ক: ইরানের বিরুদ্ধে ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের ঐতিহাসিক বিজয় অর্জিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, আজ আমরা এক ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছি। ইরানকে কখনও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিতে ব্যাঘাত ঘটিয়েছি। ইরানের কেউ যদি ওই প্রকল্প পুনর্গঠনের চেষ্টা করে, তবে আমরা একই দৃঢ়তার সঙ্গে তা প্রতিহত করব।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান ইয়াল জামির দাবি করেন, ইসরায়েলের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বহু বছর পিছিয়ে গেছে এবং ইরানের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান নতুন এক পর্বে প্রবেশ করছে।
এদিকে মঙ্গলবার ইরান জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় বসার জন্য তৈরি হয়ে আছে। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেছেন, তার দেশ পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের অধিকার কখনও ত্যাগ করবে না।
মঙ্গলবার নেতানিয়াহুর ভাষণের আগে ভিন্ন এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সরকার দাবি করে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতার দ্বৈত হুমকিকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে তারা। ইরানের বিরুদ্ধে পরিচালিত অপারেশন রাইজিং লায়নের বিষয়ে নেতানিয়াহু বলেছেন, এটি বিশ্বব্যাপী সেনাবাহিনীরা বিশ্লেষণ করবে।
উল্লেখ্য, ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনার পাশাপাশি সংবাদমাধ্যম এবং কারাগারে বোমা হামলা, দেশটির সামরিক এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নেতৃবৃন্দকে হত্যার মাধ্যমে ওই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। রোববার আকস্মিকভাবে সংঘর্ষে যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, মার্কিন বোমা হামলায় ইরানের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, ইরানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। কেননা, তেহরান তাদের সমৃদ্ধকৃত ইউরেনিয়ামের বিশাল ভাণ্ডার অন্য কোনো স্থানে সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।