ঢাকা ১২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

ইরানের ড্রোনে ইউক্রেনে হামলা, নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন বলছে যুক্তরাষ্ট্র

  • আপডেট সময় : ১১:০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে সোমবার (১৭ অক্টোবর) বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার পুতিন সরকার। রাজধানী কিয়েভে ইরানের তৈরি কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের। পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে একমত পোষণ করে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়াকে ইরানের বিস্ফোরক ড্রোন সরবরাহ, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন। কিয়েভ ছাড়াও সোমবার দেশটির আরও দুটি অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এতে দেশটির শত শত গ্রাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফ্রান্স ও ব্রিটেনেরর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একমত যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ২২৩১, ড্রোন সরবরাহ করে লঙ্ঘন করেছে ইরান। ইরানের পারমাণবিক চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই রেজোলিউশনটি ইরানের কিছু সামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তর নিষিদ্ধ করে। ইউক্রেন ড্রোনগুলোকে চিহ্নিত করেছে। এগুলো মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি) -কে ইরানি শাহেদ-১৩৬ অস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মঘাতী অভিযান চালানো জাপানি যোদ্ধা পাইলটদের নামানুসারে এগুলোকে কামিকাজে ড্রোন বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন ‘এটি আমাদের ধারণা যে এই ইউএভিগুলো ইরান থেকে রাশিয়ায় স্থানান্তরিত হয়েছিল এবং রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যবহার করেছে সেগুলো। সেই অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে এসব যা ২২৩১ এর অধীনে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে’। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে ইরান। কিন্তু প্যাটেল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ করেছে যে, রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে ড্রোন পেয়েছে। এটি রাশিয়ার বিভিন্ন ধরনের শত শত ইরানি ইউএভি আমদানির পরিকল্পনার অংশ ছিল। তিনি আরও যোগ করেন যে ইউক্রেনে রাশিয়া ইরানের ড্রোন ব্যবহারের ‘বিস্তৃত প্রমাণ’ রয়েছে। কিয়েভ সরকার বলছে যে, সোমবার রাজধানী কিয়েভ, দিনিপ্রো এবং সুমি অঞ্চলে এসব ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। এরপর থেকে বহু এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন এসব হামলায়। এর মধ্যে চারজন কিয়েভে ও বাকী চারজন সুমিতে নিহত হয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে যে ‘যুদ্ধাপরাধের’ জন্য রাশিয়াকে জবাবদিহির আওতায় আসতে হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রায় আট মাস। এখনও দু’পক্ষের তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, দফায় দফায় ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। রণক্ষেত্রে সহজে কেউ পরাজয় মানতে নারাজ। সূত্র: বিবিসি

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানের ড্রোনে ইউক্রেনে হামলা, নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন বলছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ১১:০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে সোমবার (১৭ অক্টোবর) বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার পুতিন সরকার। রাজধানী কিয়েভে ইরানের তৈরি কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের। পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে একমত পোষণ করে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়াকে ইরানের বিস্ফোরক ড্রোন সরবরাহ, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন। কিয়েভ ছাড়াও সোমবার দেশটির আরও দুটি অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এতে দেশটির শত শত গ্রাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফ্রান্স ও ব্রিটেনেরর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একমত যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ২২৩১, ড্রোন সরবরাহ করে লঙ্ঘন করেছে ইরান। ইরানের পারমাণবিক চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই রেজোলিউশনটি ইরানের কিছু সামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তর নিষিদ্ধ করে। ইউক্রেন ড্রোনগুলোকে চিহ্নিত করেছে। এগুলো মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি) -কে ইরানি শাহেদ-১৩৬ অস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মঘাতী অভিযান চালানো জাপানি যোদ্ধা পাইলটদের নামানুসারে এগুলোকে কামিকাজে ড্রোন বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন ‘এটি আমাদের ধারণা যে এই ইউএভিগুলো ইরান থেকে রাশিয়ায় স্থানান্তরিত হয়েছিল এবং রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যবহার করেছে সেগুলো। সেই অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে এসব যা ২২৩১ এর অধীনে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে’। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে ইরান। কিন্তু প্যাটেল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ করেছে যে, রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে ড্রোন পেয়েছে। এটি রাশিয়ার বিভিন্ন ধরনের শত শত ইরানি ইউএভি আমদানির পরিকল্পনার অংশ ছিল। তিনি আরও যোগ করেন যে ইউক্রেনে রাশিয়া ইরানের ড্রোন ব্যবহারের ‘বিস্তৃত প্রমাণ’ রয়েছে। কিয়েভ সরকার বলছে যে, সোমবার রাজধানী কিয়েভ, দিনিপ্রো এবং সুমি অঞ্চলে এসব ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। এরপর থেকে বহু এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন এসব হামলায়। এর মধ্যে চারজন কিয়েভে ও বাকী চারজন সুমিতে নিহত হয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে যে ‘যুদ্ধাপরাধের’ জন্য রাশিয়াকে জবাবদিহির আওতায় আসতে হবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রায় আট মাস। এখনও দু’পক্ষের তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, দফায় দফায় ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। রণক্ষেত্রে সহজে কেউ পরাজয় মানতে নারাজ। সূত্র: বিবিসি