ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

ইরাক, সিরিয়ায় মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে মার্কিন বিমান হামলা

  • আপডেট সময় : ১২:১০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের ওপর আরেক পর্ব বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে।
এই পর্বে ইরাকে মার্কিন সেনা ও স্থাপনার ওপর মিলিশিয়াদের ড্রোন হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে বলে গত রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
তারা সিরিয়ার দুটি এলাকায় ও ইরাকের একটি এলাকায় মিলিশিয়াদের দপ্তর ও অস্ত্র গুদামে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে।
এসব হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা প্রকাশ না করলেও হামলার সফলতা মূল্যায়ন করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশনা অনুযায়ীই এসব হামলা চালানো হয়। পাঁচ মাস আগে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর নির্দেশ দিলেন তিনি।
এর আগে ইরাকে মার্কিন অবস্থানে রকেট হামলার জবাবে ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ায় সীমিত পর্যায়ে বিমান হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন বাইডেন।
“সন্ধ্যারাতে চালানো এসব হামলার মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন পরিষ্কার করেছেন যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেবেন,” এক বিবৃতিতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (পেন্টাগন) ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার মধ্যেই এসব হামলা চালানো হল। এর মাধ্যমে এমন ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, বাইডেন মার্কিন সেনাদের সুরক্ষার জন্য আত্মরক্ষামূলক হামলা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রয়াসও চালিয়ে যেতে চান।
বাইডেনের সমালোচকরা বলছেন, ইরানকে বিশ্বাস করা যায় না এবং ইরান ও তার ছায়া বাহিনীগুলো কখনোই ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি মেনে নেবে না, ড্রোন হামলাগুলো তার প্রমাণ বলে উল্লেখ করে আসছেন তারা।
বাইডেন ও হোয়াইট হাউস রোববারের এই হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ইরাকে মার্কিন সেনা ও স্থাপনাগুলোর ওপর পর্যায়ক্রমিক রকেট হামলা ও ক্রমবর্ধমান ড্রোন হামলার পেছনে ইরানের ইন্ধন আছে বলে বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের।
পরিচয় না প্রকাশ করার শর্তে দুই মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, এপ্রিল থেকে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র ও জোট বাহিনীর সেনাদের ব্যবহৃত স্থাপনাগুলোর ওপর অন্তত পাঁচটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা।
পেন্টাগন জানিয়েছে, যেসব স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে সেগুলো কাতায়িব হেজবুল্লাহ ও কাতায়িব সায়িদ আল শুহাদাসহ ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা ব্যবহার করে।
যেসব স্থাপনাকে লক্ষ্যস্থল করা হয়েছে সেগুলোর একটি ড্রোন উড্ডয়নে ও সেগুলো ফিরিয়ে আনার কাজে ব্যবহৃত হতো বলে এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এসব হামলায় যুক্তরাষ্ট্র এফ-১৫ ও এফ-১৬ জঙ্গি বিমান ব্যবহার করেছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অভিযান শেষে পাইলটরা নিরাপদে ফিরে এসেছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।
আদর্শিকভাবে ইরানের মিত্র ইরাকি মিলিশিয়া বাহিনীগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে বাগদাদ সরকার। এসব মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে ইরাকে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর ওপর রকেট ছোড়া ও দেশটির গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।
সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে মে-তে ইরানের মিত্র মিলিশিয়া কমান্ডার কাসিম মুসলিহকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরাকি কর্তৃপক্ষ, কিন্তু অভিযোগের স্বপক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় জুনের প্রথমদিকে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইরাক, সিরিয়ায় মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে মার্কিন বিমান হামলা

আপডেট সময় : ১২:১০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের ওপর আরেক পর্ব বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে।
এই পর্বে ইরাকে মার্কিন সেনা ও স্থাপনার ওপর মিলিশিয়াদের ড্রোন হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে বলে গত রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
তারা সিরিয়ার দুটি এলাকায় ও ইরাকের একটি এলাকায় মিলিশিয়াদের দপ্তর ও অস্ত্র গুদামে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে।
এসব হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা প্রকাশ না করলেও হামলার সফলতা মূল্যায়ন করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশনা অনুযায়ীই এসব হামলা চালানো হয়। পাঁচ মাস আগে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর নির্দেশ দিলেন তিনি।
এর আগে ইরাকে মার্কিন অবস্থানে রকেট হামলার জবাবে ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ায় সীমিত পর্যায়ে বিমান হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন বাইডেন।
“সন্ধ্যারাতে চালানো এসব হামলার মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন পরিষ্কার করেছেন যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেবেন,” এক বিবৃতিতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (পেন্টাগন) ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার মধ্যেই এসব হামলা চালানো হল। এর মাধ্যমে এমন ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, বাইডেন মার্কিন সেনাদের সুরক্ষার জন্য আত্মরক্ষামূলক হামলা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রয়াসও চালিয়ে যেতে চান।
বাইডেনের সমালোচকরা বলছেন, ইরানকে বিশ্বাস করা যায় না এবং ইরান ও তার ছায়া বাহিনীগুলো কখনোই ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি মেনে নেবে না, ড্রোন হামলাগুলো তার প্রমাণ বলে উল্লেখ করে আসছেন তারা।
বাইডেন ও হোয়াইট হাউস রোববারের এই হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ইরাকে মার্কিন সেনা ও স্থাপনাগুলোর ওপর পর্যায়ক্রমিক রকেট হামলা ও ক্রমবর্ধমান ড্রোন হামলার পেছনে ইরানের ইন্ধন আছে বলে বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের।
পরিচয় না প্রকাশ করার শর্তে দুই মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, এপ্রিল থেকে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র ও জোট বাহিনীর সেনাদের ব্যবহৃত স্থাপনাগুলোর ওপর অন্তত পাঁচটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা।
পেন্টাগন জানিয়েছে, যেসব স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে সেগুলো কাতায়িব হেজবুল্লাহ ও কাতায়িব সায়িদ আল শুহাদাসহ ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা ব্যবহার করে।
যেসব স্থাপনাকে লক্ষ্যস্থল করা হয়েছে সেগুলোর একটি ড্রোন উড্ডয়নে ও সেগুলো ফিরিয়ে আনার কাজে ব্যবহৃত হতো বলে এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এসব হামলায় যুক্তরাষ্ট্র এফ-১৫ ও এফ-১৬ জঙ্গি বিমান ব্যবহার করেছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অভিযান শেষে পাইলটরা নিরাপদে ফিরে এসেছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।
আদর্শিকভাবে ইরানের মিত্র ইরাকি মিলিশিয়া বাহিনীগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে বাগদাদ সরকার। এসব মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে ইরাকে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর ওপর রকেট ছোড়া ও দেশটির গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।
সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে মে-তে ইরানের মিত্র মিলিশিয়া কমান্ডার কাসিম মুসলিহকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরাকি কর্তৃপক্ষ, কিন্তু অভিযোগের স্বপক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় জুনের প্রথমদিকে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তারা।