ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

ইরাক যুদ্ধ নিয়ে সাফাই গাইলেন টনি ব্লেয়ার

  • আপডেট সময় : ০১:২৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩
  • ১২৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ইরাক যুদ্ধের পক্ষে সাফাই গাইলেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। তিনি দাবি করেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযানের তুলনায় ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন হামলা অনেক বেশি যৌক্তিক ছিল। ব্লেয়ারের এমন সাফাই অবশ্য নতুন নয়। আগেও তিনি যুদ্ধের পক্ষে এ রকম সাফাই গেয়েছেন। পরে সবই ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
জার্মানির ডিপিএ ও ইউরোপীয় দুটি সংবাদ সংস্থাকে ব্লেয়ার বলেন, ইরাকে অভিযানে ৪৬ হাজার ব্রিটিশ সেনা অংশ নিয়েছেন। এই যুদ্ধের প্রয়োজন ছিল। কারণ, ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন দেশটিতে দমন–পীড়ন চালাচ্ছিলেন। আঞ্চলিক সংঘাতকে উসকে দিচ্ছিলেন। কুর্দিদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছিলেন।
ব্লেয়ার এই যুদ্ধের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘আপনি বলতে পারেন আমরা একজন স্বৈরশাসককে উৎখাত করেছি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করেছি।’
ইরাক বডি কাউন্ট প্রজেক্ট বলেছে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইরাকে ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ২০১১ সালে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে ইরাক অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। দেশটিতে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ইরাকের উত্তরাঞ্চল জঙ্গি দল আইএসের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
৯/১১-এর হামলার সঙ্গে সাদ্দাম হোসেনের যোগসাজশ ছিল না। তবে যুদ্ধের পক্ষে সাফাই হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দাবি করে, সাদ্দাম গণবিধ্বংসী অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছেন। পরে অবশ্য তাদের দাবি ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। হামলার আগে ব্লেয়ার বারবারই বলেছিলেন, ইরাকের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। দেশটি পরমাণু অস্ত্র তৈরির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এসব যুক্তি দেওয়ার পর ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযানের প্রসঙ্গ তুলে ব্লেয়ার বলেন, ‘ইউক্রেন এমন একটি দেশ যেখানে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রয়েছেন। আমার জানামতে ইউক্রেনে কখনো আঞ্চলিক সংঘাত হয়নি। দেশটি প্রতিবেশী দেশের ওপর হামলাও চালায়নি।’
ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তাঁর উত্তরসূরি পিয়োতর পরোশেঙ্কো এরপর দনবাসে রাশিয়া সমর্থিতদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু করেন। রুশ তদন্তকারীরা বলছেন, এতে ২ হাজার ৬০০–এর বেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলছেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে এই সহিংস ঘটনার ভূমিকা ছিল। গত মাসে রাশিয়ার পার্লামেন্টে পুতিন বলেন, ‘হুমকি দিন দিন বাড়ছিল। আমরা যেসব তথ্য পাচ্ছিলাম তাতে এটা সন্দেহাতীত ছিল যে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দনবাসে আরেকটি রক্তাক্ত ঘটনা ঘটানো হবে।’
দনবাসের হুমকি ছাড়াও ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পেছনে আরও একটি কারণের কথা বলছেন পুতিন। আর সেটি হলো, ইউক্রেনে ন্যাটোর অব্যাহতভাবে অস্ত্রের জোগান। ইউক্রেনকে ন্যাটো রাশিয়াবিরোধী রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছে। রাশিয়ার সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা চুক্তি এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। ইউক্রেনে নব্য নাৎসি মতবাদও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

কম শিশুর জন্ম হয়েছে। অথচ ৭০-এর দশকেও দেশটিতে বছরে ২০ লাখের বেশি শিশুর জন্ম হতো। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সম্প্রতি বলেন, ‘এখনই ব্যবস্থা না নিলে জাপানের সমাজব্যবস্থা অচল হয়ে পড়বে।’
ফুমিও কিশিদা জাপানে নতুন বছরে শুরুতে তাঁর সরকারের নীতি নিয়ে বক্তব্য দেন। তাতে তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতি সামাজিক ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখতে পারে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। শিশুর জন্ম ও পালনসংক্রান্ত নীতি এখনই নিতে হবে। এটি এমন একটি বিষয়, যার জন্য আর অপেক্ষা করা যায় না।’ কয়েক বছর ধরেই জন্মহার বাড়াতে জনগণকে নানা উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে জাপান সরকার। বেশি সন্তান নিয়ে নগদ অর্থসহ নানা সুবিধার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তবে সমীক্ষা অনুযায়ী, শিশু লালন–পালনের ক্ষেত্রে বিশ্বে সবচেয়ে ব্যয়বহুল দেশগুলোর একটি জাপান। এ কারণে অনেকে সন্তান নিতে চান না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আনিস আলমগীরকে গ্রেফতার স্বৈরাচারী আমলে সাংবাদিক দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়

ইরাক যুদ্ধ নিয়ে সাফাই গাইলেন টনি ব্লেয়ার

আপডেট সময় : ০১:২৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : ইরাক যুদ্ধের পক্ষে সাফাই গাইলেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। তিনি দাবি করেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযানের তুলনায় ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন হামলা অনেক বেশি যৌক্তিক ছিল। ব্লেয়ারের এমন সাফাই অবশ্য নতুন নয়। আগেও তিনি যুদ্ধের পক্ষে এ রকম সাফাই গেয়েছেন। পরে সবই ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
জার্মানির ডিপিএ ও ইউরোপীয় দুটি সংবাদ সংস্থাকে ব্লেয়ার বলেন, ইরাকে অভিযানে ৪৬ হাজার ব্রিটিশ সেনা অংশ নিয়েছেন। এই যুদ্ধের প্রয়োজন ছিল। কারণ, ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন দেশটিতে দমন–পীড়ন চালাচ্ছিলেন। আঞ্চলিক সংঘাতকে উসকে দিচ্ছিলেন। কুর্দিদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছিলেন।
ব্লেয়ার এই যুদ্ধের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘আপনি বলতে পারেন আমরা একজন স্বৈরশাসককে উৎখাত করেছি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করেছি।’
ইরাক বডি কাউন্ট প্রজেক্ট বলেছে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইরাকে ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ২০১১ সালে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে ইরাক অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। দেশটিতে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ইরাকের উত্তরাঞ্চল জঙ্গি দল আইএসের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
৯/১১-এর হামলার সঙ্গে সাদ্দাম হোসেনের যোগসাজশ ছিল না। তবে যুদ্ধের পক্ষে সাফাই হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দাবি করে, সাদ্দাম গণবিধ্বংসী অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছেন। পরে অবশ্য তাদের দাবি ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। হামলার আগে ব্লেয়ার বারবারই বলেছিলেন, ইরাকের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। দেশটি পরমাণু অস্ত্র তৈরির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এসব যুক্তি দেওয়ার পর ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযানের প্রসঙ্গ তুলে ব্লেয়ার বলেন, ‘ইউক্রেন এমন একটি দেশ যেখানে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রয়েছেন। আমার জানামতে ইউক্রেনে কখনো আঞ্চলিক সংঘাত হয়নি। দেশটি প্রতিবেশী দেশের ওপর হামলাও চালায়নি।’
ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তাঁর উত্তরসূরি পিয়োতর পরোশেঙ্কো এরপর দনবাসে রাশিয়া সমর্থিতদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু করেন। রুশ তদন্তকারীরা বলছেন, এতে ২ হাজার ৬০০–এর বেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলছেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে এই সহিংস ঘটনার ভূমিকা ছিল। গত মাসে রাশিয়ার পার্লামেন্টে পুতিন বলেন, ‘হুমকি দিন দিন বাড়ছিল। আমরা যেসব তথ্য পাচ্ছিলাম তাতে এটা সন্দেহাতীত ছিল যে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দনবাসে আরেকটি রক্তাক্ত ঘটনা ঘটানো হবে।’
দনবাসের হুমকি ছাড়াও ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পেছনে আরও একটি কারণের কথা বলছেন পুতিন। আর সেটি হলো, ইউক্রেনে ন্যাটোর অব্যাহতভাবে অস্ত্রের জোগান। ইউক্রেনকে ন্যাটো রাশিয়াবিরোধী রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছে। রাশিয়ার সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা চুক্তি এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। ইউক্রেনে নব্য নাৎসি মতবাদও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

কম শিশুর জন্ম হয়েছে। অথচ ৭০-এর দশকেও দেশটিতে বছরে ২০ লাখের বেশি শিশুর জন্ম হতো। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সম্প্রতি বলেন, ‘এখনই ব্যবস্থা না নিলে জাপানের সমাজব্যবস্থা অচল হয়ে পড়বে।’
ফুমিও কিশিদা জাপানে নতুন বছরে শুরুতে তাঁর সরকারের নীতি নিয়ে বক্তব্য দেন। তাতে তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতি সামাজিক ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখতে পারে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। শিশুর জন্ম ও পালনসংক্রান্ত নীতি এখনই নিতে হবে। এটি এমন একটি বিষয়, যার জন্য আর অপেক্ষা করা যায় না।’ কয়েক বছর ধরেই জন্মহার বাড়াতে জনগণকে নানা উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে জাপান সরকার। বেশি সন্তান নিয়ে নগদ অর্থসহ নানা সুবিধার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তবে সমীক্ষা অনুযায়ী, শিশু লালন–পালনের ক্ষেত্রে বিশ্বে সবচেয়ে ব্যয়বহুল দেশগুলোর একটি জাপান। এ কারণে অনেকে সন্তান নিতে চান না।