ঢাকা ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

ইরাকের কুর্দিতে এক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

  • আপডেট সময় : ১২:০৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাকের বাইরে থেকে উৎক্ষেপিত এক ডজন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির উত্তর কুর্দি আঞ্চলিক রাজধানী ইরবিলে আঘাত করেছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন কুর্দি কর্মকর্তারা।
এরবিলের গভর্নর ওমেদ খোশনাও এর আগে এরবিলভিত্তিক সম্প্রচারকারী রুদাকে বলেছিলেন, মার্কিন কনস্যুলেটের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
গতকাল রোববার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র এটিকে ‘ভয়াবহ হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন হামলায় কোনো আমেরিকান আহত হয়নি এবং এরবিলে মার্কিন সরকারি স্থাপনাগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি।
ইরাকের রাষ্ট্রীয় টিভি আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলের সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনীকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ইরাকের বাইরে থেকে উৎক্ষেপণ করা ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র ইরবিলে আঘাত হেনেছে। তারা কোথায় অবতরণ করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার জানা যায়নি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির একজন সংবাদদাতা জানান, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ‘গোপন ইসরায়েলি ঘাঁটি’ লক্ষ্য করেছিল। তবে এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত তথ্য দেননি। উত্তর ইরাকের কুর্দি আঞ্চলিক সরকারের (কেআরজি) প্রধানমন্ত্রী মাসরুর বারজানি হামলার নিন্দা জানিয়ে অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টের পোস্টে বলেন, এরবিল কাপুরুষদের কাছে মাথা নত করবে না। আমি এরবিলের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। ইরবিলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কমপ্লেক্সে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনী অতীতে রকেট এবং ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা এর জন্য ইরান-সংযুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করে। কিন্তু কয়েক মাস ধরে এই ধরনের কোনো আক্রমণ ঘটেনি। শেষবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মার্কিন বাহিনীর দিকে পরিচালিত হয়েছিল ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। বাগদাদ বিমানবন্দরে সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে সেই মাসের শুরুতে মার্কিন হত্যার জন্য ইরানের প্রতিশোধ হিসেবে মনে করা হয়। ২০২০ সালের হামলায় কোনো মার্কিন কর্মী নিহত হয়নি তবে অনেকের মাথায় আঘাত লেগেছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ব্যাপারে নিশ্চিত করতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত এই ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র ইরান থেকে নিক্ষেপ করার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ নেই। তবে আমরা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যা শুনছি তা হলো এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোথা থেকে এসেছে এবং এর উদ্দেশ্য কী ছিল তা খুঁজে বের করার জন্য তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বিশ্বের সাথে ইরানের সম্পর্কের ‘সমালোচনামূলক মোড়কে’ এসেছে, যেখানে ভিয়েনা ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরাকের কুর্দিতে এক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

আপডেট সময় : ১২:০৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরাকের বাইরে থেকে উৎক্ষেপিত এক ডজন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির উত্তর কুর্দি আঞ্চলিক রাজধানী ইরবিলে আঘাত করেছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন কুর্দি কর্মকর্তারা।
এরবিলের গভর্নর ওমেদ খোশনাও এর আগে এরবিলভিত্তিক সম্প্রচারকারী রুদাকে বলেছিলেন, মার্কিন কনস্যুলেটের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
গতকাল রোববার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র এটিকে ‘ভয়াবহ হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন হামলায় কোনো আমেরিকান আহত হয়নি এবং এরবিলে মার্কিন সরকারি স্থাপনাগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি।
ইরাকের রাষ্ট্রীয় টিভি আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলের সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনীকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ইরাকের বাইরে থেকে উৎক্ষেপণ করা ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র ইরবিলে আঘাত হেনেছে। তারা কোথায় অবতরণ করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার জানা যায়নি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির একজন সংবাদদাতা জানান, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ‘গোপন ইসরায়েলি ঘাঁটি’ লক্ষ্য করেছিল। তবে এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত তথ্য দেননি। উত্তর ইরাকের কুর্দি আঞ্চলিক সরকারের (কেআরজি) প্রধানমন্ত্রী মাসরুর বারজানি হামলার নিন্দা জানিয়ে অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টের পোস্টে বলেন, এরবিল কাপুরুষদের কাছে মাথা নত করবে না। আমি এরবিলের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। ইরবিলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কমপ্লেক্সে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনী অতীতে রকেট এবং ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা এর জন্য ইরান-সংযুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করে। কিন্তু কয়েক মাস ধরে এই ধরনের কোনো আক্রমণ ঘটেনি। শেষবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মার্কিন বাহিনীর দিকে পরিচালিত হয়েছিল ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। বাগদাদ বিমানবন্দরে সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে সেই মাসের শুরুতে মার্কিন হত্যার জন্য ইরানের প্রতিশোধ হিসেবে মনে করা হয়। ২০২০ সালের হামলায় কোনো মার্কিন কর্মী নিহত হয়নি তবে অনেকের মাথায় আঘাত লেগেছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ব্যাপারে নিশ্চিত করতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত এই ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র ইরান থেকে নিক্ষেপ করার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ নেই। তবে আমরা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যা শুনছি তা হলো এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোথা থেকে এসেছে এবং এর উদ্দেশ্য কী ছিল তা খুঁজে বের করার জন্য তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বিশ্বের সাথে ইরানের সম্পর্কের ‘সমালোচনামূলক মোড়কে’ এসেছে, যেখানে ভিয়েনা ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে।