ঢাকা ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

ইভ্যালির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্টের গঠিত কমিটি

  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে হাইকোর্টের গঠন করা কমিটি ইভ্যালির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এমনটিই জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সমন্বয়ক এএইচএম সফিকুজ্জামান। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ১৫ সদস্যের ওই কমিটির তৃতীয় সভা হয়। সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। ইভ্যালির অনেক টাকা আটকে আছে, তাদের টাকা ফেরতের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইভ্যালির বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে তাদের জন্য কমিটি করে দেওয় হয়েছে। সাবেক বিচারপতি সামসুদ্দিন মানিক স্যারের নেতৃত্বে যে কমিটি ইভ্যালির বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। এখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। যেহেতু মহামান্য হাইকোর্ট একটা কমিটি করে দিয়েছে। দেশে ই-কমার্সের বিরুদ্ধে মোট কতোটি মামলা রয়েছে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই সচিব বলেন, রেগুলার মামলা চারটি হয়েছে। আর ১১টি আছে মানি লন্ডারিংয়ের। খুব সহজেই এগুলোর তদন্ত শেষ হবে। সব মিলিয়ে ১৫টি মামলা আছে। আমরা একদম নিষ্কন্ঠকভাবে কোনো মামলা নেই এমন কিছু টাকা গ্রাহককে দ্রুত ফিরিয়ে দিতে পারব।
তিনি জানান, টাকা ফেরতের বিষয়টি মূলত চার মন্ত্রীর বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত এসেছে। কিন্তু কেবিনেটের গঠিত কমিটি চলতি মাসে দ্বিতীয় বৈঠকে সিআইডি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে তথ্যগুলো নিয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য কাজ করছে তারা (সিআইডি)। কারণ এখানে লিগ্যাল পার্ট আছে। টাকাটা তো একটি কোর্টের মধ্যে আছে, সেগুলো বের করতে একটু সময় লাগবে। ৫১২ কোটি টাকার মধ্যে ২১৪ কোটি টাকা ৩০ জুনের পর ঢুকেছে। আর আগের টাকা মিলে ৫১২ কোটি টাকা আটকে আছে। আমি নাম বলতে চাই না একটি কোম্পানির বড় ধরনের টাকা ওখানে আটকে আছে। সেখানে লিগ্যাল ইস্যু আছে। গ্রাহকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, মানুষকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে। এই টাকাটা টোটালি আমাদের পেমেন্ট গেটওয়েতে আছে। সেটা কিন্তু আমাদের লিগ্যাল ইস্যুটার ক্লিয়ারেন্স পাওয়া গেলে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে বলবো। এটা কিন্তু সিআইডির আওতার মধ্যে না। কী পদ্ধতিতে গ্রাহক টাকা ফেরত পাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে সিস্টেমে গ্রাহক টাকাটা দিয়েছে, এই পেমেন্ট পদ্ধতিটা অনলাইনের মাধ্যমেই হয়। তাই তাকে অনলাইনেই ফেরত দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইনস্ট্রাকশন যাবে। যারা থার্ড পার্টি যেখানে টাকা জমা আছে সেখানে থেকে যারা পেমেন্ট করেছে তাদের কাছে অটোমেটিক পাঠিয়ে দিতে পারবে। এখানে লিগ্যাল ইস্যু আছে তাই আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য অপেক্ষা করছি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইভ্যালির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্টের গঠিত কমিটি

আপডেট সময় : ০১:৫৭:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে হাইকোর্টের গঠন করা কমিটি ইভ্যালির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এমনটিই জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সমন্বয়ক এএইচএম সফিকুজ্জামান। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ১৫ সদস্যের ওই কমিটির তৃতীয় সভা হয়। সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। ইভ্যালির অনেক টাকা আটকে আছে, তাদের টাকা ফেরতের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইভ্যালির বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে তাদের জন্য কমিটি করে দেওয় হয়েছে। সাবেক বিচারপতি সামসুদ্দিন মানিক স্যারের নেতৃত্বে যে কমিটি ইভ্যালির বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। এখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। যেহেতু মহামান্য হাইকোর্ট একটা কমিটি করে দিয়েছে। দেশে ই-কমার্সের বিরুদ্ধে মোট কতোটি মামলা রয়েছে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই সচিব বলেন, রেগুলার মামলা চারটি হয়েছে। আর ১১টি আছে মানি লন্ডারিংয়ের। খুব সহজেই এগুলোর তদন্ত শেষ হবে। সব মিলিয়ে ১৫টি মামলা আছে। আমরা একদম নিষ্কন্ঠকভাবে কোনো মামলা নেই এমন কিছু টাকা গ্রাহককে দ্রুত ফিরিয়ে দিতে পারব।
তিনি জানান, টাকা ফেরতের বিষয়টি মূলত চার মন্ত্রীর বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত এসেছে। কিন্তু কেবিনেটের গঠিত কমিটি চলতি মাসে দ্বিতীয় বৈঠকে সিআইডি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে তথ্যগুলো নিয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য কাজ করছে তারা (সিআইডি)। কারণ এখানে লিগ্যাল পার্ট আছে। টাকাটা তো একটি কোর্টের মধ্যে আছে, সেগুলো বের করতে একটু সময় লাগবে। ৫১২ কোটি টাকার মধ্যে ২১৪ কোটি টাকা ৩০ জুনের পর ঢুকেছে। আর আগের টাকা মিলে ৫১২ কোটি টাকা আটকে আছে। আমি নাম বলতে চাই না একটি কোম্পানির বড় ধরনের টাকা ওখানে আটকে আছে। সেখানে লিগ্যাল ইস্যু আছে। গ্রাহকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, মানুষকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে। এই টাকাটা টোটালি আমাদের পেমেন্ট গেটওয়েতে আছে। সেটা কিন্তু আমাদের লিগ্যাল ইস্যুটার ক্লিয়ারেন্স পাওয়া গেলে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে বলবো। এটা কিন্তু সিআইডির আওতার মধ্যে না। কী পদ্ধতিতে গ্রাহক টাকা ফেরত পাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে সিস্টেমে গ্রাহক টাকাটা দিয়েছে, এই পেমেন্ট পদ্ধতিটা অনলাইনের মাধ্যমেই হয়। তাই তাকে অনলাইনেই ফেরত দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইনস্ট্রাকশন যাবে। যারা থার্ড পার্টি যেখানে টাকা জমা আছে সেখানে থেকে যারা পেমেন্ট করেছে তাদের কাছে অটোমেটিক পাঠিয়ে দিতে পারবে। এখানে লিগ্যাল ইস্যু আছে তাই আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য অপেক্ষা করছি।