ঢাকা ১০:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

  • আপডেট সময় : ০১:৫০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। গতকাল শনিবার আদালতের দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এই আদেশ দেন।
দুদক সূত্র জানায়, ইভ্যালির বিরুদ্ধে আগে থেকেই তাদের কাছে একাধিক অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছিল। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইভ্যালির আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠি পাওয়ার পর দুদকের পক্ষ থেকে দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অপর সদস্য হলেন সহকারী উপ-পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম। দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, অনুসন্ধানের শুরুতেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন যে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল গোপনে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে দুদকের পক্ষ থেকে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারির চিঠি ইস্যু করা হয়। দুদক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইভ্যালির আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখা প্রসঙ্গে একটি চিঠি পেয়েছেন। ওই চিঠির সূত্র ধরেই অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। অনুসন্ধানে ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছে অগ্রিম টাকা নিয়ে কী করেছে, তা জানার পাশাপাশি এসব অর্থ মানি লন্ডারিং করে কোথাও পাচার করা হয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করবে। গ্রাহকের অর্থ পাচার করা হলে ইভ্যালির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হবে।
গত ৪ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুদকে পাঠানো চিঠিতে ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে পণ্যের অর্ডারের নামে অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করলেও তার বিপরীতে তাদের সম্পদ অনেক কম। এ ছাড়া মার্চেন্টদের কাছেও তাদের শত কোটিরও বেশি অর্থ দেনা রয়েছে। গ্রাহক ও মার্চেন্টদের মিলিয়ে মোট তিনশ’ কোটি টাকার কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এসব অর্থ আত্মসাৎ বা পাচার করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করা হয়। দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, এর আগে দুদকের কাছে গ্রাহক পর্যায়ের কিছু অভিযোগ জমা পড়েছিল। কিন্তু সেসব অভিযোগে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু উল্লেখ ছিল না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান শুরু করা হচ্ছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে ‘অবদান’ অস্বীকারেই নাখোশ ট্রাম্প

ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ০১:৫০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। গতকাল শনিবার আদালতের দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এই আদেশ দেন।
দুদক সূত্র জানায়, ইভ্যালির বিরুদ্ধে আগে থেকেই তাদের কাছে একাধিক অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছিল। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইভ্যালির আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠি পাওয়ার পর দুদকের পক্ষ থেকে দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অপর সদস্য হলেন সহকারী উপ-পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম। দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, অনুসন্ধানের শুরুতেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন যে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল গোপনে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে দুদকের পক্ষ থেকে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারির চিঠি ইস্যু করা হয়। দুদক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইভ্যালির আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখা প্রসঙ্গে একটি চিঠি পেয়েছেন। ওই চিঠির সূত্র ধরেই অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। অনুসন্ধানে ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছে অগ্রিম টাকা নিয়ে কী করেছে, তা জানার পাশাপাশি এসব অর্থ মানি লন্ডারিং করে কোথাও পাচার করা হয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করবে। গ্রাহকের অর্থ পাচার করা হলে ইভ্যালির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হবে।
গত ৪ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুদকে পাঠানো চিঠিতে ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে পণ্যের অর্ডারের নামে অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করলেও তার বিপরীতে তাদের সম্পদ অনেক কম। এ ছাড়া মার্চেন্টদের কাছেও তাদের শত কোটিরও বেশি অর্থ দেনা রয়েছে। গ্রাহক ও মার্চেন্টদের মিলিয়ে মোট তিনশ’ কোটি টাকার কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এসব অর্থ আত্মসাৎ বা পাচার করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করা হয়। দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, এর আগে দুদকের কাছে গ্রাহক পর্যায়ের কিছু অভিযোগ জমা পড়েছিল। কিন্তু সেসব অভিযোগে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু উল্লেখ ছিল না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান শুরু করা হচ্ছে।