ঢাকা ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার

  • আপডেট সময় : ০২:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজেস্ব প্রতিবেদক : প্রতারণার অভিযোগে এক গ্রাহকের করা মামলায় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার মোহাম্মদপুরে রাসেলের বাসায় ঘণ্টাখানেক অভিযান চালানোর পর তাদের দুজনকে র‌্যাবের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান খায়রুল ইসলাম বলেন, তাদের র‌্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যে মামলা হয়েছে, তাতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এ বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে স্যার সৈয়দ রোডের একটি নয়তলা ভবনের চতুর্থ তলায় রাসেলের ফ্ল্যাটে তাদের অভিযান শুরু হয়। পরে বিকাল সোয়া ৫টার দিকে রাসেল ও তার স্ত্রীকে বাসা থেকে বের করে র‌্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরিফ বাকের নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার ভোরে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেন। পণ্যের জন্য আগাম অর্থ দিয়ে না পাওয়ার পাশাপাশি ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ করা হয় সেখানে। মামলার বাদী আরিফ বাকের তার অভিযোগে বলেন, ইভ্যালির বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হয়ে তিনি ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার পণ্যের অর্ডার দেন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তাকে কোনো পণ্য সরবরাহ করা হয়নি। পণ্যের ব্যাপারের ইভ্যালির অফিসে এবং পরে সিইও মো. রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে ইভ্যালি এমডি রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে এর আগেও কয়েকটি মামলা হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সরবরাহকারী কোম্পানি ও গ্রাহকদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়েছে ইভ্যালি। এত অল্প সময়ে এই বিপুল টাকা কোথায় গেল, তার হদিস এখনও মেলেনি।
আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত জুলাই মাসে দুদকের আবেদনে ইভ্যালির শীর্ষ কর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। এদিকে রাসেল গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে গ্রাহকদের অনেকে তার মোহাম্মদপুরের বাসার সামনে ভিড় করেন। রাসলেকে র‌্যাব নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবাদ জানিয়ে মোটামুটি অর্ধশতাধিক লোককে সেখানে বিক্ষোভ করতেও দেখা যায়। নিজেদের ইভ্যালির গ্রাহক হিসেবে পরিচয় দিয়ে তারা রাসেলকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। তাদের একজন বলেন, ‘রাসেল সময় চেয়েছিলেন, তা না দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা ঠিক হয়নি। রাসেলকে সময় দেওয়া হলে গ্রাহকরা উপকৃত হত।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০২:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজেস্ব প্রতিবেদক : প্রতারণার অভিযোগে এক গ্রাহকের করা মামলায় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার মোহাম্মদপুরে রাসেলের বাসায় ঘণ্টাখানেক অভিযান চালানোর পর তাদের দুজনকে র‌্যাবের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান খায়রুল ইসলাম বলেন, তাদের র‌্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যে মামলা হয়েছে, তাতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এ বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে স্যার সৈয়দ রোডের একটি নয়তলা ভবনের চতুর্থ তলায় রাসেলের ফ্ল্যাটে তাদের অভিযান শুরু হয়। পরে বিকাল সোয়া ৫টার দিকে রাসেল ও তার স্ত্রীকে বাসা থেকে বের করে র‌্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরিফ বাকের নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার ভোরে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেন। পণ্যের জন্য আগাম অর্থ দিয়ে না পাওয়ার পাশাপাশি ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ করা হয় সেখানে। মামলার বাদী আরিফ বাকের তার অভিযোগে বলেন, ইভ্যালির বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হয়ে তিনি ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার পণ্যের অর্ডার দেন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তাকে কোনো পণ্য সরবরাহ করা হয়নি। পণ্যের ব্যাপারের ইভ্যালির অফিসে এবং পরে সিইও মো. রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে ইভ্যালি এমডি রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে এর আগেও কয়েকটি মামলা হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সরবরাহকারী কোম্পানি ও গ্রাহকদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়েছে ইভ্যালি। এত অল্প সময়ে এই বিপুল টাকা কোথায় গেল, তার হদিস এখনও মেলেনি।
আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত জুলাই মাসে দুদকের আবেদনে ইভ্যালির শীর্ষ কর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। এদিকে রাসেল গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে গ্রাহকদের অনেকে তার মোহাম্মদপুরের বাসার সামনে ভিড় করেন। রাসলেকে র‌্যাব নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবাদ জানিয়ে মোটামুটি অর্ধশতাধিক লোককে সেখানে বিক্ষোভ করতেও দেখা যায়। নিজেদের ইভ্যালির গ্রাহক হিসেবে পরিচয় দিয়ে তারা রাসেলকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। তাদের একজন বলেন, ‘রাসেল সময় চেয়েছিলেন, তা না দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা ঠিক হয়নি। রাসেলকে সময় দেওয়া হলে গ্রাহকরা উপকৃত হত।’