ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ইবি ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

  • আপডেট সময় : ০১:৩১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের অতিথি কক্ষে আটকে রেখে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য এসেছে আদালতের। সেই সঙ্গে নির্যাতনকারী ২ শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের বাইরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ৩ দিনের মধ্যে কমিটি করে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিকে।
এছাড়া নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী ছাত্রীকে নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর এ ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অভিযোগ, র‌্যাগিংয়ের নামে রবিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় ৩টা পর্যন্ত তাকে হলের অতিথি কক্ষে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা। তাকে ‘বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ’ করার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। ঘটনা কাউকে জানালে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
অভিযুক্তরা হলেন ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ তাদের সঙ্গী ৭ থেকে ৮ জন।

বুধবার এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে বুধবার আইনজীবী গাজী মো. মহসীন বাদী হয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। জনস্বার্থে করা রিট আবেদনটিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, ইবির ভিসি, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

ইবি ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

আপডেট সময় : ০১:৩১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের অতিথি কক্ষে আটকে রেখে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য এসেছে আদালতের। সেই সঙ্গে নির্যাতনকারী ২ শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের বাইরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ৩ দিনের মধ্যে কমিটি করে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিকে।
এছাড়া নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী ছাত্রীকে নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর এ ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অভিযোগ, র‌্যাগিংয়ের নামে রবিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় ৩টা পর্যন্ত তাকে হলের অতিথি কক্ষে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা। তাকে ‘বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ’ করার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। ঘটনা কাউকে জানালে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
অভিযুক্তরা হলেন ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ তাদের সঙ্গী ৭ থেকে ৮ জন।

বুধবার এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে বুধবার আইনজীবী গাজী মো. মহসীন বাদী হয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। জনস্বার্থে করা রিট আবেদনটিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, ইবির ভিসি, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।