ঢাকা ০২:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের ৫ জনের হলের সিট বাতিল

  • আপডেট সময় : ০২:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১৩০ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরতœ শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীর সিট স্থায়ীভাবে বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। নির্যাতনের ঘটনায় হল কর্তৃপক্ষ গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে গতকাল সোমবার জানিয়েছেন প্রভোস্ট অধ্যাপক শামসুল আলম।
যে পাঁচজনের হলের সিট বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, দেশরতœ শেখ হাসিনা হল শাখার সহসভাপতি তাবাসসুম ইসলাম, কর্মী মোয়াবিয়া জাহান, ইসরাত জাহান মিমি ও হালিমা খাতুন উর্মী। প্রভোস্ট বলেন, “তারা আর কোনোদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হলে সিট পাবেন না। তাদের আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে।“
দেশরতœ শেখ হাসিনা হলের অতিথি কক্ষে চার ঘণ্টা আটকে রেখে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় ৩টা পর্যন্ত ওই কক্ষে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, র‌্যাগিংয়ের নামে ছাত্রলীগ নেত্রীরা তাকে ‘বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ’ করেন। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি ঘটনা কাউকে জানালে ‘জীবননাশের হুমকিও’ দেন তারা। রোববার রাতের ওই ঘটনার পর বিপর্যস্ত ওই ছাত্রী সকালে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান। মঙ্গলবার তিনি প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং হল কর্তৃপক্ষ দুটি কমিটি গঠন করে। এর বাইরে হাই কোর্টের নির্দেশে একটি বিচার বিভাগীয় এবং ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আরও দুটি কমিটি করেছে। এর মধ্যে রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। নির্যাতিত ওই ছাত্রীকে ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ দেওয়ার জন্য রোববার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তিনি ক্যাম্পাসে যেতে পারেননি। পরে মোবাইল ফোনে তিনি তদন্ত কমিটিকে তার অভিযোগ জানান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের ৫ জনের হলের সিট বাতিল

আপডেট সময় : ০২:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরতœ শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীর সিট স্থায়ীভাবে বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। নির্যাতনের ঘটনায় হল কর্তৃপক্ষ গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে গতকাল সোমবার জানিয়েছেন প্রভোস্ট অধ্যাপক শামসুল আলম।
যে পাঁচজনের হলের সিট বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, দেশরতœ শেখ হাসিনা হল শাখার সহসভাপতি তাবাসসুম ইসলাম, কর্মী মোয়াবিয়া জাহান, ইসরাত জাহান মিমি ও হালিমা খাতুন উর্মী। প্রভোস্ট বলেন, “তারা আর কোনোদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হলে সিট পাবেন না। তাদের আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে।“
দেশরতœ শেখ হাসিনা হলের অতিথি কক্ষে চার ঘণ্টা আটকে রেখে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় ৩টা পর্যন্ত ওই কক্ষে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, র‌্যাগিংয়ের নামে ছাত্রলীগ নেত্রীরা তাকে ‘বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ’ করেন। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি ঘটনা কাউকে জানালে ‘জীবননাশের হুমকিও’ দেন তারা। রোববার রাতের ওই ঘটনার পর বিপর্যস্ত ওই ছাত্রী সকালে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান। মঙ্গলবার তিনি প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং হল কর্তৃপক্ষ দুটি কমিটি গঠন করে। এর বাইরে হাই কোর্টের নির্দেশে একটি বিচার বিভাগীয় এবং ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আরও দুটি কমিটি করেছে। এর মধ্যে রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। নির্যাতিত ওই ছাত্রীকে ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ দেওয়ার জন্য রোববার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তিনি ক্যাম্পাসে যেতে পারেননি। পরে মোবাইল ফোনে তিনি তদন্ত কমিটিকে তার অভিযোগ জানান।