ঢাকা ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

ইফতারে আলুবোখারা পূরণ করে হাড়ের ক্ষতি

  • আপডেট সময় : ০৪:০২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: পবিত্র মাহে রমজানে রোজা রাখার কারণে দীর্ঘ সময় খাবার ও পানি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হয়। এতে শরীর বিভিন্ন পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। একই সঙ্গে পানিশূন্যতার কারণে হাড়েও মারাত্মক ক্ষতি হয়। এসব ক্ষতি নিমেষেই পূরণ করতে চাইলে রমজানের ডায়েটে আলুবোখারাকে প্রাধান্য দিন।
ফল হিসেবে আলুবোখারার খুব একটা জনপ্রিয়তা না থাকলেও মোগলীয় রান্নায় প্রায়ই এটি ব্যবহার করার চল রয়েছে বাংলাদেশে। সাধারণত পোলাও বা বিরিয়ানি কিংবা চাটনি রান্নায় আমরা এই সুস্বাদু খাবারটিকে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এ খাবারটি কোনো রান্নায় ব্যবহার না করে সরাসরি খেতে পারেন।
যেহেতু বাংলাদেশে এবারের রমজান মাস গরমের সময় পড়েছে, তাই ইফতারের সময় কিংবা রাতে খাবারের তালিকায় আলুবোখারা রাখুন।

রমজান মাসে রোজা রাখলে নিয়মিত আলুবোখারা খান। এতে পাবেন বেশকিছু উপকারিতা। আপনি কি জানেন, সুস্বাদু এ খাবারটি শরীর সতেজ রাখার পাশাপাশি সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে নিমেষে?
আলুবোখারা ভিটামিন এ, সি, ডি, ই সমৃদ্ধ। এতে আরও রয়েছে মিনারেল ও ফাইবার, যা রোজাদারদের শরীরের জন্য উপকারী। হজমশক্তি ও মুখে রুচি বাড়াতে আলুবোখারার জুড়ি নেই।

যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন, তারাও নিয়মিত আলুবোখারা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। কারণ এ খাবারটি রক্তকণিকা বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। শুধু তা-ই নয়, ক্যানসারের ঝুঁকিও কমাতে পারে এটি। এছাড়া স্মৃতিশক্তি ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতে, চোখ ও হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষায়ও এ খাবারটিকে প্রাধান্য দিতে পারেন।
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে এ খাবারটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। পটাশিয়ামের অন্যতম উৎস এই আলুবোখারা।

এদিকে আমেরিকার পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন প্রতিদিন তিনটি করে আলুবোখারা খাওয়ার কথা। কারণ তারা দীর্ঘ গবেষণায় খুঁজে পেয়েছেন, এ খাবারটি হাড়ের সুরক্ষা কবচ হিসেবে দারুণ কাজ করে।
অন্যদিকে কখনোই নিয়মিত প্রয়োজনের বেশি আলুবোখারা খেতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। জটিল রোগে আক্রান্ত থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট লিস্টে রাখুন সুস্বাদু এ খাবারটিকে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইফতারে আলুবোখারা পূরণ করে হাড়ের ক্ষতি

আপডেট সময় : ০৪:০২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: পবিত্র মাহে রমজানে রোজা রাখার কারণে দীর্ঘ সময় খাবার ও পানি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হয়। এতে শরীর বিভিন্ন পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। একই সঙ্গে পানিশূন্যতার কারণে হাড়েও মারাত্মক ক্ষতি হয়। এসব ক্ষতি নিমেষেই পূরণ করতে চাইলে রমজানের ডায়েটে আলুবোখারাকে প্রাধান্য দিন।
ফল হিসেবে আলুবোখারার খুব একটা জনপ্রিয়তা না থাকলেও মোগলীয় রান্নায় প্রায়ই এটি ব্যবহার করার চল রয়েছে বাংলাদেশে। সাধারণত পোলাও বা বিরিয়ানি কিংবা চাটনি রান্নায় আমরা এই সুস্বাদু খাবারটিকে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এ খাবারটি কোনো রান্নায় ব্যবহার না করে সরাসরি খেতে পারেন।
যেহেতু বাংলাদেশে এবারের রমজান মাস গরমের সময় পড়েছে, তাই ইফতারের সময় কিংবা রাতে খাবারের তালিকায় আলুবোখারা রাখুন।

রমজান মাসে রোজা রাখলে নিয়মিত আলুবোখারা খান। এতে পাবেন বেশকিছু উপকারিতা। আপনি কি জানেন, সুস্বাদু এ খাবারটি শরীর সতেজ রাখার পাশাপাশি সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে নিমেষে?
আলুবোখারা ভিটামিন এ, সি, ডি, ই সমৃদ্ধ। এতে আরও রয়েছে মিনারেল ও ফাইবার, যা রোজাদারদের শরীরের জন্য উপকারী। হজমশক্তি ও মুখে রুচি বাড়াতে আলুবোখারার জুড়ি নেই।

যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন, তারাও নিয়মিত আলুবোখারা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। কারণ এ খাবারটি রক্তকণিকা বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। শুধু তা-ই নয়, ক্যানসারের ঝুঁকিও কমাতে পারে এটি। এছাড়া স্মৃতিশক্তি ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতে, চোখ ও হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষায়ও এ খাবারটিকে প্রাধান্য দিতে পারেন।
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে এ খাবারটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। পটাশিয়ামের অন্যতম উৎস এই আলুবোখারা।

এদিকে আমেরিকার পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন প্রতিদিন তিনটি করে আলুবোখারা খাওয়ার কথা। কারণ তারা দীর্ঘ গবেষণায় খুঁজে পেয়েছেন, এ খাবারটি হাড়ের সুরক্ষা কবচ হিসেবে দারুণ কাজ করে।
অন্যদিকে কখনোই নিয়মিত প্রয়োজনের বেশি আলুবোখারা খেতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। জটিল রোগে আক্রান্ত থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট লিস্টে রাখুন সুস্বাদু এ খাবারটিকে।