ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

ইফতারির পর ধূমপান করলে যে সমস্যা বাড়ে

  • আপডেট সময় : ১১:৩৮:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

ডা. রিফাত আল মাজিদ (এমবিবিএস, এমপিএইচ)
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, এ কথা সবারই জানা। তবুও ধূমপায়ীরা তা মানতে নারাজ। যে কোনো সময় যে কোনো অবস্থাতেই ধূমপান শরীরের জন্য ক্ষতিকর। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যেভাবেই হোক না কেন ধূমপানের ক্ষতিকারক প্রভাব থাকে। তাই সর্বক্ষেত্রে ধূমপান বর্জনীয় ও ক্ষেত্র বিশেষে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা ধূমপানে আসক্ত তাদের জন্য রোজার মাস উপযুক্ত সময় এই আসক্তি বর্জন করার। এছাড়া যারা ইফতারির পর ধূমপান করেন তাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। কারণ ধূমপান পাকস্থলীর হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে গ্যাসট্রাইটিস বা পাকস্থলিতে প্রদাহ তৈরি হয়। এছাড়া ধূমপানের ফলে ফুসফুসের প্রদাহ’সহ নানবিধ শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারির পর ধূমপান করা মাহে রমজানের মূলনীতি বিরুদ্ধ ও শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। এটি স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাই রোজার মাসে সর্বোচ্চ চেষ্টা ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকা উচিত ধূমপান ত্যাগ করার। রোজার পবিত্রতা রক্ষায় ও শারীরিক সুস্থতার জন্য ধূমপান ত্যাগ করা খুবই জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ ও কাউন্সিলিং নেওয়া যেতে পারে।
লেখক: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও মনোসামাজিক স্বাস্থ্য গবেষক ও পরিচালক, সেন্টার ফর সাইকোট্রমাটোলজি এন্ড রিসার্চ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইফতারির পর ধূমপান করলে যে সমস্যা বাড়ে

আপডেট সময় : ১১:৩৮:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

ডা. রিফাত আল মাজিদ (এমবিবিএস, এমপিএইচ)
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, এ কথা সবারই জানা। তবুও ধূমপায়ীরা তা মানতে নারাজ। যে কোনো সময় যে কোনো অবস্থাতেই ধূমপান শরীরের জন্য ক্ষতিকর। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যেভাবেই হোক না কেন ধূমপানের ক্ষতিকারক প্রভাব থাকে। তাই সর্বক্ষেত্রে ধূমপান বর্জনীয় ও ক্ষেত্র বিশেষে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা ধূমপানে আসক্ত তাদের জন্য রোজার মাস উপযুক্ত সময় এই আসক্তি বর্জন করার। এছাড়া যারা ইফতারির পর ধূমপান করেন তাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। কারণ ধূমপান পাকস্থলীর হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে গ্যাসট্রাইটিস বা পাকস্থলিতে প্রদাহ তৈরি হয়। এছাড়া ধূমপানের ফলে ফুসফুসের প্রদাহ’সহ নানবিধ শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারির পর ধূমপান করা মাহে রমজানের মূলনীতি বিরুদ্ধ ও শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। এটি স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাই রোজার মাসে সর্বোচ্চ চেষ্টা ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকা উচিত ধূমপান ত্যাগ করার। রোজার পবিত্রতা রক্ষায় ও শারীরিক সুস্থতার জন্য ধূমপান ত্যাগ করা খুবই জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ ও কাউন্সিলিং নেওয়া যেতে পারে।
লেখক: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও মনোসামাজিক স্বাস্থ্য গবেষক ও পরিচালক, সেন্টার ফর সাইকোট্রমাটোলজি এন্ড রিসার্চ।