ঢাকা ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫

ইতিহাস গড়ে ম্যান সিটির স্টেশনে ‘উজবেক ট্রেন’

  • আপডেট সময় : ০৫:০২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: উজবেকিস্তানের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পাড়ি জমালেন আব্দুখোদির কুজানভ, নিজ দেশে যিনি পরিচিত ‘দা ট্রেন’ নামে, এমনকি তার পরিচিতি আছে ‘ট্যাংক’, ‘মনস্টার’ নামেও। এমনিতে সতীর্থরা ছোট্ট করে ডাকেন ‘খোদির’ নামে। তবে নিজ দেশে তার পরিচয় অনেক। সবচেয়ে বেশি পরিচিতি ‘দা ট্রেইন’ নামে। সেই উজবেক ট্রেন এবার প্রবল গতিতে পৌঁছে গেল ম্যানচেস্টার সিটির ঠিকানায়।

উজবেকিস্তানের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নাম লেখালেন আব্দুখোদির কুজানভ। ফরাসি ক্লাব লঁস থেকে তরুণ এই ডিফেন্ডারকে দলে নিয়েছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, ট্রান্সফার ফির অঙ্কটা চার কোটি ইউরো। সঙ্গে আছে অন্যান্য সংযুক্তি। ২০ বছর বয়সী সেন্টার-ব্যাকের সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটির চুক্তি সাড়ে চার বছরের। লঁসের হয়ে দেড় বছরের ক্যারিয়ারে ৩১টি ম্যাচ খেলেছেন কুজানভ।

চলতি মৌসুমে লিগে দলের ১৬ ম্যাচের ১৩টিই খেলেছেন তিনি। এবারের ‘গোল্ডেন বয়’ অ্যাওয়ার্ডের লড়াইয়ে দীর্ঘ তালিকায় ছিল তার নাম, যেটি শেষ পর্যন্ত জিতে নিয়েছেন বার্সেলোনা ও স্পেনের লামিনে ইয়ামাল। উজবেকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯, অনূর্ধ্ব-২০, অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলে জাতীয় দলেও ১৮ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন কুজানভ। খেলেছেন গত অলিম্পিকসেও। উজবেকিস্তানে ‘দা ট্রেন’ নামে তার পরিচিতি তো আছেই, লঁস দলে তাকে ‘মনস্টার’ ও ‘ট্যাংক’ নামেও ডাকতেন অনেকে। দারুণ গতি, রক্ষণে শক্তিশালী উপস্থিতি, প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়া, বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো, হাওয়ায় ভেসে তার সামর্থ্য, আগ্রাসী ধরন, সব মিলিয়েই এই বিশেষণগুলো তিনি পেয়েছেন নানা সময়ে। চলতি মৌসুমে চোট জর্জরিত ম্যানচেস্টার সিটি রক্ষণে বিকল্পের খোঁজে দলে নিল কুজানভকে। জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে সিটির প্রথম চুক্তি এটি।

বলার অপেক্ষা রাখে না, ম্যানচেস্টার সিটিতে নাম লিখিয়ে কুজানভের আনন্দ ছুঁতে চাইছে আকাশ। “ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিতে পেরে আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত। দীর্ঘদিন ধরে এই ক্লাবের খেলা উপভোগ করছি আমি। বিশ্বের সেরা সব ফুটবলার দিয়ে পরিপূর্ণ এই স্কোয়াড। তাদের সঙ্গে দেখা করতে ও তাদের পাশে খেলতে তর সইছে না আমার।” “আমার ও আমার পরিবারের জন্য দারুণ গর্বের মুহূর্ত ম্যানচেস্টার সিটির মতো ক্লাবে যোগ দিতে পারা। এই চ্যালেঞ্জের জন্য আমি প্রস্তুতের চেয়েও বেশি কিছু।” সিটিতে যোগ দিয়ে কুজানভের বাড়তি রোমাঞ্চ কোচ হিসেবে গুয়ার্দিওলার মতো একজনকে পেয়ে। “পেপ গুয়ার্দিওলা অবশ্য সর্বকালের সেরা কোচদের একজন।

তার কাছ থেকে শিখতে এবং নিজের খেলায় উন্নতি করতে আমি দারুণ রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষায়।” কুজানভের বাবা খিকমাত কোজিমভও ছিলেন ফুটবলার। উজবেকিস্তানের হয়ে ১২টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। দেশের বিখ্রাক ক্লাব বুনিয়দকরের জিতেছেন তিনি লিগ ও কাপের ‘ডাবল।’ পরে ক্লাবের কোচের দায়িত্ব নেন তিনি। এই ক্লাবের হয়েই যুব পর্যায়ে খেলা শুরু করেন কুজানভ।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইতিহাস গড়ে ম্যান সিটির স্টেশনে ‘উজবেক ট্রেন’

আপডেট সময় : ০৫:০২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: উজবেকিস্তানের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পাড়ি জমালেন আব্দুখোদির কুজানভ, নিজ দেশে যিনি পরিচিত ‘দা ট্রেন’ নামে, এমনকি তার পরিচিতি আছে ‘ট্যাংক’, ‘মনস্টার’ নামেও। এমনিতে সতীর্থরা ছোট্ট করে ডাকেন ‘খোদির’ নামে। তবে নিজ দেশে তার পরিচয় অনেক। সবচেয়ে বেশি পরিচিতি ‘দা ট্রেইন’ নামে। সেই উজবেক ট্রেন এবার প্রবল গতিতে পৌঁছে গেল ম্যানচেস্টার সিটির ঠিকানায়।

উজবেকিস্তানের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নাম লেখালেন আব্দুখোদির কুজানভ। ফরাসি ক্লাব লঁস থেকে তরুণ এই ডিফেন্ডারকে দলে নিয়েছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, ট্রান্সফার ফির অঙ্কটা চার কোটি ইউরো। সঙ্গে আছে অন্যান্য সংযুক্তি। ২০ বছর বয়সী সেন্টার-ব্যাকের সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটির চুক্তি সাড়ে চার বছরের। লঁসের হয়ে দেড় বছরের ক্যারিয়ারে ৩১টি ম্যাচ খেলেছেন কুজানভ।

চলতি মৌসুমে লিগে দলের ১৬ ম্যাচের ১৩টিই খেলেছেন তিনি। এবারের ‘গোল্ডেন বয়’ অ্যাওয়ার্ডের লড়াইয়ে দীর্ঘ তালিকায় ছিল তার নাম, যেটি শেষ পর্যন্ত জিতে নিয়েছেন বার্সেলোনা ও স্পেনের লামিনে ইয়ামাল। উজবেকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯, অনূর্ধ্ব-২০, অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলে জাতীয় দলেও ১৮ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন কুজানভ। খেলেছেন গত অলিম্পিকসেও। উজবেকিস্তানে ‘দা ট্রেন’ নামে তার পরিচিতি তো আছেই, লঁস দলে তাকে ‘মনস্টার’ ও ‘ট্যাংক’ নামেও ডাকতেন অনেকে। দারুণ গতি, রক্ষণে শক্তিশালী উপস্থিতি, প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়া, বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো, হাওয়ায় ভেসে তার সামর্থ্য, আগ্রাসী ধরন, সব মিলিয়েই এই বিশেষণগুলো তিনি পেয়েছেন নানা সময়ে। চলতি মৌসুমে চোট জর্জরিত ম্যানচেস্টার সিটি রক্ষণে বিকল্পের খোঁজে দলে নিল কুজানভকে। জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে সিটির প্রথম চুক্তি এটি।

বলার অপেক্ষা রাখে না, ম্যানচেস্টার সিটিতে নাম লিখিয়ে কুজানভের আনন্দ ছুঁতে চাইছে আকাশ। “ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিতে পেরে আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত। দীর্ঘদিন ধরে এই ক্লাবের খেলা উপভোগ করছি আমি। বিশ্বের সেরা সব ফুটবলার দিয়ে পরিপূর্ণ এই স্কোয়াড। তাদের সঙ্গে দেখা করতে ও তাদের পাশে খেলতে তর সইছে না আমার।” “আমার ও আমার পরিবারের জন্য দারুণ গর্বের মুহূর্ত ম্যানচেস্টার সিটির মতো ক্লাবে যোগ দিতে পারা। এই চ্যালেঞ্জের জন্য আমি প্রস্তুতের চেয়েও বেশি কিছু।” সিটিতে যোগ দিয়ে কুজানভের বাড়তি রোমাঞ্চ কোচ হিসেবে গুয়ার্দিওলার মতো একজনকে পেয়ে। “পেপ গুয়ার্দিওলা অবশ্য সর্বকালের সেরা কোচদের একজন।

তার কাছ থেকে শিখতে এবং নিজের খেলায় উন্নতি করতে আমি দারুণ রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষায়।” কুজানভের বাবা খিকমাত কোজিমভও ছিলেন ফুটবলার। উজবেকিস্তানের হয়ে ১২টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। দেশের বিখ্রাক ক্লাব বুনিয়দকরের জিতেছেন তিনি লিগ ও কাপের ‘ডাবল।’ পরে ক্লাবের কোচের দায়িত্ব নেন তিনি। এই ক্লাবের হয়েই যুব পর্যায়ে খেলা শুরু করেন কুজানভ।