ঢাকা ০৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

ইতিহাসের বৃহত্তম রকেট উৎক্ষেপণে প্রস্তুত মাস্কের স্পেসএক্স

  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : সূচনা উৎক্ষেপণের কাছাকাছি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রকেট। একশ ২০ মিটার (চারশ ফুট, বা প্রায় ৪০তলা ভবনের সমান) উচ্চতার এই যন্ত্রদানব ইতিহাসের যে কোনো রকেটের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ‘থ্রাস্ট’ তৈরিতে সক্ষম।
‘স্টারশিপ’ নামের এই রকেট তৈরি করেছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের বাণিজ্যিক রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স।
আবহাওয়া ঠিক থাকলে সোমবার ক্রুবিহীন এই উৎক্ষেপণ পরীক্ষা পরিচালিত হবে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ‘বোকা চিকা’ ফ্যাসিলিটি থেকে। এই অভিযানের লক্ষ্য হলো, মহাকাশযানের ওপরের অংশকে পূর্ব দিকে পাঠিয়ে পৃথিবীর চারপাশে একবার আবর্তন করিয়ে আনা। মাস্ক অবশ্য সকলের ‘প্রত্যাশায় লাগাম টানার’ অনুরোধ জানিয়েছেন। প্রাথমিক ধাপে রকেটে কোনো ধরনের ত্রুটির মতো অভিজ্ঞতার মুখে পড়াও নতুন কিছু নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
“এটি একটি জটিল, বিশালাকারের রকেটের প্রথম উৎক্ষেপণ। ফলে, এর সাফল্যের সম্ভাবনাও কম। আমাদের অনেক সাবধান হতে হবে। আর কোনো সম্ভাব্য উদ্বেগ দেখা দিলে আমরা এই উৎক্ষেপণ পিছিয়ে দেব।” –এক ‘টুইটার স্পেসেস’ আয়োজনে বলেন তিনি।
“এই উৎক্ষেপণে স্বয়ং লঞ্চপ্যাড ধ্বংসের মতো কোনো ফলাফল না এলেই আমি একে সাফল্য হিসেবে ধরে নেব।”
সোমবার সকাল স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল পাঁচটায়) থাকা এক দেড়শ মিনিটের ‘লঞ্চ উইন্ডো’-তে স্পেসএক্স এই রকেট আকাশে পাঠানোর প্রচেষ্টা চালাবে। এই সম্ভাব্য উৎক্ষেপণের ঘটনার সাক্ষী হতে হাজার হাজার দর্শক মেক্সিকো উপসাগরের ওই অঞ্চলে পাড়ি জমাতে পারেন। ইলন মাস্ক স্টারশিপের মাধ্যমে নিজের রকেট ব্যবসাকে পুরোপুরি বদলে ফেলার লক্ষ্যস্থির করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
এটি এমনভাবে নকশা হয়েছে যাতে এটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পুনর্ব্যবহার করা যায়। তার পরিকল্পনা হচ্ছে, দিনে একাধিকবার নভোচারী ও স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠানো এবং বিষয়টিতে যাত্রীবাহী বিমানে আটলান্টিক পাড়ি দেওয়ার মতোই সাধারণ একটি বিষয়ে পরিণত করা। মাস্ক বিশ্বাস করেন, নতুন এই মহাকাশযানটি সাধারণ মানুষের জন্য আন্তঃগ্রহ ভ্রমণযুগের সূচনা করতে পারে। স্টারশিপের ওপরের অংশ নিয়ে আগে পরীক্ষা চালানো হলেও এবারের উৎক্ষেপণে প্রথমবারের মতো উৎক্ষেপিত হবে রকেটের নীচের ধাপও।
‘সুপার হেভি’ নামে পরিচিত এর বিশাল বুস্টার ফেব্রুয়ারিতে উৎক্ষেপিত হওয়ার সময় লঞ্চ মাউন্টেই আছড়ে পড়ে। তবে, সে সময় নিজ সক্ষমতার অর্ধেক ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়েছিল এতে। প্রত্যাশা অনুযায়ী, স্পেসএক্স ৯০ শতাংশ থ্রাস্ট উৎপন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোলে তা প্রায় ৭০ মেগানিউটনের কাছাকাছি শক্তি সরবরাহ করতে পারে। আর এটি টেকঅফের সময় যে থ্রাস্ট তৈরি করবে সেটি প্রায় একশটি কনকর্ড সুপারসনিক প্লেন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির সমান।
সব কিছু পরিকল্পনা অনুসারে এগোলে, স্টারশিপ উৎক্ষেপিত হয়ে ফের উপসাগরে অবতরণ করবে। আর এর মিথেন জ্বালানিযুক্ত বুস্টারের নিচে থাকা ৩৩টি ইঞ্জিন জ্বলবে দুই মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের জন্য।
এই সময়ের মধ্যে, রকেটটি ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জের ওপর দিয়ে ভ্রমণ করে ভূপৃষ্ঠের একশ কিলোমিটার ওপর চলে যেতে পারে বলে উঠে এসেছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে। স্পেসএক্স-এর লক্ষ্য, এই সুপার হেভি বুস্টার টেক্সাস উপকূলের কাছে ফিরে এসে যেন উপসাগরের ওপর উলম্বভাবে এসে স্থির হয়। এর পরপরই এটিকে সমুদ্রে কাত হয়ে পড়ার অনুমোদন দেওয়া হবে। পৃথিবীকে প্রায় সম্পুর্ণভাবে একবার প্রদক্ষিণ করার পর এই রকেট বায়ুম-লে পুনরায় প্রবেশ করানোর লক্ষ্যস্থির করেছে স্পেসএক্স। আর এটি নেমে আসতে পারে প্রশান্ত মহাসাগরে, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের কিছুটা উত্তর দিকে। অবতরণের সময় রকেটটি যে বিপুল উত্তাপ অনুভব করবে, সেটি মোকাবেলার জন্য এতে একটি প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠে এর অবতরণ ঘটতে পারে উৎক্ষেপণের ৯০ মিনিট পর। দীর্ঘমেয়াদে, রকেটে পুনরায় জ্বালানী প্রবেশ ও এর উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্যে বুস্টার ও মহাকাশযান দুটোরই নিয়ন্ত্রিত অবতরণ প্রত্যাশা করে স্পেসএক্স। বিভিন্ন ইস্পাতের মহাকাশযান তৈরি করে কোম্পানিটি বোকা চিকায় বিভিন্ন প্রক্রিয়া নিয়ে নিরীক্ষা চালাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
এমন অনেক মডেলই রয়েছে যেগুলোও উৎক্ষেপণের অপেক্ষায় আছে। সোমবারের এই উৎক্ষেপনের সবচেয়ে আগ্রহী দর্শক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। চাঁদে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা হিসেবে স্টারশিপের আরেকটি নমুনা তৈরির উদ্দেশ্যে স্পেসএক্স’কে প্রায় তিনশ কোটি ডলারের আর্থিক অনুদান দিচ্ছে সংস্থাটি। ‘ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া’র ‘অ্যাস্ট্রনটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিভাগের অধ্যাপক গ্যারেট রিসম্যান বলছেন, সৌরজগতের আরও গভীরে যাওয়ার লক্ষ্য আছে মাস্কের। “তিনি স্টারশিপকে সম্ভাব্য আরেকটি বড় পরিবর্তন হিসাবে দেখেন। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষমতার অবিশ্বাস্য বৃদ্ধি ও বড় পরিসরে মানুষকে মঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার মতো বিষয়গুলো।” –বিবিসি নিউজকে বলেন স্পেসএক্সের উপদেষ্টা ও সাবেক মহাকাশচারী। “এখানে বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য সুবিধার পাশাপাশি অনেক সম্ভাব্য ঝুঁকিও আছে। কারণ এটি খুবই জটিল। এমন বড় রকেটও কেউই তৈরি করেনি, যা এর নিকটতম নমুনার চেয়ে আকারে দ্বিগুণ।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইতিহাসের বৃহত্তম রকেট উৎক্ষেপণে প্রস্তুত মাস্কের স্পেসএক্স

আপডেট সময় : ০১:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : সূচনা উৎক্ষেপণের কাছাকাছি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রকেট। একশ ২০ মিটার (চারশ ফুট, বা প্রায় ৪০তলা ভবনের সমান) উচ্চতার এই যন্ত্রদানব ইতিহাসের যে কোনো রকেটের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ‘থ্রাস্ট’ তৈরিতে সক্ষম।
‘স্টারশিপ’ নামের এই রকেট তৈরি করেছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের বাণিজ্যিক রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স।
আবহাওয়া ঠিক থাকলে সোমবার ক্রুবিহীন এই উৎক্ষেপণ পরীক্ষা পরিচালিত হবে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ‘বোকা চিকা’ ফ্যাসিলিটি থেকে। এই অভিযানের লক্ষ্য হলো, মহাকাশযানের ওপরের অংশকে পূর্ব দিকে পাঠিয়ে পৃথিবীর চারপাশে একবার আবর্তন করিয়ে আনা। মাস্ক অবশ্য সকলের ‘প্রত্যাশায় লাগাম টানার’ অনুরোধ জানিয়েছেন। প্রাথমিক ধাপে রকেটে কোনো ধরনের ত্রুটির মতো অভিজ্ঞতার মুখে পড়াও নতুন কিছু নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
“এটি একটি জটিল, বিশালাকারের রকেটের প্রথম উৎক্ষেপণ। ফলে, এর সাফল্যের সম্ভাবনাও কম। আমাদের অনেক সাবধান হতে হবে। আর কোনো সম্ভাব্য উদ্বেগ দেখা দিলে আমরা এই উৎক্ষেপণ পিছিয়ে দেব।” –এক ‘টুইটার স্পেসেস’ আয়োজনে বলেন তিনি।
“এই উৎক্ষেপণে স্বয়ং লঞ্চপ্যাড ধ্বংসের মতো কোনো ফলাফল না এলেই আমি একে সাফল্য হিসেবে ধরে নেব।”
সোমবার সকাল স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল পাঁচটায়) থাকা এক দেড়শ মিনিটের ‘লঞ্চ উইন্ডো’-তে স্পেসএক্স এই রকেট আকাশে পাঠানোর প্রচেষ্টা চালাবে। এই সম্ভাব্য উৎক্ষেপণের ঘটনার সাক্ষী হতে হাজার হাজার দর্শক মেক্সিকো উপসাগরের ওই অঞ্চলে পাড়ি জমাতে পারেন। ইলন মাস্ক স্টারশিপের মাধ্যমে নিজের রকেট ব্যবসাকে পুরোপুরি বদলে ফেলার লক্ষ্যস্থির করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
এটি এমনভাবে নকশা হয়েছে যাতে এটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পুনর্ব্যবহার করা যায়। তার পরিকল্পনা হচ্ছে, দিনে একাধিকবার নভোচারী ও স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠানো এবং বিষয়টিতে যাত্রীবাহী বিমানে আটলান্টিক পাড়ি দেওয়ার মতোই সাধারণ একটি বিষয়ে পরিণত করা। মাস্ক বিশ্বাস করেন, নতুন এই মহাকাশযানটি সাধারণ মানুষের জন্য আন্তঃগ্রহ ভ্রমণযুগের সূচনা করতে পারে। স্টারশিপের ওপরের অংশ নিয়ে আগে পরীক্ষা চালানো হলেও এবারের উৎক্ষেপণে প্রথমবারের মতো উৎক্ষেপিত হবে রকেটের নীচের ধাপও।
‘সুপার হেভি’ নামে পরিচিত এর বিশাল বুস্টার ফেব্রুয়ারিতে উৎক্ষেপিত হওয়ার সময় লঞ্চ মাউন্টেই আছড়ে পড়ে। তবে, সে সময় নিজ সক্ষমতার অর্ধেক ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়েছিল এতে। প্রত্যাশা অনুযায়ী, স্পেসএক্স ৯০ শতাংশ থ্রাস্ট উৎপন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোলে তা প্রায় ৭০ মেগানিউটনের কাছাকাছি শক্তি সরবরাহ করতে পারে। আর এটি টেকঅফের সময় যে থ্রাস্ট তৈরি করবে সেটি প্রায় একশটি কনকর্ড সুপারসনিক প্লেন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির সমান।
সব কিছু পরিকল্পনা অনুসারে এগোলে, স্টারশিপ উৎক্ষেপিত হয়ে ফের উপসাগরে অবতরণ করবে। আর এর মিথেন জ্বালানিযুক্ত বুস্টারের নিচে থাকা ৩৩টি ইঞ্জিন জ্বলবে দুই মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের জন্য।
এই সময়ের মধ্যে, রকেটটি ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জের ওপর দিয়ে ভ্রমণ করে ভূপৃষ্ঠের একশ কিলোমিটার ওপর চলে যেতে পারে বলে উঠে এসেছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে। স্পেসএক্স-এর লক্ষ্য, এই সুপার হেভি বুস্টার টেক্সাস উপকূলের কাছে ফিরে এসে যেন উপসাগরের ওপর উলম্বভাবে এসে স্থির হয়। এর পরপরই এটিকে সমুদ্রে কাত হয়ে পড়ার অনুমোদন দেওয়া হবে। পৃথিবীকে প্রায় সম্পুর্ণভাবে একবার প্রদক্ষিণ করার পর এই রকেট বায়ুম-লে পুনরায় প্রবেশ করানোর লক্ষ্যস্থির করেছে স্পেসএক্স। আর এটি নেমে আসতে পারে প্রশান্ত মহাসাগরে, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের কিছুটা উত্তর দিকে। অবতরণের সময় রকেটটি যে বিপুল উত্তাপ অনুভব করবে, সেটি মোকাবেলার জন্য এতে একটি প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠে এর অবতরণ ঘটতে পারে উৎক্ষেপণের ৯০ মিনিট পর। দীর্ঘমেয়াদে, রকেটে পুনরায় জ্বালানী প্রবেশ ও এর উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্যে বুস্টার ও মহাকাশযান দুটোরই নিয়ন্ত্রিত অবতরণ প্রত্যাশা করে স্পেসএক্স। বিভিন্ন ইস্পাতের মহাকাশযান তৈরি করে কোম্পানিটি বোকা চিকায় বিভিন্ন প্রক্রিয়া নিয়ে নিরীক্ষা চালাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
এমন অনেক মডেলই রয়েছে যেগুলোও উৎক্ষেপণের অপেক্ষায় আছে। সোমবারের এই উৎক্ষেপনের সবচেয়ে আগ্রহী দর্শক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। চাঁদে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা হিসেবে স্টারশিপের আরেকটি নমুনা তৈরির উদ্দেশ্যে স্পেসএক্স’কে প্রায় তিনশ কোটি ডলারের আর্থিক অনুদান দিচ্ছে সংস্থাটি। ‘ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া’র ‘অ্যাস্ট্রনটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিভাগের অধ্যাপক গ্যারেট রিসম্যান বলছেন, সৌরজগতের আরও গভীরে যাওয়ার লক্ষ্য আছে মাস্কের। “তিনি স্টারশিপকে সম্ভাব্য আরেকটি বড় পরিবর্তন হিসাবে দেখেন। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষমতার অবিশ্বাস্য বৃদ্ধি ও বড় পরিসরে মানুষকে মঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার মতো বিষয়গুলো।” –বিবিসি নিউজকে বলেন স্পেসএক্সের উপদেষ্টা ও সাবেক মহাকাশচারী। “এখানে বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য সুবিধার পাশাপাশি অনেক সম্ভাব্য ঝুঁকিও আছে। কারণ এটি খুবই জটিল। এমন বড় রকেটও কেউই তৈরি করেনি, যা এর নিকটতম নমুনার চেয়ে আকারে দ্বিগুণ।”