ক্রীড়া ডেস্ক: ম্যাচের আগে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলেছিলেন লুকা দিনিয়ে। লক্ষ্য পূরণে তিনি বড় অবদান রাখলেন দুটি অ্যাসিস্ট করে। তার সহায়তায় দুটি গোল করলেন আদ্রিওঁ রাবিও। ইতালিকে তাদের মাঠে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হলো ফ্রান্স। আগেই নেশন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত হওয়া দুই দলের লড়াইয়ে রোববার রাতে ৩-১ গোলে জিতেছে ফরাসিরা। ১৯৮৩ সালে সুইডেনের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারের পর প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ঘরের মাঠে ইতালির সবচেয়ে বড় পরাজয় এটি। মিলানের সান সিরোয় শুরুতে রাবিও সফরকারীদের এগিয়ে নেওয়ার পর গুলিয়েলমো ভিকারিওর আত্মঘাতী গোলে বাড়ে ব্যবধান। আন্দ্রেয়া কাম্বিয়াসো একটি শোধ করার পর দ্বিতীয়ার্ধে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রাবিও। প্রথম দেখায় গত সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে প্রথম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার পরও ৩-১ ব্যবধানে হেরেছিল ফ্রান্স। ৬ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ফ্রান্সের পয়েন্ট ১৩, ইতালিরও তাই। গোল পার্থক্যে ইতালিয়ানদের (৫) চেয়ে একটু এগিয়ে ‘এ’ লিগের দুই নম্বর গ্রুপের সেরা হলো দিদিয়ে দেশমের দল (৬)। একই সময়ে গ্রুপের আরেক ম্যাচে ইসরায়েলের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারা বেলজিয়াম ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে ইসরায়েল। ঘরের মাঠে হেরে গেলেও, গোলের জন্য শট নেওয়ায় এগিয়ে ছিল ইতালিই। তাদের ১০ শটের ৪টি ছিল লক্ষ্যে। আর ফ্রান্সের ৬ শটের ৪টি লক্ষ্যে ছিল। প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মাকে এই ম্যাচে পায়নি ইতালি। স্কাই স্পোর্ত ইতালিয়ার খবর অনুযায়ী, পেটের সমস্যায় শেষ মুহূর্তে ছিটকে যান পিএসজি তারকা। ম্যাচের প্রথম সুযোগেই দ্বিতীয় মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। দিনিয়ের কর্নারে ছয় গজ বক্সে লাফিয়ে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন সাবেক পিএসজি মিডফিল্ডার রাবিও।
প্যারিসে প্রথম দেখায় নিজেদের ইতিহাসের দ্রুততম ১৩ সেকেন্ডে গোল করেছিল ফ্রান্স। নবম মিনিটে প্রথম আক্রমণ শাণায় ইতালি। নিকোলো বারেল্লার শট অনায়াসে ঠেকান দোন্নারুম্মার জায়গায় সুযোগ পাওয়া ভিকারিও। ২৫তম মিনিটে ফেদেরিকো দিমার্কোর ফ্রি-কিকে জিওভান্নি দি লরেন্সোর হেড লক্ষ্যে থাকেনি। ৩৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। দিনিয়ের ফ্রি-কিকে বল ক্রসবারে লেগে ভিকারিওর পিঠে পড়ে জালে জড়ায়। দুই মিনিট পরই একটি গোল শোধ করে ইতালি। বাঁ দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে দিমার্কোর ক্রসে ছয় গজ বক্সের বাইরে ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন ডিফেন্ডার কাম্বিয়াসো। ৫৮তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ক্রিস্তোফা এনকুনকুর জোরাল নিচু শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান ভিকারিও। ৬৫তম মিনিটে দুই গোলের লিড পুনরুদ্ধার করেন রাবিও। বাঁ দিক থেকে দিনিয়ের ফ্রি- কিকে আরেকটি হেডে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে এই প্রথম এক ম্যাচে দুটি গোল করলেন ২৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার। চার মিনিট যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে ইতালি গোল পেয়েই যাচ্ছিল প্রায়। মোইজে কিনের শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক মাইক মিয়াঁ। আসরে গত মাসের মতো এই মাসের দুটি ম্যাচেও কিলিয়ান এমবাপেকে ছাড়াই খেলেছে ফ্রান্স। তিন দিন আগে ঘরের মাঠে ইসরায়েলের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করলেও, ইতালির মাঠে দারুণ জয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করল তারা।
ইতালির বিপক্ষে প্রতিশোধ নিয়ে গ্রুপ সেরা ফ্রান্স
জনপ্রিয় সংবাদ


























