ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

ইঞ্জিনচালকদের ভূমিকা ছিল ধৃষ্টতাপূর্ণ ও পলায়নপর: রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী

  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২
  • ১৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান–১০ লঞ্চে অগ্নিকা-ের ঘটনায় ইঞ্জিনকক্ষের দুই চালককে আত্মসমর্পণের পর জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেছেন, ইঞ্জিনচালকেরা কেবল দায়িত্বে অবহেলাই করেননি, অগ্নিকা-ের পর তাঁদের ভূমিকা ছিল ধৃষ্টতাপূর্ণ ও পলায়নপর।
গতকাল রোববার নৌ আদালতের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ৬ নম্বর আসামি লঞ্চের ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ ও ৮ নম্বর আসামি দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম নৌ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রসিকিউটিং অফিসার বেল্লাল হোসাইন। তিনি আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ইঞ্জিনকক্ষের সার্বিক দায়িত্ব ইঞ্জিনচালকদের ওপর বর্তায়। ইঞ্জিনকক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তাঁরা যদি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তদারকি করে সঠিকভাবে ইঞ্জিনকক্ষ পরিচালনা করতেন, তাহলে হয়তো স্মরণকালের এই ভয়াবহ ট্র্যাজেডি ঠেকানো যেত। কিন্তু তাঁরা তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেননি। আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, আসামিরা দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সাধ্যমতো চেষ্টা করেও সফল হননি। এতে তাঁদের অবহেলা ছিল না। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি লঞ্চের মালিক মো. হামজালাল শেখকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার পাঁয়তারা করছেন বলে আসামিপক্ষের আইনজীবী অভিযোগ করেন। তিনি ওসির বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারির অনুরোধ করেন। আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে নৌ আদালতের বিচারক জয়নাব বেগম তাঁদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। গত সপ্তাহে দুই লঞ্চের মাস্টারদের আত্মসমর্পণ করার পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছিল। এখন তাঁরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানোয় ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চান আসামিপক্ষের আইনজীবী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইঞ্জিনচালকদের ভূমিকা ছিল ধৃষ্টতাপূর্ণ ও পলায়নপর: রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী

আপডেট সময় : ০২:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান–১০ লঞ্চে অগ্নিকা-ের ঘটনায় ইঞ্জিনকক্ষের দুই চালককে আত্মসমর্পণের পর জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেছেন, ইঞ্জিনচালকেরা কেবল দায়িত্বে অবহেলাই করেননি, অগ্নিকা-ের পর তাঁদের ভূমিকা ছিল ধৃষ্টতাপূর্ণ ও পলায়নপর।
গতকাল রোববার নৌ আদালতের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ৬ নম্বর আসামি লঞ্চের ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ ও ৮ নম্বর আসামি দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম নৌ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রসিকিউটিং অফিসার বেল্লাল হোসাইন। তিনি আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ইঞ্জিনকক্ষের সার্বিক দায়িত্ব ইঞ্জিনচালকদের ওপর বর্তায়। ইঞ্জিনকক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তাঁরা যদি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তদারকি করে সঠিকভাবে ইঞ্জিনকক্ষ পরিচালনা করতেন, তাহলে হয়তো স্মরণকালের এই ভয়াবহ ট্র্যাজেডি ঠেকানো যেত। কিন্তু তাঁরা তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেননি। আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, আসামিরা দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সাধ্যমতো চেষ্টা করেও সফল হননি। এতে তাঁদের অবহেলা ছিল না। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি লঞ্চের মালিক মো. হামজালাল শেখকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার পাঁয়তারা করছেন বলে আসামিপক্ষের আইনজীবী অভিযোগ করেন। তিনি ওসির বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারির অনুরোধ করেন। আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে নৌ আদালতের বিচারক জয়নাব বেগম তাঁদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। গত সপ্তাহে দুই লঞ্চের মাস্টারদের আত্মসমর্পণ করার পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছিল। এখন তাঁরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানোয় ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চান আসামিপক্ষের আইনজীবী।